দাউদকান্দি প্রতিনিধি
দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি থেকে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। একটি চক্র দীর্ঘদিন অবাধে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে আশপাশের অসংখ্য কৃষকের ফসলি জমি। এ অবস্থায় শিগগিরই ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনকারী চক্রটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির মালিখিল, বেকিনগর, মালিগাঁও, কালাসোনা, মোহাম্মদপুর নতুন বাজারসহ উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তোলার ফলে ছোটবড় পুকুরে পরিণত হচ্ছে কৃষি জমি। তা ছাড়া যেসব জমির পাশ থেকে মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে সেসব জমির পাশের জমিতে যে কোনো মুহূর্তে ভাঙন দেখা দিতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত অবৈধ খননযন্ত্র (ড্রেজার) জব্দ করা হলেও প্রভাবশালী ওই চক্রটি কোনোভাবেই তাদের কাজ থামাচ্ছে না। আইনের তোয়াক্কা না করে বারবার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে তারা।
আরও জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রায় প্রতিটি গ্রামের কৃষিজমি থেকে ১৮-২০টি ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব মাটি প্রতিদিন ট্রাক্টরে করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ড্রেজার জব্দ ও পাইপ নষ্ট করার পাশাপাশি আইনের আওতায় নিয়ে জেল জরিমানা করা হলে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তোলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মালিখিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে দুটি ড্রেজার চলছে। কিছুদিন আগে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজারে ব্যবহৃত পাইপ ও ড্রেজার জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। দুই-তিন দিন যেতে না যেতেই আবার বালু দস্যুরা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মো. রেজাউল করিম ও মাসুদ এ কাজ করছেন। এলাকার লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সাহস পান না তাঁরা।
বালু উত্তোলনের কারণে কৃষিজমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মো. রেজাউল করিম একটি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি চালান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাসুদের চলাফেরা রয়েছে। মাটি ও বালু উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই অভিযোগকারীদের নানান হুমকি-ধমকি দেখান তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘রেজাউল ও মাসুদ প্রথমে নিজেদের জমি থেকে মাটি ও বালু তোলা শুরু করেন। পরে মাটি ও বালু তুলতে তুলতে তাঁদের জমিতে বড় গর্ত তৈরি হয় এবং পাশের অন্য কৃষকদের জমিতে ভাঙন শুরু হয়। পরে অন্য কৃষকদের নামমাত্র টাকা দিয়ে তাঁদের জমি থেকেও মাটি ও বালু তুলতে শুরু করেন রেজাউল ও মাসুদ। এভাবেই তাঁরা তাঁদের অবৈধ কাজের ব্যাপ্তি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এ কাজে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কিন্তু মাটি-বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় এবং উত্তোলনকারী চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষকেরা মুখ খোলেন না।’
অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, ‘অনেককে হাত করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে।’ এতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম খান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এর আগে অবৈধভাবে মাটি-বালু তোলার অপরাধে ওই ড্রেজারগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা ও ড্রেজার মেশিনের পাইপ নষ্ট করা হয়েছে। পুরো উপজেলাজুড়ে অভিযান চলমান রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেখানে আবার অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি থেকে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। একটি চক্র দীর্ঘদিন অবাধে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে আশপাশের অসংখ্য কৃষকের ফসলি জমি। এ অবস্থায় শিগগিরই ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনকারী চক্রটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির মালিখিল, বেকিনগর, মালিগাঁও, কালাসোনা, মোহাম্মদপুর নতুন বাজারসহ উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তোলার ফলে ছোটবড় পুকুরে পরিণত হচ্ছে কৃষি জমি। তা ছাড়া যেসব জমির পাশ থেকে মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে সেসব জমির পাশের জমিতে যে কোনো মুহূর্তে ভাঙন দেখা দিতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত অবৈধ খননযন্ত্র (ড্রেজার) জব্দ করা হলেও প্রভাবশালী ওই চক্রটি কোনোভাবেই তাদের কাজ থামাচ্ছে না। আইনের তোয়াক্কা না করে বারবার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে তারা।
আরও জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রায় প্রতিটি গ্রামের কৃষিজমি থেকে ১৮-২০টি ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব মাটি প্রতিদিন ট্রাক্টরে করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ড্রেজার জব্দ ও পাইপ নষ্ট করার পাশাপাশি আইনের আওতায় নিয়ে জেল জরিমানা করা হলে অবৈধভাবে মাটি ও বালু তোলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মালিখিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে দুটি ড্রেজার চলছে। কিছুদিন আগে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজারে ব্যবহৃত পাইপ ও ড্রেজার জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। দুই-তিন দিন যেতে না যেতেই আবার বালু দস্যুরা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মো. রেজাউল করিম ও মাসুদ এ কাজ করছেন। এলাকার লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সাহস পান না তাঁরা।
বালু উত্তোলনের কারণে কৃষিজমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মো. রেজাউল করিম একটি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি চালান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাসুদের চলাফেরা রয়েছে। মাটি ও বালু উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই অভিযোগকারীদের নানান হুমকি-ধমকি দেখান তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘রেজাউল ও মাসুদ প্রথমে নিজেদের জমি থেকে মাটি ও বালু তোলা শুরু করেন। পরে মাটি ও বালু তুলতে তুলতে তাঁদের জমিতে বড় গর্ত তৈরি হয় এবং পাশের অন্য কৃষকদের জমিতে ভাঙন শুরু হয়। পরে অন্য কৃষকদের নামমাত্র টাকা দিয়ে তাঁদের জমি থেকেও মাটি ও বালু তুলতে শুরু করেন রেজাউল ও মাসুদ। এভাবেই তাঁরা তাঁদের অবৈধ কাজের ব্যাপ্তি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এ কাজে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কিন্তু মাটি-বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় এবং উত্তোলনকারী চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষকেরা মুখ খোলেন না।’
অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, ‘অনেককে হাত করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে।’ এতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম খান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এর আগে অবৈধভাবে মাটি-বালু তোলার অপরাধে ওই ড্রেজারগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা ও ড্রেজার মেশিনের পাইপ নষ্ট করা হয়েছে। পুরো উপজেলাজুড়ে অভিযান চলমান রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেখানে আবার অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে