মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার। সেই সঙ্গে বাড়ছে সহিংসতাও। শেষ সময়ে প্রার্থীরা নিজেদের সেরা অবস্থান জানান দিতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ মোটরসাইকেল মহড়ায় উৎসবের আমেজ তৈরি করেছেন। এর পাশাপাশি কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ সময়ে প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি। নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে নতুন প্রার্থীরা চাচ্ছেন পরিবর্তন। আর পুরোনোরা বলছেন, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে তাঁদের বিকল্প নেই।
সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। মাইকিং ও প্রচারে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা নির্বাচনী আলোচনা-সমালোচনায় জমজমাট পাড়া-মহল্লা, মোড়সহ চায়ের দোকান।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকটি ইউপিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেক প্রার্থী ও ভোটার। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউপির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে সদর ইউপিতে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এক বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহত হন ৯ জন।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে উচাখিলায়। ওই ইউপিতে গত ১৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের আগেই বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হন।
এ ছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ইউপির আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলেও তাঁরা তা অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ইউপিতে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সদর ইউপির তরুণ ভোটার মো. মোস্তাকিম বলেন, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটুক, এমনটি প্রত্যাশা করছি। এ ছাড়া ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এমন পরিবেশ প্রস্তুত রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি, সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১১টি ইউপিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আচরণবিধি সম্বন্ধে প্রার্থীদের একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, একজন প্রার্থীর তিনটির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় না করতে। রাত ৮টার পর সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার আচরণবিধি লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেউ তা লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার। সেই সঙ্গে বাড়ছে সহিংসতাও। শেষ সময়ে প্রার্থীরা নিজেদের সেরা অবস্থান জানান দিতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ মোটরসাইকেল মহড়ায় উৎসবের আমেজ তৈরি করেছেন। এর পাশাপাশি কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ সময়ে প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি। নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে নতুন প্রার্থীরা চাচ্ছেন পরিবর্তন। আর পুরোনোরা বলছেন, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে তাঁদের বিকল্প নেই।
সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। মাইকিং ও প্রচারে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা নির্বাচনী আলোচনা-সমালোচনায় জমজমাট পাড়া-মহল্লা, মোড়সহ চায়ের দোকান।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকটি ইউপিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেক প্রার্থী ও ভোটার। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউপির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে সদর ইউপিতে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এক বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহত হন ৯ জন।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে উচাখিলায়। ওই ইউপিতে গত ১৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের আগেই বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হন।
এ ছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ইউপির আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলেও তাঁরা তা অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ইউপিতে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সদর ইউপির তরুণ ভোটার মো. মোস্তাকিম বলেন, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটুক, এমনটি প্রত্যাশা করছি। এ ছাড়া ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এমন পরিবেশ প্রস্তুত রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি, সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১১টি ইউপিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আচরণবিধি সম্বন্ধে প্রার্থীদের একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, একজন প্রার্থীর তিনটির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় না করতে। রাত ৮টার পর সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার আচরণবিধি লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেউ তা লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে