রানা আব্বাস, ঢাকা
আপনার বাংলাদেশ অধ্যায়টা তাহলে শেষই হয়ে যাচ্ছে? কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর ওটিস গিবসনের সংক্ষিপ্ত উত্তর আসে, ‘চুক্তিটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০ জানুয়ারি।’
যে পেস বোলিং কোচের অধীনে গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেসাররা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন, যাঁর অধীনে প্রথমবারের মতো পেসাররা বিদেশের মাঠে টেস্ট জিতিয়েছেন—সেই গিবসনের বাংলাদেশ অধ্যায়টা আরেকটু বড় হতে পারত না? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হলে গিবসন ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)—দুই পক্ষকেই একটি সমঝোতায় আসতে হতো। সেটি যে হয়নি, গিবসনের বিদায়েই বোঝা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ দলের এক বিদেশি কোচ পরশু হোয়াটসআপ বার্তায় বলছিলেন, ‘বর্তমান যে বোলিং বিভাগটা আছে, এদের মতো আগে কোনো বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং বিভাগ এমন পারফর্ম করেনি। এদের কোচিং করিয়েছে, নির্দেশনা দিয়েছে ওটিস। অথচ এখন সবাই ভাবছে, সে যাচ্ছে, যাক। ব্যাপারটা হাস্যকর!’
অবশ্য এটা ঠিক, পেশাদার কোচ হিসেবে গিবসন চুক্তির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি খুঁজবেন, ক্রিকেট বোর্ডও তাঁর বিকল্প খুঁজবে। কিন্তু বার্বাডিয়ান কোচের এই স্বাভাবিক বিদায়েও যে আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর ছাত্রদের কণ্ঠে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, কোন ফাঁকে গিবসনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে, তাঁরা সেটা টেরই পাননি। পাননি বলেই তাঁর চলে যাওয়ায় অবাকও হয়েছেন তাসকিন-ইবাদতরা।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের নায়ক ইবাদত হোসেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই গিবসনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। গতকাল ক্রাইস্টচার্চ থেকে বলছিলেন, ‘গত দুই বছর আমাদের পেসারদের উন্নতি দেখলে বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমাদের পেসাররা কতটা উন্নতি করেছে। আমরাও চাইছিলাম তিনি যেন থাকেন। তিনি যেভাবে শেখাতেন, খুব সহজে শিখতে পারার মতো একটা ব্যাপার ছিল। ঢাকায় একদিন আমাদের বলছিলেন, যাওয়ার আগে অন্তত চার-পাঁচজন বিশ্বমানের পেসার রেখে যেতে চাই এখানে।’
ক্রাইস্টচার্চ থেকে বাংলাদেশ দলের আরেক ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন গিবসনের অধীনে তাঁদের টেকনিক্যাল উন্নতির কথা, ‘কোচ হিসেবে ওটিস আমাদের কাছে বেশি সুট করেছিলেন। রিস্ট পজিশন, লাইন-লেংথ, অ্যাকশন—কার কোথায় বেশি জোর দিলে ভালো হবে, এসব নিয়ে কাজ করেছেন। বোলারদের সঙ্গে তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁর চলে যাওয়ার খবরে আমরাও একটু অবাক হয়েছি!’
সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, ‘আমার বেসিকে সে হাত দেয়নি। বেসিক পরিবর্তন করলে আমার বোলিং নষ্ট হয়ে যেত। আমার ইনসুইংয়ে তার অবদান আছে। ২০২০ সালের শুরুতে এটা নিয়ে প্রথম তার সঙ্গে কাজ করেছিলাম।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা বাজারে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য জাতীয় দলে ভালো মানের কোচ পাওয়া এখন বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভালো কোচ এলেও নানা কারণে লম্বা মেয়াদে তাঁদের ধরে রাখা কঠিন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস অবশ্য গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, গিবসন মোটেও আবেগতাড়িত হয়ে বিদায় নিচ্ছেন না, ‘কারও মন ভেঙেছে কি না, তাদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে...তারা এসবে অভ্যস্ত, খুব পেশাদার। কোনো কোচই আবেগপ্রবণ নয়।’
পেশাদার কোচরা আবেগপ্রবণ হন না—এটা যেমন ঠিক; এও ঠিক, একটা দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি, ক্রিকেট বোর্ড কতটা পেশাদার আচরণ করছে—এসবও তাঁরা ভাবেন। নাহলে দলের ওই কোচিং স্টাফ কেন এই প্রতিবেদককে বলবেন, ‘যারা কোচের চাকরি দেয়, তারা ভাবে যে কোচরা জাদুর কাঠি নিয়ে হাঁটে। আদতে তা নয়। খেলোয়াড়দের পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় আর কঠোর পরিশ্রমই হচ্ছে কোচিং।’
আপনার বাংলাদেশ অধ্যায়টা তাহলে শেষই হয়ে যাচ্ছে? কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর ওটিস গিবসনের সংক্ষিপ্ত উত্তর আসে, ‘চুক্তিটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০ জানুয়ারি।’
যে পেস বোলিং কোচের অধীনে গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেসাররা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন, যাঁর অধীনে প্রথমবারের মতো পেসাররা বিদেশের মাঠে টেস্ট জিতিয়েছেন—সেই গিবসনের বাংলাদেশ অধ্যায়টা আরেকটু বড় হতে পারত না? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হলে গিবসন ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)—দুই পক্ষকেই একটি সমঝোতায় আসতে হতো। সেটি যে হয়নি, গিবসনের বিদায়েই বোঝা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ দলের এক বিদেশি কোচ পরশু হোয়াটসআপ বার্তায় বলছিলেন, ‘বর্তমান যে বোলিং বিভাগটা আছে, এদের মতো আগে কোনো বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং বিভাগ এমন পারফর্ম করেনি। এদের কোচিং করিয়েছে, নির্দেশনা দিয়েছে ওটিস। অথচ এখন সবাই ভাবছে, সে যাচ্ছে, যাক। ব্যাপারটা হাস্যকর!’
অবশ্য এটা ঠিক, পেশাদার কোচ হিসেবে গিবসন চুক্তির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি খুঁজবেন, ক্রিকেট বোর্ডও তাঁর বিকল্প খুঁজবে। কিন্তু বার্বাডিয়ান কোচের এই স্বাভাবিক বিদায়েও যে আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর ছাত্রদের কণ্ঠে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, কোন ফাঁকে গিবসনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে, তাঁরা সেটা টেরই পাননি। পাননি বলেই তাঁর চলে যাওয়ায় অবাকও হয়েছেন তাসকিন-ইবাদতরা।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের নায়ক ইবাদত হোসেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই গিবসনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। গতকাল ক্রাইস্টচার্চ থেকে বলছিলেন, ‘গত দুই বছর আমাদের পেসারদের উন্নতি দেখলে বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমাদের পেসাররা কতটা উন্নতি করেছে। আমরাও চাইছিলাম তিনি যেন থাকেন। তিনি যেভাবে শেখাতেন, খুব সহজে শিখতে পারার মতো একটা ব্যাপার ছিল। ঢাকায় একদিন আমাদের বলছিলেন, যাওয়ার আগে অন্তত চার-পাঁচজন বিশ্বমানের পেসার রেখে যেতে চাই এখানে।’
ক্রাইস্টচার্চ থেকে বাংলাদেশ দলের আরেক ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন গিবসনের অধীনে তাঁদের টেকনিক্যাল উন্নতির কথা, ‘কোচ হিসেবে ওটিস আমাদের কাছে বেশি সুট করেছিলেন। রিস্ট পজিশন, লাইন-লেংথ, অ্যাকশন—কার কোথায় বেশি জোর দিলে ভালো হবে, এসব নিয়ে কাজ করেছেন। বোলারদের সঙ্গে তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁর চলে যাওয়ার খবরে আমরাও একটু অবাক হয়েছি!’
সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, ‘আমার বেসিকে সে হাত দেয়নি। বেসিক পরিবর্তন করলে আমার বোলিং নষ্ট হয়ে যেত। আমার ইনসুইংয়ে তার অবদান আছে। ২০২০ সালের শুরুতে এটা নিয়ে প্রথম তার সঙ্গে কাজ করেছিলাম।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা বাজারে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য জাতীয় দলে ভালো মানের কোচ পাওয়া এখন বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভালো কোচ এলেও নানা কারণে লম্বা মেয়াদে তাঁদের ধরে রাখা কঠিন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস অবশ্য গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, গিবসন মোটেও আবেগতাড়িত হয়ে বিদায় নিচ্ছেন না, ‘কারও মন ভেঙেছে কি না, তাদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে...তারা এসবে অভ্যস্ত, খুব পেশাদার। কোনো কোচই আবেগপ্রবণ নয়।’
পেশাদার কোচরা আবেগপ্রবণ হন না—এটা যেমন ঠিক; এও ঠিক, একটা দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি, ক্রিকেট বোর্ড কতটা পেশাদার আচরণ করছে—এসবও তাঁরা ভাবেন। নাহলে দলের ওই কোচিং স্টাফ কেন এই প্রতিবেদককে বলবেন, ‘যারা কোচের চাকরি দেয়, তারা ভাবে যে কোচরা জাদুর কাঠি নিয়ে হাঁটে। আদতে তা নয়। খেলোয়াড়দের পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় আর কঠোর পরিশ্রমই হচ্ছে কোচিং।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে