তানিম আহমেদ, ঢাকা
রাজপথের আলগা সুতোয় এবার টান দিয়েছে সরকার। হঠাৎ করে বদলে গেছে রাজনীতির মাঠ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সংঘাতে রূপ নিচ্ছে প্রতিদিন। বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির কর্মসূচির সমান্তরালে শান্তি সমাবেশ করে আসা আওয়ামী লীগ এখন বলছে—আর শান্তি নয়, বিএনপিকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে সর্বশক্তি দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন উত্তপ্ত বক্তব্যের সুযোগটা করে দিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। সম্প্রতি এক বক্তৃতায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। আর একেই ইস্যু বানিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির লক্ষ্য, নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের চাঙা করা। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনে ভয় ধরানো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা যেখানে সরাসরি নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, সেখানে তো তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান থাকবে। তারা এ ধরনের কথা বলার স্পর্ধা পায় কোথা থেকে? এ কারণেই তাদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ও পরাস্ত করে অপতৎপরতা বন্ধ করতে চাই।’ বিএনপিকে প্রতিরোধে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকবে বলেও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের শুধু প্রতিবাদ করলে, বিক্ষোভ করলে চলবে না। সর্বশক্তি দিয়ে এদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আমাদের ঐক্যের প্রতীক শেখ হাসিনাকে আঘাত করার আগে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা তাদের মোকাবিলা করব, অস্তিত্ব থাকতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সারা দেশে গর্জন উঠেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকালের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। বাংলার জনগণ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেব।’
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার চার দিন অতিবাহিত হলেও আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিত, তাহলে আপনারা কী করতেন? কী জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’
এদিকে আবু সাঈদ চাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহীতে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। ফলে গতকাল সেখানে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারেননি বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
শুধু রাজশাহী নয়, চাঁদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্যে সিরিয়াস কিছু আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি মাঠে আছে। সামনে আরও সংবদ্ধ হয়ে দলটি মাঠে নামতে পারে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এ কারণে আগেভাগে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামানোর জন্যই চাঁদের বক্তব্যটা ইস্যু বানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছি আমরা। এতে আমাদের নেতা-কর্মীরা যেমন চাঙা হবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনে ভয়ও তৈরি হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মাঠে থাকব নির্বাচন পর্যন্ত। তবে আমরা কোনো সংঘাতে যেতে চাই না। আমরা তাদের (বিএনপি) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কেউ পায়ে পাড়া দিয়ে লাগতে এলে তাদের প্রতিহত করব। কোনো ছাড় দেব না।’
রাজপথের আলগা সুতোয় এবার টান দিয়েছে সরকার। হঠাৎ করে বদলে গেছে রাজনীতির মাঠ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সংঘাতে রূপ নিচ্ছে প্রতিদিন। বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির কর্মসূচির সমান্তরালে শান্তি সমাবেশ করে আসা আওয়ামী লীগ এখন বলছে—আর শান্তি নয়, বিএনপিকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে সর্বশক্তি দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন উত্তপ্ত বক্তব্যের সুযোগটা করে দিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। সম্প্রতি এক বক্তৃতায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। আর একেই ইস্যু বানিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির লক্ষ্য, নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের চাঙা করা। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনে ভয় ধরানো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা যেখানে সরাসরি নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, সেখানে তো তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান থাকবে। তারা এ ধরনের কথা বলার স্পর্ধা পায় কোথা থেকে? এ কারণেই তাদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ও পরাস্ত করে অপতৎপরতা বন্ধ করতে চাই।’ বিএনপিকে প্রতিরোধে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকবে বলেও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এই সমাবেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের শুধু প্রতিবাদ করলে, বিক্ষোভ করলে চলবে না। সর্বশক্তি দিয়ে এদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আমাদের ঐক্যের প্রতীক শেখ হাসিনাকে আঘাত করার আগে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা তাদের মোকাবিলা করব, অস্তিত্ব থাকতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সারা দেশে গর্জন উঠেছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকালের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। বাংলার জনগণ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেব।’
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার চার দিন অতিবাহিত হলেও আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিত, তাহলে আপনারা কী করতেন? কী জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’
এদিকে আবু সাঈদ চাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রাজশাহীতে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। ফলে গতকাল সেখানে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারেননি বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
শুধু রাজশাহী নয়, চাঁদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্যে সিরিয়াস কিছু আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি মাঠে আছে। সামনে আরও সংবদ্ধ হয়ে দলটি মাঠে নামতে পারে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এ কারণে আগেভাগে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামানোর জন্যই চাঁদের বক্তব্যটা ইস্যু বানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছি আমরা। এতে আমাদের নেতা-কর্মীরা যেমন চাঙা হবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনে ভয়ও তৈরি হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মাঠে থাকব নির্বাচন পর্যন্ত। তবে আমরা কোনো সংঘাতে যেতে চাই না। আমরা তাদের (বিএনপি) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কেউ পায়ে পাড়া দিয়ে লাগতে এলে তাদের প্রতিহত করব। কোনো ছাড় দেব না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে