বাবলু মোস্তাফিজ, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের অন্যতম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষে (জিকে) পানি সরবরাহ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। এতে করে আগামী ১০ মাস নিরবচ্ছিন্ন সেচসুবিধা পাবেন চার জেলার কয়েক লাখ কৃষক। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তবে তিনি জানান, তিনটি পাম্পের মধ্যে ২ নম্বরটি মেকানিক্যাল সমস্যার কারণে এখন চালু হচ্ছে না।
এদিকে চার বছর ধরে অকেজো হয়ে থাকা ৩৭ হাজার হর্স পাওয়ারের ৩ নম্বর পাম্পটি গত নভেম্বরে মেরামতের পর সচল হয়েছে।
সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্থাপিত তিনটি পাম্প দিয়ে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। নদী থেকে প্রধান খালে পানি উত্তোলনের জন্য তিনটি মূল পাম্পের প্রতিটির নির্ধারিত পানি উত্তোলন ক্ষমতা ৩৭ কিউসেক। এর সঙ্গে ১২টি সম্পূরক পাম্প রয়েছে, যার প্রতিটির নির্ধারিত পানি উত্তোলন ক্ষমতা ৩ দশমিক ৫ কিউসেক। পানি উত্তোলনে এ ১৫টি পাম্পের সর্বমোট পানি উত্তোলন ক্ষমতা ১৫৩ কিউসেক।
এদিকে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ৩ নম্বর পাম্প অকেজো হয়ে যায়। চার বছর দুটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়েছিল। অকেজো হয়ে যাওয়া ৩৭ হাজার হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর পাম্পটি মেরামতের জন্য জাপান থেকে ইবারা কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল আসে। ইতিপূর্বে এ কোম্পানি পাম্প তিনটি স্থাপন করেছিল। কোম্পানিটি মেরামত বাবদ ১৭ কোটি টাকার প্রস্তাব পেশ করে। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটাকের কাছ থেকেও মেরামতের প্রস্তাব পায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিটাকের সঙ্গে চুক্তি হয়। বিটাক এ সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে মেরামতের জন্য ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকায় চুক্তি করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা গত ১২ নভেম্বর ৩ নম্বর পাম্পটি সচল করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাম্পটি চালু হওয়ায় চার জেলার কৃষকেরা আগামী ১০ মাস নিরবচ্ছিন্ন সেচসুবিধা পাবেন। এতে ফসল ভালো হবে। বিটাকসহ মূল সাপোর্টে ছিল অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং। এ দুটি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করায় পাম্পটি চালু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জিকে সেচ প্রকল্পের অধীনে রয়েছে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ১৩টি উপজেলা। উপজেলাগুলো হলো ভেড়ামারা, মিরপুর, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, খোকসা, চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা, মাগুরা সদর এবং শ্রীপুর। সেচযোগ্য জমির পরিমাণ ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল রয়েছে। এ ছাড়া ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খাল বা নালা রয়েছে। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালে পানি থাকলে সেচসুবিধাসহ এ অঞ্চলের জলাশয়, পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। টিউবওয়েলেও ভালোভাবে পানি পাওয়া যায়।
কৃষকেরা জানান, প্রকল্পের শুরুতে আমন ফসলকে প্রধান ফসল হিসেবে গণ্য করে ওই সময়েই পানি সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে বোরো ফসল প্রধান। এ জন্য বোরো মৌসুমেও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সেচ সুবিধা থাকার পরও নানা কারণে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভেড়ামারা জিকে প্রজেক্ট পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বুলবুল কবির। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা নামকাওয়াস্তে পানি পান। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া নালাগুলো (প্রশাখা খাল) দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নেই। অনেক নালা বা খাল দখল হয়ে গেছে। এগুলো দেখভাল বা তদারকি নেই প্রজেক্ট সংশ্লিষ্টদের। ফলে জমিতে পানি পৌঁছাতে পারে না।’
সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বুলবুল কবির।
পানি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে কাজ করেন সেচ প্রকল্পের উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘পানি সরবরাহ শুরু হচ্ছে। এতে করে কৃষকেরা সুফল পাবেন। যেখানে সমস্যা রয়েছে সেখানে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের অন্যতম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষে (জিকে) পানি সরবরাহ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। এতে করে আগামী ১০ মাস নিরবচ্ছিন্ন সেচসুবিধা পাবেন চার জেলার কয়েক লাখ কৃষক। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তবে তিনি জানান, তিনটি পাম্পের মধ্যে ২ নম্বরটি মেকানিক্যাল সমস্যার কারণে এখন চালু হচ্ছে না।
এদিকে চার বছর ধরে অকেজো হয়ে থাকা ৩৭ হাজার হর্স পাওয়ারের ৩ নম্বর পাম্পটি গত নভেম্বরে মেরামতের পর সচল হয়েছে।
সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্থাপিত তিনটি পাম্প দিয়ে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। নদী থেকে প্রধান খালে পানি উত্তোলনের জন্য তিনটি মূল পাম্পের প্রতিটির নির্ধারিত পানি উত্তোলন ক্ষমতা ৩৭ কিউসেক। এর সঙ্গে ১২টি সম্পূরক পাম্প রয়েছে, যার প্রতিটির নির্ধারিত পানি উত্তোলন ক্ষমতা ৩ দশমিক ৫ কিউসেক। পানি উত্তোলনে এ ১৫টি পাম্পের সর্বমোট পানি উত্তোলন ক্ষমতা ১৫৩ কিউসেক।
এদিকে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ৩ নম্বর পাম্প অকেজো হয়ে যায়। চার বছর দুটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়েছিল। অকেজো হয়ে যাওয়া ৩৭ হাজার হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর পাম্পটি মেরামতের জন্য জাপান থেকে ইবারা কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল আসে। ইতিপূর্বে এ কোম্পানি পাম্প তিনটি স্থাপন করেছিল। কোম্পানিটি মেরামত বাবদ ১৭ কোটি টাকার প্রস্তাব পেশ করে। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটাকের কাছ থেকেও মেরামতের প্রস্তাব পায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিটাকের সঙ্গে চুক্তি হয়। বিটাক এ সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে মেরামতের জন্য ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকায় চুক্তি করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা গত ১২ নভেম্বর ৩ নম্বর পাম্পটি সচল করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাম্পটি চালু হওয়ায় চার জেলার কৃষকেরা আগামী ১০ মাস নিরবচ্ছিন্ন সেচসুবিধা পাবেন। এতে ফসল ভালো হবে। বিটাকসহ মূল সাপোর্টে ছিল অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং। এ দুটি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করায় পাম্পটি চালু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জিকে সেচ প্রকল্পের অধীনে রয়েছে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ১৩টি উপজেলা। উপজেলাগুলো হলো ভেড়ামারা, মিরপুর, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, খোকসা, চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা, মাগুরা সদর এবং শ্রীপুর। সেচযোগ্য জমির পরিমাণ ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল রয়েছে। এ ছাড়া ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খাল বা নালা রয়েছে। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালে পানি থাকলে সেচসুবিধাসহ এ অঞ্চলের জলাশয়, পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। টিউবওয়েলেও ভালোভাবে পানি পাওয়া যায়।
কৃষকেরা জানান, প্রকল্পের শুরুতে আমন ফসলকে প্রধান ফসল হিসেবে গণ্য করে ওই সময়েই পানি সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে বোরো ফসল প্রধান। এ জন্য বোরো মৌসুমেও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সেচ সুবিধা থাকার পরও নানা কারণে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভেড়ামারা জিকে প্রজেক্ট পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বুলবুল কবির। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা নামকাওয়াস্তে পানি পান। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া নালাগুলো (প্রশাখা খাল) দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নেই। অনেক নালা বা খাল দখল হয়ে গেছে। এগুলো দেখভাল বা তদারকি নেই প্রজেক্ট সংশ্লিষ্টদের। ফলে জমিতে পানি পৌঁছাতে পারে না।’
সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বুলবুল কবির।
পানি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে কাজ করেন সেচ প্রকল্পের উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘পানি সরবরাহ শুরু হচ্ছে। এতে করে কৃষকেরা সুফল পাবেন। যেখানে সমস্যা রয়েছে সেখানে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে