সম্পাদকীয়
প্রাচীনকালে নদীকে কেন্দ্র করে হাট-বাজার, নগর ও সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। একসময় নদীকে কেন্দ্র করেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তাই তো বিশ্বসাহিত্যসহ বাংলা সাহিত্যেও নদীকে উপজীব্য করে অনেক কবিতা ও কালজয়ী উপন্যাস লেখা হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের দরুন দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নদীপাড়ে শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে নদ-নদীর দখল ও দূষণ ক্রমেই বাড়ছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২৬ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে চাটমোহরের তিন নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদটি পড়লে জানা যাবে, পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। একসময়ের স্রোতস্বিনী এ তিনটি নদ-নদী শুকিয়ে গেছে। শুকনো মৌসুম না আসতেই নদীর বুকে এখন বোরোর বীজতলা দেখা যাচ্ছে। এগুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কৃষিকাজ আর ব্যবসা-বাণিজ্যে।
বড়াল নদের কথা বলি। এই নদে গৃহস্থালি বর্জ্য, মুরগির খামারের বিষ্ঠা, পলিথিন ফেলায় দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ।অন্যান্য নদীর মৃত্যুর যে কারণগুলো থাকে, এখানেও সে কারণ বিদ্যমান—অবৈধ দখলদারেরা নদীর যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। ধানসহ নানা ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে এ নদে।
গুমানী নদী দখল করে সেখানে চাষবাস করা হচ্ছে। নদীর তলদেশে ইরি-বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। গুমানী শুকিয়ে চৌচির। পানি না থাকায় নদীকেন্দ্রিক সব কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। নদীর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর বুকে আবাদ করা ধান পাকা শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নদী রক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগে নদী রক্ষা কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড—এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে।এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে দেশে নদী রক্ষায় নীতি ও আইন রয়েছে। কিন্তু শুধু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং আইন প্রণয়ন করলেই কোনো কিছুর সমাধান হয় না এ দেশে। সঠিক তদারকি, আইনের প্রয়োগ এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে সঠিকভাবে কাজ করলে নদী দখল, দূষণ রোধ করা সম্ভব। আর জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হতে পারে। নদীকে স্বাভাবিকভাবে চলতে না দিলে নদী মরে যায়। দখলদারেরা সেখানে তাদের রাজত্ব কায়েম করে। সেই অসহনীয় অবস্থা থেকে নদীকে মুক্তি দিতে হবে।
প্রাচীনকালে নদীকে কেন্দ্র করে হাট-বাজার, নগর ও সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। একসময় নদীকে কেন্দ্র করেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তাই তো বিশ্বসাহিত্যসহ বাংলা সাহিত্যেও নদীকে উপজীব্য করে অনেক কবিতা ও কালজয়ী উপন্যাস লেখা হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের দরুন দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নদীপাড়ে শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে নদ-নদীর দখল ও দূষণ ক্রমেই বাড়ছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২৬ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে চাটমোহরের তিন নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদটি পড়লে জানা যাবে, পাবনার চাটমোহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ, চিকনাই ও গুমানী নদী দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। একসময়ের স্রোতস্বিনী এ তিনটি নদ-নদী শুকিয়ে গেছে। শুকনো মৌসুম না আসতেই নদীর বুকে এখন বোরোর বীজতলা দেখা যাচ্ছে। এগুলো এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কৃষিকাজ আর ব্যবসা-বাণিজ্যে।
বড়াল নদের কথা বলি। এই নদে গৃহস্থালি বর্জ্য, মুরগির খামারের বিষ্ঠা, পলিথিন ফেলায় দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ।অন্যান্য নদীর মৃত্যুর যে কারণগুলো থাকে, এখানেও সে কারণ বিদ্যমান—অবৈধ দখলদারেরা নদীর যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। ধানসহ নানা ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে এ নদে।
গুমানী নদী দখল করে সেখানে চাষবাস করা হচ্ছে। নদীর তলদেশে ইরি-বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। গুমানী শুকিয়ে চৌচির। পানি না থাকায় নদীকেন্দ্রিক সব কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। নদীর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। নদীর বুকে আবাদ করা ধান পাকা শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নদী রক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগে নদী রক্ষা কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড—এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে।এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে দেশে নদী রক্ষায় নীতি ও আইন রয়েছে। কিন্তু শুধু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং আইন প্রণয়ন করলেই কোনো কিছুর সমাধান হয় না এ দেশে। সঠিক তদারকি, আইনের প্রয়োগ এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে সঠিকভাবে কাজ করলে নদী দখল, দূষণ রোধ করা সম্ভব। আর জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হতে পারে। নদীকে স্বাভাবিকভাবে চলতে না দিলে নদী মরে যায়। দখলদারেরা সেখানে তাদের রাজত্ব কায়েম করে। সেই অসহনীয় অবস্থা থেকে নদীকে মুক্তি দিতে হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১০ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১২ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে