সম্পাদকীয়
আমাদের দেশের কৃষকদের সমস্যার শেষ নেই। কখনো বীজ বা সেচ, কখনো সার বা জ্বালানি, আবার কখনো ন্যায্যমূল্যে পণ্যের দাম না পাওয়ার অনিশ্চয়তা নিয়ে ফসল ফলাতে হয় তাঁদের। এরপরও তাঁরা কোনো কিছুকে পরোয়া না করে প্রতিবছর ফসল ফলানোর কাজটি করে যাচ্ছেন। যুগ যুগ ধরে এভাবেই তাঁরা দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর এমনিতেই এপ্রিলজুড়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সেই প্রভাব কৃষিক্ষেত্রেও পড়েছে। দেশের অনেক এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে, আবার অনেক জায়গায় এখনো ধান কাটার মতো পরিপক্ব হয়নি। ধানগাছ পরিপুষ্ট হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এ সময় সেচ-সুবিধা স্বাভাবিক রাখা খুব জরুরি। কিন্তু নাটোরের লালপুর উপজেলায় অধিকাংশ গভীর নলকূপ দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ২৯টি গভীর নলকূপের মধ্যে ২৫টি দিয়ে কোনো ধরনের সেচ-সুবিধা পাচ্ছেন না সেখানকার কৃষকেরা। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, লালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই প্রকল্পের নলকূপ চালানোর দায়িত্বে থাকা ড্রাইভার ও ম্যানেজার সেচের পানির মূল খরচের চেয়ে অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করতেন। এতে কৃষকদের নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিতে বেশি টাকা খরচ হতো। এভাবে তাঁদের ফসল উৎপাদন খরচও বেড়ে যেত। আবার আদায় করা অতিরিক্ত টাকা নিজেরাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিতেন। তাই কৃষকেরা খরচ কমানোর জন্য কম টাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতেন।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলা একসময় খুবই খরাপ্রবণ এলাকা ছিল। এসব জেলাকে বরেন্দ্র অঞ্চল বলা হয়। এখানকার মানুষের মূল পেশা কৃষি। পানির অভাবে একসময় এসব এলাকায় ঠিকমতো ফসল উৎপাদিত হতো না। ফলে দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে হতো এখানকার অধিবাসীদের। সেই সমস্যার সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয় বরেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপ স্থাপন শুরু করলে এই অঞ্চলের কৃষির চিত্র দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে।
সেই থেকে লালপুর উপজেলার কৃষকেরা গভীর নলকূপ দ্বারা উপকৃত হয়ে আসছেন। কিন্তু নলকূপ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে নলকূপের বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। সে জন্য দরকার ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তদারকি-ব্যবস্থা জোরদার করা। কিন্তু সেটা না করার কারণে সরকারের টাকা গচ্চা গেছে। মাঝখান থেকে কৃষকেরা সেচের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এখন গভীর নলকূপগুলো সচল করা জরুরি। শুধু কৃষকদের প্রয়োজনে নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থেও এটা করতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে সত্যতা প্রমাণ হলে দণ্ড দেওয়াটাও জরুরি—হোক তাঁরা ড্রাইভার, ম্যানেজার কিংবা বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আমাদের দেশের কৃষকদের সমস্যার শেষ নেই। কখনো বীজ বা সেচ, কখনো সার বা জ্বালানি, আবার কখনো ন্যায্যমূল্যে পণ্যের দাম না পাওয়ার অনিশ্চয়তা নিয়ে ফসল ফলাতে হয় তাঁদের। এরপরও তাঁরা কোনো কিছুকে পরোয়া না করে প্রতিবছর ফসল ফলানোর কাজটি করে যাচ্ছেন। যুগ যুগ ধরে এভাবেই তাঁরা দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর এমনিতেই এপ্রিলজুড়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সেই প্রভাব কৃষিক্ষেত্রেও পড়েছে। দেশের অনেক এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে, আবার অনেক জায়গায় এখনো ধান কাটার মতো পরিপক্ব হয়নি। ধানগাছ পরিপুষ্ট হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এ সময় সেচ-সুবিধা স্বাভাবিক রাখা খুব জরুরি। কিন্তু নাটোরের লালপুর উপজেলায় অধিকাংশ গভীর নলকূপ দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ২৯টি গভীর নলকূপের মধ্যে ২৫টি দিয়ে কোনো ধরনের সেচ-সুবিধা পাচ্ছেন না সেখানকার কৃষকেরা। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, লালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এসব গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই প্রকল্পের নলকূপ চালানোর দায়িত্বে থাকা ড্রাইভার ও ম্যানেজার সেচের পানির মূল খরচের চেয়ে অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করতেন। এতে কৃষকদের নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিতে বেশি টাকা খরচ হতো। এভাবে তাঁদের ফসল উৎপাদন খরচও বেড়ে যেত। আবার আদায় করা অতিরিক্ত টাকা নিজেরাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিতেন। তাই কৃষকেরা খরচ কমানোর জন্য কম টাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতেন।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলা একসময় খুবই খরাপ্রবণ এলাকা ছিল। এসব জেলাকে বরেন্দ্র অঞ্চল বলা হয়। এখানকার মানুষের মূল পেশা কৃষি। পানির অভাবে একসময় এসব এলাকায় ঠিকমতো ফসল উৎপাদিত হতো না। ফলে দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে হতো এখানকার অধিবাসীদের। সেই সমস্যার সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয় বরেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপ স্থাপন শুরু করলে এই অঞ্চলের কৃষির চিত্র দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে।
সেই থেকে লালপুর উপজেলার কৃষকেরা গভীর নলকূপ দ্বারা উপকৃত হয়ে আসছেন। কিন্তু নলকূপ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে নলকূপের বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। সে জন্য দরকার ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তদারকি-ব্যবস্থা জোরদার করা। কিন্তু সেটা না করার কারণে সরকারের টাকা গচ্চা গেছে। মাঝখান থেকে কৃষকেরা সেচের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এখন গভীর নলকূপগুলো সচল করা জরুরি। শুধু কৃষকদের প্রয়োজনে নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থেও এটা করতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে সত্যতা প্রমাণ হলে দণ্ড দেওয়াটাও জরুরি—হোক তাঁরা ড্রাইভার, ম্যানেজার কিংবা বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে