সম্পাদকীয়
বৈশাখ শুরু হওয়ার আগেই গ্রীষ্মকালীন জনপ্রিয় ফল তরমুজকে সেজেগুজে থাকতে দেখা যাচ্ছে ফলের বাজারে। গরমে কেন এই ফল জনপ্রিয়, তা বিজ্ঞান বলে দিচ্ছে। তরমুজ ঠান্ডা, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি—শতকরা ৯২ ভাগ। আর আছে ৬ ভাগ চিনি ও ২ ভাগ অন্যান্য উপাদান। পানিময় এই ফল একসময় পানির দামে কেনা গেলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে! আকারভেদে দেশের কোথাও কোথাও তা ৬০০, কোথাও ৮০০!
রমজান মাস চলছে। সারা দিন রোজা রাখার পর তরমুজ যে তৃপ্তি দেয়, তা নিশ্চয়ই রোজাদার ব্যক্তিরা ভালো বলতে পারেন। আর হয়তো এ কথা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম দিয়েছেন বাড়িয়ে। হয়তো ভেবেছেন, যে করেই হোক ক্রেতারা বেশি দামেই কিনবেন সুস্বাদু এই ফল। ফলপ্রেমীদের আবেগকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যে কাণ্ড করছেন, তা মানা যায় না।
রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে আসছেন, এ মাসে সব ধরনের পণ্যের দাম যেন না বাড়ে। এমনকি পণ্যের মূল্য পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে নতুন দামের তালিকা টাঙানোর নির্দেশ থাকলেও তা মানেননি তাঁরা। রোববার সেখানকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৫ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে আরও জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখেই ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম ৪০০ থেকে কমিয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে নাকি আবার আগের দামে ফিরে যান ফল বিক্রেতারা। পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাকি মিসর—কোনটি আসলে তরমুজের জন্মভূমি, সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তরমুজের দাম নিয়ে যেন বিতর্কে
যেতে চান না ফলটির ব্যবসায়ীরা।
তাই মাটিতে জন্মালেও ফলটির দাম এখন আকাশছোঁয়া।
এই সংবাদের প্রতিনিধির কাছ থেকে জানা গেল, কৃষকেরা প্রতি তরমুজের জন্য পান ৫০-৭০ টাকা। এতটাই কম দামে তাঁদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন ফড়িয়া দালাল কিংবা ব্যবসায়ীরা। আর বিপরীতে মুনাফা লুটছেন অতিরিক্ত। এদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন এত বেশি দামে উপকারী এই ফল কিনতে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি রমজানে নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কি সতর্ক হয়েছেন? কবে হবেন? আরও কীভাবে তাঁদের সচেতন করা যাবে? প্রশ্নগুলো তোলা থাক প্রশাসনের কাছেই। আশা করি, অচিরেই জবাব আসবে সঠিক বাজার নজরদারির মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা কৌতুক ঘুরে বেড়াচ্ছে—রমজানে শয়তান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ওপরে দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যায়! আমরা চাই ব্যবসায়ীরা কথাটা মিথ্যা প্রমাণ করুন।
বৈশাখ শুরু হওয়ার আগেই গ্রীষ্মকালীন জনপ্রিয় ফল তরমুজকে সেজেগুজে থাকতে দেখা যাচ্ছে ফলের বাজারে। গরমে কেন এই ফল জনপ্রিয়, তা বিজ্ঞান বলে দিচ্ছে। তরমুজ ঠান্ডা, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি—শতকরা ৯২ ভাগ। আর আছে ৬ ভাগ চিনি ও ২ ভাগ অন্যান্য উপাদান। পানিময় এই ফল একসময় পানির দামে কেনা গেলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে! আকারভেদে দেশের কোথাও কোথাও তা ৬০০, কোথাও ৮০০!
রমজান মাস চলছে। সারা দিন রোজা রাখার পর তরমুজ যে তৃপ্তি দেয়, তা নিশ্চয়ই রোজাদার ব্যক্তিরা ভালো বলতে পারেন। আর হয়তো এ কথা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম দিয়েছেন বাড়িয়ে। হয়তো ভেবেছেন, যে করেই হোক ক্রেতারা বেশি দামেই কিনবেন সুস্বাদু এই ফল। ফলপ্রেমীদের আবেগকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যে কাণ্ড করছেন, তা মানা যায় না।
রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে আসছেন, এ মাসে সব ধরনের পণ্যের দাম যেন না বাড়ে। এমনকি পণ্যের মূল্য পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে নতুন দামের তালিকা টাঙানোর নির্দেশ থাকলেও তা মানেননি তাঁরা। রোববার সেখানকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৫ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে আরও জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখেই ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম ৪০০ থেকে কমিয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে নাকি আবার আগের দামে ফিরে যান ফল বিক্রেতারা। পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাকি মিসর—কোনটি আসলে তরমুজের জন্মভূমি, সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তরমুজের দাম নিয়ে যেন বিতর্কে
যেতে চান না ফলটির ব্যবসায়ীরা।
তাই মাটিতে জন্মালেও ফলটির দাম এখন আকাশছোঁয়া।
এই সংবাদের প্রতিনিধির কাছ থেকে জানা গেল, কৃষকেরা প্রতি তরমুজের জন্য পান ৫০-৭০ টাকা। এতটাই কম দামে তাঁদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন ফড়িয়া দালাল কিংবা ব্যবসায়ীরা। আর বিপরীতে মুনাফা লুটছেন অতিরিক্ত। এদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন এত বেশি দামে উপকারী এই ফল কিনতে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি রমজানে নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কি সতর্ক হয়েছেন? কবে হবেন? আরও কীভাবে তাঁদের সচেতন করা যাবে? প্রশ্নগুলো তোলা থাক প্রশাসনের কাছেই। আশা করি, অচিরেই জবাব আসবে সঠিক বাজার নজরদারির মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা কৌতুক ঘুরে বেড়াচ্ছে—রমজানে শয়তান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ওপরে দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যায়! আমরা চাই ব্যবসায়ীরা কথাটা মিথ্যা প্রমাণ করুন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে