সম্পাদকীয়
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। দাম বাড়ার এই দৌড় শিগগিরই থামবে বলে মনে হয় না। মূল্যবৃদ্ধির চাপে কোটি কোটি মানুষ পিষ্ট হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে। মানুষের আয় কমছে, ব্যয় বাড়ছে। এ এক দুঃসহ অবস্থা। যাঁদের আয়-রোজগারের সীমা নেই, তাঁদের কাছে দাম বেশি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু যাঁদের আয় সীমিত, নির্দিষ্ট, তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। আগে বাজারে পণ্যের ঘাটতি থাকলে দাম বাড়ত। আজকাল দাম বাড়ার কোনো কারণ লাগে না। যাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফা বাড়ান, আর নিম্নবিত্ত, বিত্তহীন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলেন।
গত এক বছরে বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বেড়েছে জাহাজের ভাড়াও। তাই যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম বাড়ার একটা যুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও অস্বাভাবিক কেন? শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ভালো দাম না পেলেও বাজারে কোনো সবজির দাম কি কম ছিল? আমরা কি আমাদের দেশে উৎপাদিত সবজি বিদেশে রপ্তানি করছি? একশ্রেণির ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী ও মহাজনের সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটেন, আর সর্বস্বান্ত হন ভোক্তা ও খোদ উৎপাদকেরা। মন্ত্রীরা বলছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম কেন বাড়ছে? এই প্রশ্ন তোলা কি অসংগত? এসব দেখার এবং বাজার-অরাজকতা বন্ধ করার কেউ কি নেই?
আমাদের দেশে এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আবার সরকার বা সরকারি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে একজন অর্থনীতিবিদ যথার্থই বলেছেন যে বাজারে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। এখানে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সরকার তাদের পরামর্শে চলে। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় যার যা খুশি করে চলেছে।
তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, জনসাধারণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সরকার কয়েকটি পণ্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলা সরবরাহ করা হবে। এসব পণ্য টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি দুস্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এটা সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। মানুষের কষ্ট বাড়ানো নয়, লাঘব করাই সরকারের দায়িত্ব। বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া দরকার। আর সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরবরাহে কোনোভাবেই যেন কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অপচয়-দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে বেশি মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। দাম বাড়ার এই দৌড় শিগগিরই থামবে বলে মনে হয় না। মূল্যবৃদ্ধির চাপে কোটি কোটি মানুষ পিষ্ট হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে। মানুষের আয় কমছে, ব্যয় বাড়ছে। এ এক দুঃসহ অবস্থা। যাঁদের আয়-রোজগারের সীমা নেই, তাঁদের কাছে দাম বেশি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু যাঁদের আয় সীমিত, নির্দিষ্ট, তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। আগে বাজারে পণ্যের ঘাটতি থাকলে দাম বাড়ত। আজকাল দাম বাড়ার কোনো কারণ লাগে না। যাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফা বাড়ান, আর নিম্নবিত্ত, বিত্তহীন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলেন।
গত এক বছরে বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বেড়েছে জাহাজের ভাড়াও। তাই যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোর দাম বাড়ার একটা যুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও অস্বাভাবিক কেন? শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ভালো দাম না পেলেও বাজারে কোনো সবজির দাম কি কম ছিল? আমরা কি আমাদের দেশে উৎপাদিত সবজি বিদেশে রপ্তানি করছি? একশ্রেণির ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী ও মহাজনের সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটেন, আর সর্বস্বান্ত হন ভোক্তা ও খোদ উৎপাদকেরা। মন্ত্রীরা বলছেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম কেন বাড়ছে? এই প্রশ্ন তোলা কি অসংগত? এসব দেখার এবং বাজার-অরাজকতা বন্ধ করার কেউ কি নেই?
আমাদের দেশে এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আবার সরকার বা সরকারি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে একজন অর্থনীতিবিদ যথার্থই বলেছেন যে বাজারে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। এখানে বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সরকার তাদের পরামর্শে চলে। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় যার যা খুশি করে চলেছে।
তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, জনসাধারণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সরকার কয়েকটি পণ্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলা সরবরাহ করা হবে। এসব পণ্য টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি দুস্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এটা সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। মানুষের কষ্ট বাড়ানো নয়, লাঘব করাই সরকারের দায়িত্ব। বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া দরকার। আর সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরবরাহে কোনোভাবেই যেন কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অপচয়-দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে বেশি মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে