রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় অপেক্ষাকৃত স্বল্পব্যবহৃত একটি শব্দ হলো ‘সারমেয়’। সারমেয় অর্থ কী? সারমেয় মানে কুকুর। কুকুরের প্রতিশব্দ হিসেবে সারমেয় শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু কুকুরকে কেন সারমেয় বলা হয়? তবে চলুন আজ জানব কুকুর শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে কীভাবে সারমেয় বাংলা ভাষায় জায়গা করে নিল।
সারমেয় সংস্কৃত শব্দ। এটি বিশেষ্য পদ। সংস্কৃত সরমা+এয় সহযোগে সারমেয় শব্দটি গঠিত। ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ অনুসারে, সারমেয় শব্দের অর্থ হলো অপরাধী শনাক্তকরণ, মাদকদ্রব্যের সন্ধান, রোগনির্ণয় প্রভৃতি বিশেষায়িত কাজের জন্য প্রশিক্ষিত করা যায় এমন প্রখর ঘ্রাণশক্তিসম্পন্ন চতুষ্পদ মাংসাশী স্তন্যপায়ী মেরুদণ্ডী প্রাণী, কুকুর, কুত্তা। উপরিউক্ত সংজ্ঞা অনুসারে এ বিষয়টি প্রতীয়মান যে সারমেয় কোনো সাধারণ কুকুর নয়। এরা গোয়েন্দা কার্যাদিসহ বিবিধ সেবামূলক কাজেও সমান পারদর্শী হয়ে থাকে।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্রের প্রহরী কুকুরের নাম ছিল সারমেয়। সরমার দুই পুত্র সারমেয় নামে পরিচিত। এরা দুজনই ছিল যমের প্রহরী। এদের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এদের প্রত্যেকের চারটি করে চোখ রয়েছে। ঋগ্বেদের বর্ণনা অনুসারে, পণি নামক একদল মিথ্যাভাষী, হিংসুক, শ্রদ্ধাহীন ও অত্যাচারী জাতির অস্তিত্বের কথা জানা যায়।
এরা একবার গোপনে এসে দেবরাজ ইন্দ্রের গাভি চুরি করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দেবরাজ এর কোনো সন্ধান করতে পারেননি। দেবরাজ ইন্দ্র এ ঘটনায় গভীর মর্মবেদনা অনুভব করে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তিনি আর কোনো উপায় না দেখে এক দেবকুক্কুরীকে তাঁর গাভি খোঁজার দায়িত্ব দেন। ওই দেবকুক্কুরীর নাম ছিল সরমা। পরে দেবকুক্কুরী সরমা ইন্দ্রদেবকে তাঁর গো-সম্পদের সন্ধান দেন। পরে দেবরাজ ইন্দ্র মরুৎদের সহযোগিতা নিয়ে পণিদের পরাজিত করে তাঁর গো-সম্পদ উদ্ধার করেন। মূলত এই সরমা থেকেই সারমেয় শব্দটি তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হয়, এই সরমার পরবর্তী প্রজন্মের সারমেয়রাই গোয়েন্দাকর্মে নিয়োজিত রয়েছে।
কুকুরের প্রভুভক্তি এবং আনুগত্যের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত। এর বিনিময়ে এদেরও রয়েছে স্নেহ, ভালোবাসা, আদর, আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাওয়ার পূর্ণ অধিকার। তাই তো প্রতিবছর ২৬ আগস্ট পৃথিবীব্যাপী পালন করা হয় ‘সারমেয় দিবস’ বা ‘ডগ ডে’। বর্তমানে বিশ্বায়নের এ যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুলিশের ডগ স্কোয়াডে প্রচুর সারমেয় রয়েছে। এর সিংহভাগই গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। এর মধ্যে ‘এক্সক্লুসিভ’ সারমেয়দের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া রয়েছে ট্র্যাকার ডগ, নারকোটিক ডগ, গার্ড ডগ প্রভৃতি পদ।
গবেষকদের মতে, যেসব চতুষ্পদী প্রাণী সমাজের রক্ষাকর্তা হিসেবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে, তাদের মধ্যে সারমেয় অন্যতম।কেননা এত বিশ্বস্ত প্রাণী বোধ হয় পৃথিবীতে আর নেই। আসুন, সারমেয়দের জন্য সমতার পৃথিবী গড়ি।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষায় অপেক্ষাকৃত স্বল্পব্যবহৃত একটি শব্দ হলো ‘সারমেয়’। সারমেয় অর্থ কী? সারমেয় মানে কুকুর। কুকুরের প্রতিশব্দ হিসেবে সারমেয় শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু কুকুরকে কেন সারমেয় বলা হয়? তবে চলুন আজ জানব কুকুর শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে কীভাবে সারমেয় বাংলা ভাষায় জায়গা করে নিল।
সারমেয় সংস্কৃত শব্দ। এটি বিশেষ্য পদ। সংস্কৃত সরমা+এয় সহযোগে সারমেয় শব্দটি গঠিত। ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ অনুসারে, সারমেয় শব্দের অর্থ হলো অপরাধী শনাক্তকরণ, মাদকদ্রব্যের সন্ধান, রোগনির্ণয় প্রভৃতি বিশেষায়িত কাজের জন্য প্রশিক্ষিত করা যায় এমন প্রখর ঘ্রাণশক্তিসম্পন্ন চতুষ্পদ মাংসাশী স্তন্যপায়ী মেরুদণ্ডী প্রাণী, কুকুর, কুত্তা। উপরিউক্ত সংজ্ঞা অনুসারে এ বিষয়টি প্রতীয়মান যে সারমেয় কোনো সাধারণ কুকুর নয়। এরা গোয়েন্দা কার্যাদিসহ বিবিধ সেবামূলক কাজেও সমান পারদর্শী হয়ে থাকে।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্রের প্রহরী কুকুরের নাম ছিল সারমেয়। সরমার দুই পুত্র সারমেয় নামে পরিচিত। এরা দুজনই ছিল যমের প্রহরী। এদের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এদের প্রত্যেকের চারটি করে চোখ রয়েছে। ঋগ্বেদের বর্ণনা অনুসারে, পণি নামক একদল মিথ্যাভাষী, হিংসুক, শ্রদ্ধাহীন ও অত্যাচারী জাতির অস্তিত্বের কথা জানা যায়।
এরা একবার গোপনে এসে দেবরাজ ইন্দ্রের গাভি চুরি করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দেবরাজ এর কোনো সন্ধান করতে পারেননি। দেবরাজ ইন্দ্র এ ঘটনায় গভীর মর্মবেদনা অনুভব করে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তিনি আর কোনো উপায় না দেখে এক দেবকুক্কুরীকে তাঁর গাভি খোঁজার দায়িত্ব দেন। ওই দেবকুক্কুরীর নাম ছিল সরমা। পরে দেবকুক্কুরী সরমা ইন্দ্রদেবকে তাঁর গো-সম্পদের সন্ধান দেন। পরে দেবরাজ ইন্দ্র মরুৎদের সহযোগিতা নিয়ে পণিদের পরাজিত করে তাঁর গো-সম্পদ উদ্ধার করেন। মূলত এই সরমা থেকেই সারমেয় শব্দটি তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হয়, এই সরমার পরবর্তী প্রজন্মের সারমেয়রাই গোয়েন্দাকর্মে নিয়োজিত রয়েছে।
কুকুরের প্রভুভক্তি এবং আনুগত্যের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত। এর বিনিময়ে এদেরও রয়েছে স্নেহ, ভালোবাসা, আদর, আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাওয়ার পূর্ণ অধিকার। তাই তো প্রতিবছর ২৬ আগস্ট পৃথিবীব্যাপী পালন করা হয় ‘সারমেয় দিবস’ বা ‘ডগ ডে’। বর্তমানে বিশ্বায়নের এ যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুলিশের ডগ স্কোয়াডে প্রচুর সারমেয় রয়েছে। এর সিংহভাগই গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। এর মধ্যে ‘এক্সক্লুসিভ’ সারমেয়দের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া রয়েছে ট্র্যাকার ডগ, নারকোটিক ডগ, গার্ড ডগ প্রভৃতি পদ।
গবেষকদের মতে, যেসব চতুষ্পদী প্রাণী সমাজের রক্ষাকর্তা হিসেবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে, তাদের মধ্যে সারমেয় অন্যতম।কেননা এত বিশ্বস্ত প্রাণী বোধ হয় পৃথিবীতে আর নেই। আসুন, সারমেয়দের জন্য সমতার পৃথিবী গড়ি।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে