খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
আইন অমান্য করে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। আর এ ব্যবসায় যুক্ত আছেন এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যরাও রয়েছেন।
গত শনি ও রোববার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর, রায়নগরের ঘাগুরদুয়ার, আটমূল, মাঝিহট্ট, পিরব ও সৈয়দপুর এলাকা ঘুরে কৃষিজমির মাটি কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ৎ
ন্তু এই আইন অমান্য করা হচ্ছে। উপজেলার আটটি স্থানে চলছে জমির মাটি কাটার ঘটনা। মাটি কাটা হচ্ছে ভেকু মেশিনে। পরে ট্রাক ও ট্রলিতে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর পাগলাপাড় এলাকায় কৃষিজমির মাটি কেটে নিচ্ছেন ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। ফসলের খেতে গর্ত করে মাটি কাটার কারণে আশপাশের জমিও ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে। তা ছাড়া মাটিবোঝাই গাড়ি চলাচল করায় গুজিয়া-ধাওয়াগীর আঞ্চলিক সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জোবাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক জমির মালিক তাঁদের কৃষিজমির মাটি বিক্রি করছেন। এতে তাঁরা টাকা পাচ্ছেন। তা ছাড়া অনেকে পুকুর খনন করছেন।’ ধাওয়াগীর পাগলাপাড় এলাকার ফসলি জমির মালিক আব্দুল মান্নান মণ্ডল বলেন, ‘আমি পুকুর খনন করার জন্য স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করেছি।’ কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো এ বিষয়ে আইন জানি না।’
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাটি বিক্রির ব্যবসা করছেন। জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন অমান্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।ধাওয়াগীর এলাকার আব্দুল মজিদ বলেন, মাটির ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী। তাই ভয়ে কেউ অভিযোগ দিচ্ছেন না। কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর ইউপির সদস্য কুদ্দুসের মতো অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়নগর ইউপি সদস্য ইস্রাফিল হোসেন। ওই ইউনিয়নের ঘাগুরদুয়ার এলাকার জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া আটমূল ইউপির চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের ভাই রেজাউল করিম দুলালের নেতৃত্বে ওই ইউনিয়নের আতাহার এলাকায় মাটি তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, ফসলি জমির মাটি ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে ইটভাটাসহ নানা জায়গায় সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ী দুলালের প্রতিনিধি জমসেদ।
সৈয়দপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোন্তেজার রহমান বাবুর ছেলে সাফি কেশরীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করছেন। একই ইউনিয়নে শামীম ও আলম নামের আরও দুজন এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সৈয়দপুর এলাকার বালু ব্যবসায়ী সাফি বলেন, ‘মাটি কাটা কিংবা বালু তুলে বিক্রি করার কোনো অনুমতি নাই আমার। আপনি সাক্ষাতে কথা বলেন।’
ওই এলাকার বালু ব্যবসায়ী আলম বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করি। মাঝে মাঝে প্রশাসন এসে ভেঙে দেয়।’ মোকামতলা এফ সি ইটভাটার সহকারী ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা প্রতি ১ মিনি ট্রাক মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা দরে কিনে থাকি।’ মোকামতলা এলাকার মাটি ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসব মাটি আমরা শতকপ্রতি ৮০০ টাকা ফুট হিসেবে জমির মালিকের কাছ থেকে কিনি। পরে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, ‘অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। গত শনিবার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে এবং কয়েক দিন আগে আটমূল ইউনিয়নে অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে মাটি ও বালুর ব্যবসা বন্ধে ইউপি চেয়ারম্যানদের তৎপর হতে বলা হয়েছে।’
আইন অমান্য করে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। আর এ ব্যবসায় যুক্ত আছেন এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যরাও রয়েছেন।
গত শনি ও রোববার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর, রায়নগরের ঘাগুরদুয়ার, আটমূল, মাঝিহট্ট, পিরব ও সৈয়দপুর এলাকা ঘুরে কৃষিজমির মাটি কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ৎ
ন্তু এই আইন অমান্য করা হচ্ছে। উপজেলার আটটি স্থানে চলছে জমির মাটি কাটার ঘটনা। মাটি কাটা হচ্ছে ভেকু মেশিনে। পরে ট্রাক ও ট্রলিতে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর পাগলাপাড় এলাকায় কৃষিজমির মাটি কেটে নিচ্ছেন ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। ফসলের খেতে গর্ত করে মাটি কাটার কারণে আশপাশের জমিও ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে। তা ছাড়া মাটিবোঝাই গাড়ি চলাচল করায় গুজিয়া-ধাওয়াগীর আঞ্চলিক সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জোবাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক জমির মালিক তাঁদের কৃষিজমির মাটি বিক্রি করছেন। এতে তাঁরা টাকা পাচ্ছেন। তা ছাড়া অনেকে পুকুর খনন করছেন।’ ধাওয়াগীর পাগলাপাড় এলাকার ফসলি জমির মালিক আব্দুল মান্নান মণ্ডল বলেন, ‘আমি পুকুর খনন করার জন্য স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করেছি।’ কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো এ বিষয়ে আইন জানি না।’
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাটি বিক্রির ব্যবসা করছেন। জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন অমান্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।ধাওয়াগীর এলাকার আব্দুল মজিদ বলেন, মাটির ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী। তাই ভয়ে কেউ অভিযোগ দিচ্ছেন না। কৃষিজমির মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর ইউপির সদস্য কুদ্দুসের মতো অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়নগর ইউপি সদস্য ইস্রাফিল হোসেন। ওই ইউনিয়নের ঘাগুরদুয়ার এলাকার জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া আটমূল ইউপির চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের ভাই রেজাউল করিম দুলালের নেতৃত্বে ওই ইউনিয়নের আতাহার এলাকায় মাটি তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, ফসলি জমির মাটি ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে ইটভাটাসহ নানা জায়গায় সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ী দুলালের প্রতিনিধি জমসেদ।
সৈয়দপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোন্তেজার রহমান বাবুর ছেলে সাফি কেশরীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করছেন। একই ইউনিয়নে শামীম ও আলম নামের আরও দুজন এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সৈয়দপুর এলাকার বালু ব্যবসায়ী সাফি বলেন, ‘মাটি কাটা কিংবা বালু তুলে বিক্রি করার কোনো অনুমতি নাই আমার। আপনি সাক্ষাতে কথা বলেন।’
ওই এলাকার বালু ব্যবসায়ী আলম বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করি। মাঝে মাঝে প্রশাসন এসে ভেঙে দেয়।’ মোকামতলা এফ সি ইটভাটার সহকারী ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা প্রতি ১ মিনি ট্রাক মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা দরে কিনে থাকি।’ মোকামতলা এলাকার মাটি ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসব মাটি আমরা শতকপ্রতি ৮০০ টাকা ফুট হিসেবে জমির মালিকের কাছ থেকে কিনি। পরে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, ‘অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। গত শনিবার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে এবং কয়েক দিন আগে আটমূল ইউনিয়নে অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে মাটি ও বালুর ব্যবসা বন্ধে ইউপি চেয়ারম্যানদের তৎপর হতে বলা হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে