নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ। তাই অলস সময় কাটছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-পতেঙ্গার সাগর উপকূলে বসবাস করা অর্ধলাখ জেলের। এই সময়ে জেলেদের সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে সর্বোচ্চ ১০ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাকি ৫৫ দিন চলতে হয় মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া ঋণের টাকায়। এতে আবারও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার শঙ্কায় আছেন কর্মহীন এসব জেলে।
একদিকে কর্মহীন সময়ে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে সাগর থেকে জেলেদের জাল বসানোর খুঁটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা। এ বিষয়ে তাঁরা স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগও করেছেন।
কুমিরা জেলেপাড়ার বাসিন্দা হীরালাল ও বাঞ্ছারাম জলদাশ জানান, তাঁরা বংশানুক্রমে সাগরের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এই পেশা ছাড়া অন্য কোনো পেশার কাজ না জানা থাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা সময়ে অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েন তাঁরা। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হয়, তা ১০ দিনেরও কম সময় ফুরিয়ে যায়। ফলে পরিবারের ভরণপোষণ মেটাতে গ্রাম্য সমিতি ও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিতে হয়। পাশাপাশি ঋণের টাকায় কর্মহীন সময়ে জাল বুনতে হচ্ছে তাঁদের।
সরেজমিন উপজেলার কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, সলিমপুর, ভাটিয়ারি, কুমিরা জেলেপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, সাগরের মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আলাপচারিতা ও খোশগল্পে কর্মহীন অলস সময় পার করছেন জেলেপল্লির অসংখ্য জেলে। কুমিরা জেলেপাড়ার জেলে সরদার নতুন জলদাশ বলেন, ‘আদিকাল থেকে জুন-জুলাই-আগস্ট ছিল ইলিশ শিকারের মৌসুম। এ তিন মাস আয় করে আমরা সারা বছর সংসার চালাতাম। ২০২০ সাল থেকে সরকার মে থেকে জুলাইয়ের ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধের সময় সংসার চালাতে প্রত্যেক জেলে এনজিও, মহাজন, দাদনদারসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়।’
একই অভিযোগ জেলে সরদার বাচারাম দাশ এবং জেলে গোপাল জলদাশ, জয়দাশ, হৃদয় দাশসহ অনেকের। তাঁরা বলেন, বন্ধ রাখায় সরকার কিছু কিছু পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়। যদিও অধিকাংশ জেলেই চালও পান না। তার ওপর পরিবারের যাবতীয় খরচ, বিদ্যুৎ বিল, ছেলেমেয়ের পড়ার খরচ, চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে আরও প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং এলাকার মহাজন, দাদনদারের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়।
তাঁরা আরও জানান, শুধু মহাজন নন, দাদন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জেলেপাড়ায় গড়ে উঠেছে নামসর্বস্ব একাধিক সমিতি। ইলিশ মৌসুমের আগে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সুযোগকে পুঁজি করে দাদন দেওয়াই তাদের কাজ। এ সময় তারা বিশেষ শর্ত জুড়ে দিয়ে শতকরা ১৫ থেকে ২০ টাকা হারে সুদে জেলেদের টাকা দেন।
বাড়বকুণ্ড জেলেপাড়া প্রদীপ জলদাশ, হীরালাল জলদাশ বলেন, চড়া সুদে ঋণ নিলেও পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রতিনিয়ত দাদনদারের আতঙ্কে থাকতে হয়। যেসব জেলে সঠিক সময়ে সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেন, শুধু তাঁদের ঋণ দেন গ্রাম্য সমিতি ও মহাজনেরা। সুদে টাকা না পেয়ে অনেক জেলে পরিবার কষ্টে দিন যাপন করছেন।
উত্তর চট্টলা জেলে কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাশ বলেন, পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত সাগর উপকূলে ৩৮টি জেলেপল্লিতে অর্ধলাখ জেলের বসবাস। মাছ ধরা বন্ধের ৬৫ দিনে অধিকাংশ পরিবারই ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়।
লিটন জলদাশ বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও প্রতিবছর সাগরে জাল আটকানোর ফাঁড়গুলো (খুঁটি) সাগরে পাতা থাকে। কারণ, এসব খুঁটি স্থাপন করা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি সময় সাপেক্ষও। তাই এগুলো জেলেরা সাগর থেকে তোলেন না। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে সেখানেই আবার জাল পাতা হয়। কিন্তু এবার নৌ পুলিশ হঠাৎ সব খুঁটি তুলে ফেলায় লাখ লাখ টাকার সম্পদহানি হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তালিকাভুক্ত জেলে হলেন ৪ হাজার ৮০৫ জন। জীবিকার প্রয়োজনে সরকার তাঁদের নানাভাবে ভর্তুকি দিয়ে চাল, গরু, বাছুর ইত্যাদি দিচ্ছে। তবে এ কথা সত্যি যে এখানে মাছ ধরা বন্ধের সময়ে সাগর থেকে অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরেন। তাই এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা চলছে যেন তাঁরাও মাছ না ধরেন।’ সরকারি নির্দেশনা মানলে ভবিষ্যতে মাছ বৃদ্ধি পেলে জেলেরাই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ। তাই অলস সময় কাটছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-পতেঙ্গার সাগর উপকূলে বসবাস করা অর্ধলাখ জেলের। এই সময়ে জেলেদের সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে সর্বোচ্চ ১০ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাকি ৫৫ দিন চলতে হয় মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া ঋণের টাকায়। এতে আবারও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার শঙ্কায় আছেন কর্মহীন এসব জেলে।
একদিকে কর্মহীন সময়ে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে সাগর থেকে জেলেদের জাল বসানোর খুঁটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা। এ বিষয়ে তাঁরা স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগও করেছেন।
কুমিরা জেলেপাড়ার বাসিন্দা হীরালাল ও বাঞ্ছারাম জলদাশ জানান, তাঁরা বংশানুক্রমে সাগরের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এই পেশা ছাড়া অন্য কোনো পেশার কাজ না জানা থাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা সময়ে অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েন তাঁরা। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হয়, তা ১০ দিনেরও কম সময় ফুরিয়ে যায়। ফলে পরিবারের ভরণপোষণ মেটাতে গ্রাম্য সমিতি ও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিতে হয়। পাশাপাশি ঋণের টাকায় কর্মহীন সময়ে জাল বুনতে হচ্ছে তাঁদের।
সরেজমিন উপজেলার কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, সলিমপুর, ভাটিয়ারি, কুমিরা জেলেপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, সাগরের মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আলাপচারিতা ও খোশগল্পে কর্মহীন অলস সময় পার করছেন জেলেপল্লির অসংখ্য জেলে। কুমিরা জেলেপাড়ার জেলে সরদার নতুন জলদাশ বলেন, ‘আদিকাল থেকে জুন-জুলাই-আগস্ট ছিল ইলিশ শিকারের মৌসুম। এ তিন মাস আয় করে আমরা সারা বছর সংসার চালাতাম। ২০২০ সাল থেকে সরকার মে থেকে জুলাইয়ের ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধের সময় সংসার চালাতে প্রত্যেক জেলে এনজিও, মহাজন, দাদনদারসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়।’
একই অভিযোগ জেলে সরদার বাচারাম দাশ এবং জেলে গোপাল জলদাশ, জয়দাশ, হৃদয় দাশসহ অনেকের। তাঁরা বলেন, বন্ধ রাখায় সরকার কিছু কিছু পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়। যদিও অধিকাংশ জেলেই চালও পান না। তার ওপর পরিবারের যাবতীয় খরচ, বিদ্যুৎ বিল, ছেলেমেয়ের পড়ার খরচ, চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে আরও প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং এলাকার মহাজন, দাদনদারের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়।
তাঁরা আরও জানান, শুধু মহাজন নন, দাদন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জেলেপাড়ায় গড়ে উঠেছে নামসর্বস্ব একাধিক সমিতি। ইলিশ মৌসুমের আগে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সুযোগকে পুঁজি করে দাদন দেওয়াই তাদের কাজ। এ সময় তারা বিশেষ শর্ত জুড়ে দিয়ে শতকরা ১৫ থেকে ২০ টাকা হারে সুদে জেলেদের টাকা দেন।
বাড়বকুণ্ড জেলেপাড়া প্রদীপ জলদাশ, হীরালাল জলদাশ বলেন, চড়া সুদে ঋণ নিলেও পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রতিনিয়ত দাদনদারের আতঙ্কে থাকতে হয়। যেসব জেলে সঠিক সময়ে সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেন, শুধু তাঁদের ঋণ দেন গ্রাম্য সমিতি ও মহাজনেরা। সুদে টাকা না পেয়ে অনেক জেলে পরিবার কষ্টে দিন যাপন করছেন।
উত্তর চট্টলা জেলে কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাশ বলেন, পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত সাগর উপকূলে ৩৮টি জেলেপল্লিতে অর্ধলাখ জেলের বসবাস। মাছ ধরা বন্ধের ৬৫ দিনে অধিকাংশ পরিবারই ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়।
লিটন জলদাশ বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও প্রতিবছর সাগরে জাল আটকানোর ফাঁড়গুলো (খুঁটি) সাগরে পাতা থাকে। কারণ, এসব খুঁটি স্থাপন করা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি সময় সাপেক্ষও। তাই এগুলো জেলেরা সাগর থেকে তোলেন না। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে সেখানেই আবার জাল পাতা হয়। কিন্তু এবার নৌ পুলিশ হঠাৎ সব খুঁটি তুলে ফেলায় লাখ লাখ টাকার সম্পদহানি হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তালিকাভুক্ত জেলে হলেন ৪ হাজার ৮০৫ জন। জীবিকার প্রয়োজনে সরকার তাঁদের নানাভাবে ভর্তুকি দিয়ে চাল, গরু, বাছুর ইত্যাদি দিচ্ছে। তবে এ কথা সত্যি যে এখানে মাছ ধরা বন্ধের সময়ে সাগর থেকে অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরেন। তাই এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে কথা চলছে যেন তাঁরাও মাছ না ধরেন।’ সরকারি নির্দেশনা মানলে ভবিষ্যতে মাছ বৃদ্ধি পেলে জেলেরাই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে