মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
তিন বছর অনুসন্ধান চালিয়ে কোনো অবৈধ সম্পদ না পেয়ে ক্ষান্ত দিয়েছিলেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা। তবে হাল ছাড়েনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আবার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। এই অনুসন্ধান চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের এক কর্মকর্তার সম্পদ নিয়ে।
দুদকের অনুসন্ধানে পড়া এই ব্যক্তি হলেন এনায়েত উল্লাহ। তিনি জনতা ব্যাংকের অডিট জেনারেল শাখার সিনিয়র অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রথম অনুসন্ধান শুরু হয় ২০২০ সালে। চলতি বছরের জুনে দ্বিতীয় দফায় অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
দুদক সূত্র বলেছে, এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমি, ফ্ল্যাট, দোকান এবং গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এনায়েত উল্লাহর দাবি, তাঁর সব সম্পদই বৈধ। দলিলে ভুলবশত নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৭ সালে তৃতীয় শ্রেণির পদ গোডাউনকিপার (গুদামরক্ষক) হিসেবে জনতা ব্যাংকে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সিনিয়র অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মজীবনে ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ-বাণিজ্য, ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার তদবির, পদোন্নতি-বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। এসব অর্থ দিয়ে জমি, ফ্ল্যাট, দোকানের মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে ২১টি দলিলে তাঁর নামে জমি রয়েছে। এই অভিযোগের বিষয়ে ২০২০ সালে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান দুদকের উপপরিচালক অজয় কুমার সাহা। অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহর কোনো অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়নি বলে পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেন অজয় কুমার। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় দুদক। গত জুনে নতুন করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান উপপরিচালক মশিউর রহমান। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
দুদকের অনুসন্ধান ও এনায়েত উল্লাহর তথ্য থেকে জানা যায়, এনায়েত উল্লাহ ২০০৫ সালে বাসাবোতে সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি জমি কেনেন। ডেভেলপার কোম্পানি ওই জমিতে ৯ তলা ভবন করে চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে ১৬টি ফ্ল্যাট দেয়। এর মধ্যে ১৩টি তিনি বিক্রি করেন। বাকি তিনটির দুটিকে একত্র করে নিজে থাকেন এবং অপরটি ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় দুটি দলিলে সাড়ে ১০
শতাংশ জমি, বাড্ডার সাতারকুলে দুটি দলিলে সাড়ে ১৩ শতাংশ, নন্দীপাড়ার দক্ষিণগাঁওয়ে ৯ শতাংশ, উত্তরখানে প্রায় ৫ শতাংশ জমি, সিদ্ধেশ্বরীতে ১২২ বর্গফুটের একটি দোকান, বাকুশাহ হকার্স মার্কেটে দুটি দোকানের মালিক এনায়েত উল্লাহ। চাঁদপুরে বিভিন্ন দাগে ১৩৩.৫ শতাংশ জমি আছে তাঁর। জমি-ফ্ল্যাট বেচাকেনার দলিলে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন।
তবে এনায়েত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর সব সম্পদই বৈধ। সব তথ্যই দুদকে দেওয়া হয়েছে। বাসাবোর জমিটি স্ত্রীর ভাইয়ের কাছ থেকে কিনেছিলেন ১২ বা ১৩ লাখ টাকায়। তখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি কোনো ব্যবসায় জড়িত নন। দলিলে ভুলবশত ব্যবসায়ী উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করেছেন, যা দুদকের বর্তমান অনুসন্ধানে অস্বাভাবিক লেনদেন বলা হয়েছে।
তবে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত কাজে জমা রেখেছি ও উঠিয়েছি। এগুলোর কোনোটাই অস্বাভাবিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ফ্ল্যাট নিয়ে এক ব্যক্তির ঝামেলা হয়েছিল। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন। আমার ইনকাম ট্যাক্সের যাবতীয় তথ্য দুদকে জমা দেওয়া আছে। নতুন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাও আমাকে আবার যেতে বলেছেন।’
এই অনুসন্ধান বিষয়ে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে দুদকের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিন বছর অনুসন্ধান চালিয়ে কোনো অবৈধ সম্পদ না পেয়ে ক্ষান্ত দিয়েছিলেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা। তবে হাল ছাড়েনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আবার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। এই অনুসন্ধান চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের এক কর্মকর্তার সম্পদ নিয়ে।
দুদকের অনুসন্ধানে পড়া এই ব্যক্তি হলেন এনায়েত উল্লাহ। তিনি জনতা ব্যাংকের অডিট জেনারেল শাখার সিনিয়র অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রথম অনুসন্ধান শুরু হয় ২০২০ সালে। চলতি বছরের জুনে দ্বিতীয় দফায় অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
দুদক সূত্র বলেছে, এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমি, ফ্ল্যাট, দোকান এবং গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এনায়েত উল্লাহর দাবি, তাঁর সব সম্পদই বৈধ। দলিলে ভুলবশত নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৭ সালে তৃতীয় শ্রেণির পদ গোডাউনকিপার (গুদামরক্ষক) হিসেবে জনতা ব্যাংকে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সিনিয়র অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মজীবনে ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ-বাণিজ্য, ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার তদবির, পদোন্নতি-বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। এসব অর্থ দিয়ে জমি, ফ্ল্যাট, দোকানের মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে ২১টি দলিলে তাঁর নামে জমি রয়েছে। এই অভিযোগের বিষয়ে ২০২০ সালে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান দুদকের উপপরিচালক অজয় কুমার সাহা। অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহর কোনো অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়নি বলে পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেন অজয় কুমার। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় দুদক। গত জুনে নতুন করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান উপপরিচালক মশিউর রহমান। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
দুদকের অনুসন্ধান ও এনায়েত উল্লাহর তথ্য থেকে জানা যায়, এনায়েত উল্লাহ ২০০৫ সালে বাসাবোতে সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি জমি কেনেন। ডেভেলপার কোম্পানি ওই জমিতে ৯ তলা ভবন করে চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে ১৬টি ফ্ল্যাট দেয়। এর মধ্যে ১৩টি তিনি বিক্রি করেন। বাকি তিনটির দুটিকে একত্র করে নিজে থাকেন এবং অপরটি ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় দুটি দলিলে সাড়ে ১০
শতাংশ জমি, বাড্ডার সাতারকুলে দুটি দলিলে সাড়ে ১৩ শতাংশ, নন্দীপাড়ার দক্ষিণগাঁওয়ে ৯ শতাংশ, উত্তরখানে প্রায় ৫ শতাংশ জমি, সিদ্ধেশ্বরীতে ১২২ বর্গফুটের একটি দোকান, বাকুশাহ হকার্স মার্কেটে দুটি দোকানের মালিক এনায়েত উল্লাহ। চাঁদপুরে বিভিন্ন দাগে ১৩৩.৫ শতাংশ জমি আছে তাঁর। জমি-ফ্ল্যাট বেচাকেনার দলিলে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন।
তবে এনায়েত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর সব সম্পদই বৈধ। সব তথ্যই দুদকে দেওয়া হয়েছে। বাসাবোর জমিটি স্ত্রীর ভাইয়ের কাছ থেকে কিনেছিলেন ১২ বা ১৩ লাখ টাকায়। তখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি কোনো ব্যবসায় জড়িত নন। দলিলে ভুলবশত ব্যবসায়ী উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করেছেন, যা দুদকের বর্তমান অনুসন্ধানে অস্বাভাবিক লেনদেন বলা হয়েছে।
তবে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত কাজে জমা রেখেছি ও উঠিয়েছি। এগুলোর কোনোটাই অস্বাভাবিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ফ্ল্যাট নিয়ে এক ব্যক্তির ঝামেলা হয়েছিল। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন। আমার ইনকাম ট্যাক্সের যাবতীয় তথ্য দুদকে জমা দেওয়া আছে। নতুন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাও আমাকে আবার যেতে বলেছেন।’
এই অনুসন্ধান বিষয়ে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে দুদকের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে