এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হয়েছে। কার্যকর হয়েছে অনেকের সাজা। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার। তবে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিষ্পত্তি হলেও ঘটনার পেছনে কারা ছিল, তা খুঁজে বের করার দাবি ওঠে কয়েক বছর আগে। বিভিন্ন মহল থেকে এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন গঠনের বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছার কথাও জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যদিও কয়েক বছর ধরে বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। এখন কমিশন গঠন এবং এর কার্যপ্রণালি নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। কোভিড যায় যায় করেও যাচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থায় কমিশনের রূপরেখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে উঠছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারব। এ বছরই হয়তো কমিশন চালু করতে পারব। রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন।’
কমিশন গঠন নিয়ে ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট আলোচনার সূত্রপাত করেন তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে রাঘববোয়ালেরা জড়িত ছিল। কিন্তু তদন্তে ত্রুটির কারণে তাদের বিচারে সোপর্দ করা যায়নি। যদিও রায়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, এটি একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্র। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পরই নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট এলেই কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে একাধিকবার। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী ও নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও। এদিকে কমিশন গঠনের বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালতেও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থসচিবকে বিবাদী করা হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও ওই রিটের শুনানি হয়নি।
রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় এলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বারবার সময় নেওয়া হয়েছে। যার কারণে শুনানি করা সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রের নিজস্ব উদ্যোগ রয়েছে, রাষ্ট্র সেটি করবে। আমরাও খুশি হয়েছিলাম যে রাষ্ট্র নিজে করলে তখন এই মামলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আশ্বাসের পরও প্রায় এক বছর বসে থেকে মামলা শুনানি করতে পারলাম না।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চাই। আশা করি সরকার তা করবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে কুশীলবদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া উচিত।
পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হয়েছে। কার্যকর হয়েছে অনেকের সাজা। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার। তবে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিষ্পত্তি হলেও ঘটনার পেছনে কারা ছিল, তা খুঁজে বের করার দাবি ওঠে কয়েক বছর আগে। বিভিন্ন মহল থেকে এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন গঠনের বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছার কথাও জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যদিও কয়েক বছর ধরে বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। এখন কমিশন গঠন এবং এর কার্যপ্রণালি নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। কোভিড যায় যায় করেও যাচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থায় কমিশনের রূপরেখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে উঠছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারব। এ বছরই হয়তো কমিশন চালু করতে পারব। রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন।’
কমিশন গঠন নিয়ে ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট আলোচনার সূত্রপাত করেন তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে রাঘববোয়ালেরা জড়িত ছিল। কিন্তু তদন্তে ত্রুটির কারণে তাদের বিচারে সোপর্দ করা যায়নি। যদিও রায়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, এটি একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্র। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পরই নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট এলেই কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে একাধিকবার। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী ও নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও। এদিকে কমিশন গঠনের বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালতেও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থসচিবকে বিবাদী করা হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও ওই রিটের শুনানি হয়নি।
রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় এলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বারবার সময় নেওয়া হয়েছে। যার কারণে শুনানি করা সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রের নিজস্ব উদ্যোগ রয়েছে, রাষ্ট্র সেটি করবে। আমরাও খুশি হয়েছিলাম যে রাষ্ট্র নিজে করলে তখন এই মামলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আশ্বাসের পরও প্রায় এক বছর বসে থেকে মামলা শুনানি করতে পারলাম না।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন চাই। আশা করি সরকার তা করবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে কুশীলবদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া উচিত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে