অরূপ রায়, সাভার
একসময় এই নদীতে নৌকা চলত, জেলেরা মাছ ধরতেন, নৌকাবাইচে মেতে উঠত নদীপারের মানুষ। সেই নদীর বুকে নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক, সেই সড়কে এখন চলে যানবাহন। গড়ে উঠেছে বিপণিবিতান ও ঘরবাড়ি। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে কোনো কালে আদৌ নদী বলে কিছু ছিল। এই চিত্র ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবহমান বংশীর শাখানদীর।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বংশীর এই শাখানদী একসময় সাভারের ধামসোনা ইউনিয়নের নলাম থেকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া বাজারের পাশ দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত প্রবহমান ছিল। বর্তমানে এই নদীর নলাম থেকে শিমুলিয়া বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। উজান থেকে আসা পলির কারণে একসময় নদী ভরাট হতে থাকে। আশির দশকে ধামরাইয়ের ধানতারা ও সাভারের শিমুলিয়ায় পলি জমে নদীতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দুই পারের জমির মালিকেরা নদী ভরাট করে চাষাবাদ শুরু করেন। উপজেলা প্রশাসন নদীটি খননের উদ্যোগ না নিয়ে বরং ১৯৮৫ সালে মৃত নদীর বুকে নির্মাণ করে পাকা সড়ক, যা এখন দেখে বোঝার উপায় নেই নলাম থেকে শিমুলিয়া পর্যন্ত কোনো নদী ছিল।
সরেজমিনে নলাম থেকে শিমুলিয়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিআইডব্লিউটিএর অসংখ্য পিলার চোখে পড়ে। মাস চারেক আগে সংস্থার পক্ষ থেকে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার পর পিলারের পাশাপাশি মালিকানাসংক্রান্ত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
পিলারের ভেতর থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে তা নলাম-শিমুলিয়া সড়কের পাশে ফেলতে দেখা যায়। সড়কের উন্নয়নকাজের জন্য ঠিকাদারের লোকজন মাটি কাটছেন বলে জানা যায়। তবে মাটি কাটার জন্য বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, মাটি কাটার অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করা হয়েছে। খুব শিগগির অনুমতি পাওয়া যাবে।
সীমানা পিলার অনুযায়ী শিমুলিয়া বাজারের চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটের অবস্থান নদীর ভেতরে। মার্কেটটি নির্মাণ করেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম।
নদীপারের বাসিন্দা শিমুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের পাশ দিয়েই প্রবহমান ছিল বংশীর শাখানদী। পলি পড়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ার পর ভরাট করে নদীর বুকে নির্মাণ করা হয় বিপণিবিতান ও ঘরবাড়ি।
তবে নূরুল ইসলামের ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, নদী নয়, নদীর তীরে ব্যক্তিমালিকানা জায়গায় তাঁরা বিপণিবিতান নির্মাণ করেছেন।বাজারের পাশের নতুন বন্দর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ বণিক বলেন, শিমুলিয়া বাজার সাভার ও ধামরাইয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যবসা কেন্দ্র। ঢাকা ও সাভার থেকে বড় নৌকায় করে শিমুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের পণ্য আসত বংশীর এই শাখানদী দিয়ে। নৌকা ভিড়ত তাঁদের গ্রামে। সে কারণেই সম্ভবত তাঁদের গ্রামের নাম হয়েছে ‘নতুন বন্দর’।
পাইছাইল বণিকপাড়ার ব্যবসায়ী প্রিয় জীবন দাস বলেন, একসময় বংশীর এই শাখানদী ঘিরেই ছিল এখানকার কৃষি, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি। এখন তা হয়ে গেছে সড়ককেন্দ্রিক।
পাইছাইল মাঝিপাড়ার বৃদ্ধ ভানুশ্বর মালো বলেন, সত্তরের দশকে বংশীর এই শাখায় স্রোতোধারা ছিল। নদীতে জাল ফেললেই হরেক প্রজাতির মাছ মিলত। মাত্র ৪০ বছরে সেই নদী মরে গেল। দেখলে বোঝার উপায় নেই এখানে নদী বলে একটা কিছু ছিল।
সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রহিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু বংশীর এই শাখানদী নয়, দখল আর দূষণের কারণে সাভারের অনেক নদী ও খাল হারিয়ে গেছে।
একসময় এই নদীতে নৌকা চলত, জেলেরা মাছ ধরতেন, নৌকাবাইচে মেতে উঠত নদীপারের মানুষ। সেই নদীর বুকে নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক, সেই সড়কে এখন চলে যানবাহন। গড়ে উঠেছে বিপণিবিতান ও ঘরবাড়ি। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে কোনো কালে আদৌ নদী বলে কিছু ছিল। এই চিত্র ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবহমান বংশীর শাখানদীর।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বংশীর এই শাখানদী একসময় সাভারের ধামসোনা ইউনিয়নের নলাম থেকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া বাজারের পাশ দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত প্রবহমান ছিল। বর্তমানে এই নদীর নলাম থেকে শিমুলিয়া বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। উজান থেকে আসা পলির কারণে একসময় নদী ভরাট হতে থাকে। আশির দশকে ধামরাইয়ের ধানতারা ও সাভারের শিমুলিয়ায় পলি জমে নদীতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দুই পারের জমির মালিকেরা নদী ভরাট করে চাষাবাদ শুরু করেন। উপজেলা প্রশাসন নদীটি খননের উদ্যোগ না নিয়ে বরং ১৯৮৫ সালে মৃত নদীর বুকে নির্মাণ করে পাকা সড়ক, যা এখন দেখে বোঝার উপায় নেই নলাম থেকে শিমুলিয়া পর্যন্ত কোনো নদী ছিল।
সরেজমিনে নলাম থেকে শিমুলিয়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিআইডব্লিউটিএর অসংখ্য পিলার চোখে পড়ে। মাস চারেক আগে সংস্থার পক্ষ থেকে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার পর পিলারের পাশাপাশি মালিকানাসংক্রান্ত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
পিলারের ভেতর থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে তা নলাম-শিমুলিয়া সড়কের পাশে ফেলতে দেখা যায়। সড়কের উন্নয়নকাজের জন্য ঠিকাদারের লোকজন মাটি কাটছেন বলে জানা যায়। তবে মাটি কাটার জন্য বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, মাটি কাটার অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করা হয়েছে। খুব শিগগির অনুমতি পাওয়া যাবে।
সীমানা পিলার অনুযায়ী শিমুলিয়া বাজারের চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটের অবস্থান নদীর ভেতরে। মার্কেটটি নির্মাণ করেন শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম।
নদীপারের বাসিন্দা শিমুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের পাশ দিয়েই প্রবহমান ছিল বংশীর শাখানদী। পলি পড়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ার পর ভরাট করে নদীর বুকে নির্মাণ করা হয় বিপণিবিতান ও ঘরবাড়ি।
তবে নূরুল ইসলামের ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, নদী নয়, নদীর তীরে ব্যক্তিমালিকানা জায়গায় তাঁরা বিপণিবিতান নির্মাণ করেছেন।বাজারের পাশের নতুন বন্দর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ বণিক বলেন, শিমুলিয়া বাজার সাভার ও ধামরাইয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যবসা কেন্দ্র। ঢাকা ও সাভার থেকে বড় নৌকায় করে শিমুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের পণ্য আসত বংশীর এই শাখানদী দিয়ে। নৌকা ভিড়ত তাঁদের গ্রামে। সে কারণেই সম্ভবত তাঁদের গ্রামের নাম হয়েছে ‘নতুন বন্দর’।
পাইছাইল বণিকপাড়ার ব্যবসায়ী প্রিয় জীবন দাস বলেন, একসময় বংশীর এই শাখানদী ঘিরেই ছিল এখানকার কৃষি, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি। এখন তা হয়ে গেছে সড়ককেন্দ্রিক।
পাইছাইল মাঝিপাড়ার বৃদ্ধ ভানুশ্বর মালো বলেন, সত্তরের দশকে বংশীর এই শাখায় স্রোতোধারা ছিল। নদীতে জাল ফেললেই হরেক প্রজাতির মাছ মিলত। মাত্র ৪০ বছরে সেই নদী মরে গেল। দেখলে বোঝার উপায় নেই এখানে নদী বলে একটা কিছু ছিল।
সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রহিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু বংশীর এই শাখানদী নয়, দখল আর দূষণের কারণে সাভারের অনেক নদী ও খাল হারিয়ে গেছে।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১৯ মিনিট আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪২ মিনিট আগেপ্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগে