টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
করোনা প্রতিরোধে টিকা নিতে পারছে না টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার যেসব শিক্ষার্থী টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছিল, তাদের টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। টিকা নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসের সমন্বয়হীনতা ও তথ্যবিভ্রাটকে দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে সরেজমিন দেখা গেছে টিকাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সারি। সেখানে শিক্ষার্থীরাও দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু টিকা নেওয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এতে তারা হতাশ হয়ে ফিরে গেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
কথা হয় এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া পৌরসভার আদালতপাড়ার ফারহানার সঙ্গে। সে বলে, ‘আজ টিকা নিতে এসে জানতে পারলাম, আমাদের টিকা দেওয়া হবে না। কবে নাগাদ দেওয়া হবে, সে বিষয়েও কিছু জানতে পারছি না।’
একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম মিয়া বলেন, ‘কলেজ থেকে টিকা নিতে বলেছে। সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। যখন টিকা নিতে গেলাম, তখন বলা হলো, আমরা টিকা পাব না। ক্লাস বাদ দিয়ে এলাম, কিন্তু টিকা নিতে পারলাম না।’
সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী এলাকার মুক্তা, আমেনা ও রুনা নামের তিন শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিবার টিকা কেন্দ্রে আসতে জনপ্রতি খরচ হয় ৬০ টাকা। গতকালও এসেছিল তারা। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় টিকা নিতে পারেনি। আজ বলা হয়েছে, টিকা দেওয়া হবে না। টিকা নেওয়ার জন্য আর কত দিন ঘুরতে হবে—এ প্রশ্ন তাদের।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তিনি দুবার দুই রকম তথ্য দিয়েছেন। প্রথম দফায় তিনি ১ লাখ ৯১ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য দেন। সে তালিকা অনুযায়ী এরই মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৮ জন শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭৮ জন শিক্ষার্থীকে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘১৩ জানুয়ারি ৩ লাখ ৫৭৩ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দেওয়া হয়। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে স্বাস্থ্য দপ্তরে টিকার আবেদন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত টিকা চলে আসবে, তখন আর শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, উপজেলা থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী তালিকা করে স্বাস্থ্য বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের টিকা না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ।
শিক্ষার্থীদের টিকা না পাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, ‘টিকার স্বল্পতা নেই, কিন্তু শিক্ষা বিভাগ স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় না করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
করোনা প্রতিরোধে টিকা নিতে পারছে না টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার যেসব শিক্ষার্থী টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছিল, তাদের টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। টিকা নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসের সমন্বয়হীনতা ও তথ্যবিভ্রাটকে দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে সরেজমিন দেখা গেছে টিকাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সারি। সেখানে শিক্ষার্থীরাও দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু টিকা নেওয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এতে তারা হতাশ হয়ে ফিরে গেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
কথা হয় এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া পৌরসভার আদালতপাড়ার ফারহানার সঙ্গে। সে বলে, ‘আজ টিকা নিতে এসে জানতে পারলাম, আমাদের টিকা দেওয়া হবে না। কবে নাগাদ দেওয়া হবে, সে বিষয়েও কিছু জানতে পারছি না।’
একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম মিয়া বলেন, ‘কলেজ থেকে টিকা নিতে বলেছে। সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। যখন টিকা নিতে গেলাম, তখন বলা হলো, আমরা টিকা পাব না। ক্লাস বাদ দিয়ে এলাম, কিন্তু টিকা নিতে পারলাম না।’
সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী এলাকার মুক্তা, আমেনা ও রুনা নামের তিন শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিবার টিকা কেন্দ্রে আসতে জনপ্রতি খরচ হয় ৬০ টাকা। গতকালও এসেছিল তারা। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় টিকা নিতে পারেনি। আজ বলা হয়েছে, টিকা দেওয়া হবে না। টিকা নেওয়ার জন্য আর কত দিন ঘুরতে হবে—এ প্রশ্ন তাদের।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তিনি দুবার দুই রকম তথ্য দিয়েছেন। প্রথম দফায় তিনি ১ লাখ ৯১ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য দেন। সে তালিকা অনুযায়ী এরই মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৮ জন শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭৮ জন শিক্ষার্থীকে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘১৩ জানুয়ারি ৩ লাখ ৫৭৩ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দেওয়া হয়। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে স্বাস্থ্য দপ্তরে টিকার আবেদন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত টিকা চলে আসবে, তখন আর শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, উপজেলা থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী তালিকা করে স্বাস্থ্য বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের টিকা না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ।
শিক্ষার্থীদের টিকা না পাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, ‘টিকার স্বল্পতা নেই, কিন্তু শিক্ষা বিভাগ স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় না করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে