ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছায় গ্রামীণ সড়কগুলোর পাশে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর কাটা হয়েছে। পাড়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না রেখেই এসব পুকুর কাটা হয়েছে। পুকুরগুলোর পানিতে পাড়ের মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় সড়কগুলোতে ছোট-বড় ধস দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সড়ক ধসে চলাচলে ঝুঁকি বাড়লেও ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পুকুর মালিকদের কোনো সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
উপজেলার অধিকাংশ সড়ক সংস্কারের অল্পদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিমুলিয়া ইউনিয়নের সড়কগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। তা ছাড়া বাঁকড়া ইউনিয়নেও বেশ কয়েকটি সড়ক জলাশয়ে ধসে পড়ছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫৪টি পুকুর রয়েছে। যার মোট আয়তন ৪ হাজার ২৬৯ হেক্টর। এসব পুকুরের প্রায় সবগুলোতেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়। মাছ চাষ করা পুকুরের পাড় বেশি ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলার বেনেয়ালী-সাহেববাড়ি সড়কের শিমুলিয়া থেকে গঙ্গানন্দপুর বাজার পর্যন্ত অংশে পাশে প্রায় শতাধিক ছোটবড় পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে সবগুলোরই পাড়ের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় সড়ক ধসে পড়েছে। এ সড়কের পাল্লা বাজারের কাছাকাছি মোকামতলা দাখিল মাদ্রাসার পাশেই ইউনুস আলী ও আলতাফ হোসেনের পুকুরে সড়কের অর্ধেক ধসে গেছে।
মোকামতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘পাল্লা গ্রামের সড়কে ইউনুস আলী ও আলতাফ হোসেনের পুকুরে রাস্তার প্রায় ৬–১০ ফুট অংশ ধসে পড়েছে। ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাবে না।’
এ বিষয়ে পুকুর মালিক ইউনুস আলীর ছেলে রাজু সেলিম রনি বলেন, ‘পুকুরটি আগে ইজারা দেওয়া ছিল। এখন আমরা মাছ চাষ করি। কিন্তু পাড় ভেঙে সড়কও ধসে গেছে, তাই মাস চারেক আগে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় বরাবর পাড় বেঁধে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরদার বলেন, ‘সড়কটির বেশ কয়েকটি অংশ পুকুরে ধসে গেছে। সড়কটি এলজিআরডির হওয়া সত্ত্বেও আমি নিজ উদ্যোগে দুই–তিন জায়গায় ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করেছি। পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ লাগবে।’
বাঁকড়া ইউপির চেয়ারম্যান আনিস-উর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক পুকুরে ধসে গেছে। এসব পুকুরের পাড় না বাঁধলে সড়ক থাকবে না। বিশেষ করে বাঁকড়া-শিমুলিয়া, বাঁকড়া-খোলসি সড়কসহ অধিকাংশ সড়কেরই এক অবস্থা। প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে বর্ষাকালে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে।’
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘পুকুরের পাড়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না রাখলে এর পাশের সড়কগুলো ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুকুরমালিকদের পাড় বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, ‘পুকুর কাটলে কতটুকু পাড় রাখতে হবে, সড়ক থেকে কতটুকু দূরত্বে পুকুরে কাটতে হবে তা সরকারিভাবে বলা রয়েছে। আর পুকুরের মালিককে নিজ উদ্যোগে পাড় বেঁধে দিতে হবে, এটা নিয়ম। বিষয়টি আমি একাধিক বার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
শ্যামল কুমার বসু আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘শিমুলিয়া ইউনিয়নের সড়কগুলো পুকুরে ধসে গেছে। বর্ষাকালে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে, চলাচলে ভোগান্তি বাড়বে। এখনই আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। পুকুরের পাড় বেঁধে দেওয়ার কোনো আবেদন পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুকুর মালিকদের পাড় বেঁধে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের ঝিকরগাছায় গ্রামীণ সড়কগুলোর পাশে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর কাটা হয়েছে। পাড়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না রেখেই এসব পুকুর কাটা হয়েছে। পুকুরগুলোর পানিতে পাড়ের মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় সড়কগুলোতে ছোট-বড় ধস দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সড়ক ধসে চলাচলে ঝুঁকি বাড়লেও ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পুকুর মালিকদের কোনো সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
উপজেলার অধিকাংশ সড়ক সংস্কারের অল্পদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিমুলিয়া ইউনিয়নের সড়কগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। তা ছাড়া বাঁকড়া ইউনিয়নেও বেশ কয়েকটি সড়ক জলাশয়ে ধসে পড়ছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫৪টি পুকুর রয়েছে। যার মোট আয়তন ৪ হাজার ২৬৯ হেক্টর। এসব পুকুরের প্রায় সবগুলোতেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়। মাছ চাষ করা পুকুরের পাড় বেশি ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলার বেনেয়ালী-সাহেববাড়ি সড়কের শিমুলিয়া থেকে গঙ্গানন্দপুর বাজার পর্যন্ত অংশে পাশে প্রায় শতাধিক ছোটবড় পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে সবগুলোরই পাড়ের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় সড়ক ধসে পড়েছে। এ সড়কের পাল্লা বাজারের কাছাকাছি মোকামতলা দাখিল মাদ্রাসার পাশেই ইউনুস আলী ও আলতাফ হোসেনের পুকুরে সড়কের অর্ধেক ধসে গেছে।
মোকামতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘পাল্লা গ্রামের সড়কে ইউনুস আলী ও আলতাফ হোসেনের পুকুরে রাস্তার প্রায় ৬–১০ ফুট অংশ ধসে পড়েছে। ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাবে না।’
এ বিষয়ে পুকুর মালিক ইউনুস আলীর ছেলে রাজু সেলিম রনি বলেন, ‘পুকুরটি আগে ইজারা দেওয়া ছিল। এখন আমরা মাছ চাষ করি। কিন্তু পাড় ভেঙে সড়কও ধসে গেছে, তাই মাস চারেক আগে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় বরাবর পাড় বেঁধে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরদার বলেন, ‘সড়কটির বেশ কয়েকটি অংশ পুকুরে ধসে গেছে। সড়কটি এলজিআরডির হওয়া সত্ত্বেও আমি নিজ উদ্যোগে দুই–তিন জায়গায় ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করেছি। পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ লাগবে।’
বাঁকড়া ইউপির চেয়ারম্যান আনিস-উর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক পুকুরে ধসে গেছে। এসব পুকুরের পাড় না বাঁধলে সড়ক থাকবে না। বিশেষ করে বাঁকড়া-শিমুলিয়া, বাঁকড়া-খোলসি সড়কসহ অধিকাংশ সড়কেরই এক অবস্থা। প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে বর্ষাকালে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে।’
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘পুকুরের পাড়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না রাখলে এর পাশের সড়কগুলো ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুকুরমালিকদের পাড় বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, ‘পুকুর কাটলে কতটুকু পাড় রাখতে হবে, সড়ক থেকে কতটুকু দূরত্বে পুকুরে কাটতে হবে তা সরকারিভাবে বলা রয়েছে। আর পুকুরের মালিককে নিজ উদ্যোগে পাড় বেঁধে দিতে হবে, এটা নিয়ম। বিষয়টি আমি একাধিক বার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
শ্যামল কুমার বসু আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, ‘শিমুলিয়া ইউনিয়নের সড়কগুলো পুকুরে ধসে গেছে। বর্ষাকালে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে, চলাচলে ভোগান্তি বাড়বে। এখনই আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। পুকুরের পাড় বেঁধে দেওয়ার কোনো আবেদন পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুকুর মালিকদের পাড় বেঁধে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে