সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি অযত্ন-অবহেলায় ভুতুড়ে স্থানে পরিণত হয়েছে। ৩০ বছর আগে কেন্দ্রটি কয়লাসংকট, লোকসান ও দূষণের অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয় মেশিনপত্র। স্থানীয়দের মতে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর কয়লা দিয়ে পুনরায় এটি চালু করা গেলে একদিকে রেলওয়ের বিদ্যুতের চাহিদা মিটত, অন্যদিকে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। একই কথা জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম। তিনি বলেন, রেলওয়ের বিলুপ্ত বিদ্যুতের পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থানটিকে পুনরায় চালু করা গেলে উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় রেলওয়ে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হবে। নেসকোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ রেলওয়েকে আর বিদ্যুৎ কিনতে হবে না। সেই সঙ্গে রেলওয়ে তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ফিরে পাবে।
জানা যায়, সৈয়দপুরে ১৮৬৫ সালে দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশরা রেলে প্রথম জীবাশ্ম পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে ইসলামবাগে ৮ একর জমির ওপর ১৮৮২ সালে গড়ে তোলা হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লা জ্বালিয়ে জেনারেটরের দ্বারা বাষ্পের তাপের মাধ্যমে এখানে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করত। তা দিয়ে রেলওয়ে কারখানায়, সেতু কারখানা, স্টেশন, পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর লোকোমোটিভসহ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদের বসতবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা মিটত। এ ছাড়া শ্রমিক-কর্মকর্তাদের কাজের বিরতি, ছুটি ও বিশেষ দিবসে এখান থেকে উচ্চ আওয়াজের সাইরেন বাজানো হতো। এর শব্দ পৌঁছাত ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত।
১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কয়লায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ১৪ টাকা দেখিয়ে লোকসান ও পরিবেশদূষণের অজুহাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে সব কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয় মূল্যবান মেশিনপত্র।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রেলওয়ে কারখানা শাখার শ্রমিক লীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছদুল মোমিন বলেন, শুনেছি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম এ দুই রেল এলাকা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল। অথচ তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় গিয়েই রেল ধ্বংসের প্রথম আঘাত হানেন সৈয়দপুর পাওয়ার হাউসকে বিক্রির মাধ্যমে।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী চন্দন কুমার বলেন, ‘এখন আমরা নেসকোর গ্রাহক। ৩৩ কেভি নিয়ে স্টপ ডাউনে ১১ কেভিতে ৪৪০ ভোল্ট রূপান্তর করে সরবরাহ করা হচ্ছে রেলওয়ে কারখানাসহ রেলওয়ের অন্যান্য স্থাপনা ও শ্রমিক-কর্মকর্তাদের বসতবাড়িতে। এ ছাড়া এখান থেকে সাইরেনও বাজানো হচ্ছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি অযত্ন-অবহেলায় ভুতুড়ে স্থানে পরিণত হয়েছে। ৩০ বছর আগে কেন্দ্রটি কয়লাসংকট, লোকসান ও দূষণের অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয় মেশিনপত্র। স্থানীয়দের মতে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর কয়লা দিয়ে পুনরায় এটি চালু করা গেলে একদিকে রেলওয়ের বিদ্যুতের চাহিদা মিটত, অন্যদিকে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। একই কথা জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম। তিনি বলেন, রেলওয়ের বিলুপ্ত বিদ্যুতের পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থানটিকে পুনরায় চালু করা গেলে উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় রেলওয়ে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হবে। নেসকোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ রেলওয়েকে আর বিদ্যুৎ কিনতে হবে না। সেই সঙ্গে রেলওয়ে তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ফিরে পাবে।
জানা যায়, সৈয়দপুরে ১৮৬৫ সালে দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশরা রেলে প্রথম জীবাশ্ম পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে ইসলামবাগে ৮ একর জমির ওপর ১৮৮২ সালে গড়ে তোলা হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লা জ্বালিয়ে জেনারেটরের দ্বারা বাষ্পের তাপের মাধ্যমে এখানে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করত। তা দিয়ে রেলওয়ে কারখানায়, সেতু কারখানা, স্টেশন, পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর লোকোমোটিভসহ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদের বসতবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা মিটত। এ ছাড়া শ্রমিক-কর্মকর্তাদের কাজের বিরতি, ছুটি ও বিশেষ দিবসে এখান থেকে উচ্চ আওয়াজের সাইরেন বাজানো হতো। এর শব্দ পৌঁছাত ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত।
১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কয়লায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ১৪ টাকা দেখিয়ে লোকসান ও পরিবেশদূষণের অজুহাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে সব কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয় মূল্যবান মেশিনপত্র।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রেলওয়ে কারখানা শাখার শ্রমিক লীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছদুল মোমিন বলেন, শুনেছি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম এ দুই রেল এলাকা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল। অথচ তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় গিয়েই রেল ধ্বংসের প্রথম আঘাত হানেন সৈয়দপুর পাওয়ার হাউসকে বিক্রির মাধ্যমে।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী চন্দন কুমার বলেন, ‘এখন আমরা নেসকোর গ্রাহক। ৩৩ কেভি নিয়ে স্টপ ডাউনে ১১ কেভিতে ৪৪০ ভোল্ট রূপান্তর করে সরবরাহ করা হচ্ছে রেলওয়ে কারখানাসহ রেলওয়ের অন্যান্য স্থাপনা ও শ্রমিক-কর্মকর্তাদের বসতবাড়িতে। এ ছাড়া এখান থেকে সাইরেনও বাজানো হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে