চাঁদপুর নৌ-থানায় ঢুকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক তিনজন হলেন পলাশ হোসেন (৩২), তাজমির মোল্লা (২৮), রাব্বি পাটোয়ারী (৩০)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে স্বপন ফরাজীর (৩২) নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলা করেন পলাশ হোসেন, তাজমির মোল্লা, রাব্বি পাটোয়ারী, আল আমিনসহ আরও কয়েকজন। এ সময় স্বপন প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে চাঁদপুর নৌ-থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এসে আশ্রয় নেন। তবে পলাশ হোসেন, তাজমির মোল্লা, রাব্বি পাটোয়ারী, আল আমিনসহ আরও কয়েকজন নৌ-থানায় ঢুকে তাঁকে মারধর করার চেষ্টা করেন।

ডিউটি অফিসারের কক্ষের সামনে দায়িত্ব পালনকারী কনস্টেবল ইউনুছ আলী এসে তাঁদের বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পুলিশ সদস্য ইউনুছ আলীর চিৎকারে নৌ-থানার পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলী আকবর বাবুল, রিপন প্রধান, কনস্টেবল শরীফ উল্যাহ, পরিদর্শকের সহকারী রাকিবসহ নৌ-থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম তাঁদের শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তবে পলাশ হোসেন গং আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে পরিদর্শকের সহকারী রাকিবকে কিল-ঘুষি মারেন। পরিদর্শকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে হুমকি দেন।

তখন পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশে পলাশ হোসেন (৩২), তাজমির মোল্লা (২৮), রাব্বি পাটোয়ারী (৩০), আল আমিনকে (৩২) আটক করা হয়। তবে আল আমিন কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। রাতেই এ ঘটনায় এএসআই আলী আকবর বাবুল বাদী হয়ে পেনাল কোড ১৪১/৩২৩/৩৩২/৩৫৩/ ১৮৯/৩৪ ধারায় মামলা করেন।

এ ব্যাপারে চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-থানায় হামলার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

চাঁদপুর মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, চাঁদপুর নৌ-থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।