সাথি ফসল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। কৃষকেরা আম বাগান ও বিভিন্ন রকম সবজির সঙ্গে তুলা চাষ করছেন। এতে কৃষকের আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সেই সঙ্গে তুলা চাষে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাটির উর্বরা শক্তি।

রাজশাহীর চারঘাটে সিবি-১৪ এবং রুপালি-১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা চাষ বাড়ছে।

উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের কৃষক মুঞ্জুরুল কাদির এবারও তুলা চাষ করেছেন। বিগতে সময়ে তুলা চাষ করে লোকসানে পড়েছিলেন। এর ফলে কয়েক বছর তুলা চাষ থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু গত বছর তুলার সঙ্গে সবজি আবাদ করে তিনি লাভবান হন। এবার তাই আবারও তুলা চাষে জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন তিনি। গত বছর তুলা বিক্রি করে বিঘায় ৩০ হাজার টাকা লাভ করেছেন তিনি।

শুধু মুঞ্জুরুল কাদির নয়, চারঘাটের অসংখ্য কৃষক এখন চাষ করছেন সিবি-১৪ এবং রুপালি-১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা।

উপজেলার মুংলি গ্রামের কৃষক মাহাতাব আলী বলেন, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। ধান, পাট, তামাক, গম ও আলুতে লোকসানের আশঙ্কা থাকে, কিন্তু তুলা চাষে লাভ হয়। তুলার মূল্য নির্ধারণ থাকায় লোকসানের কোনো আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া তুলা চাষে সরকারিভাবে বীজ, সার ও কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। তুলা বিক্রির পরে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

চারঘাট তুলা ইউনিট কর্মকর্তা আব্দুল গফুর জানান, উচ্চফলনশীল জাত সিবি-১৪ ও রুপালি-১ চাষ করে বিঘা প্রতি ১২ মণ ও হাইব্রিড তুলা চাষ করে ১৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরে চারঘাটে ২৫০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে যা গতবারের চেয়ে ১০০ হেক্টর বেশি। তুলা বাজারজাতকরণে সুবিধাজনক দিক হলো-তুলা বোর্ডের ঠিক করে দেওয়া একটি নির্দিষ্ট মূল্য রয়েছে সবখানে। কৃষকেরা যখন-তখন নগদ মূল্যে তুলা বিক্রি করতে পারেন। এ জন্যই তুলা চাষ বাড়ছে।

উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। দেশের জলবায়ু ও মাটি তুলা চাষের উপযোগী হওয়ায় সারা দেশে তুলা চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।