নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট আজ। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের নজরদারি বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁরা মনে করছেন, কেন্দ্রে সাংবাদিক উপস্থিত থাকলে প্রতিপক্ষের লোকজন বিশৃঙ্খলা করার সাহস পায় না।

চতুর্থ ধাপে সৈয়দপুরের পাঁচটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চার, বিএনপি সমর্থিত তিন, জামায়াতের দুই, জাতীয় পার্টির এক, জাকের পার্টির এক, ইসলামী আন্দোলনের চার ও স্বতন্ত্র নয়জন প্রার্থী রয়েছেন।

জানা গেছে, সৈয়দপুরে পাঁচটি ইউপির মধ্যে চারটিতে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে চারজন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রকিব সোহন। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুর চৌধুরী বুলবুল।

বজলুর চৌধুরী বুলবুল জানান, তিনি চান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট। ভোটে যেন কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা না হয়। এ জন্য নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন সাংবাদিকদের উপস্থিতি কামনা করেন তিনি।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান জুন ইসলাম ও খাতামধুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল চৌধুরী। তাঁরা জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে সাংবাদিক থাকলে ভালো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৈয়দপুরে কর্মরত দুই সাংবাদিক জানান, একাধিক প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে কেউ যোগাযোগ করার কারণে নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে তাঁরা প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের সতর্ক করে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোয় তাঁদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’