সম্পাদকীয়
লিয়েফ তল্স্তোয় তাঁর প্রায় এগারো বছর বয়সের একটা কাহিনি শুনিয়েছেন ‘আমার স্বীকারোক্তি’ রচনায়। একটি ছেলে বেড়াতে এসেছিল লিয়েফদের বাড়িতে। পাবলিক স্কুলে সে একটা বিরাট আবিষ্কার করেছে। আবিষ্কারটা হলো, ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই।
কিন্তু তল্স্তোয় ধর্মবিশ্বাসের কাছে ধরা দেন একসময়। যিশুর নীতিতে বিশ্বাস স্থাপন করেন। আগে যা কামনা করতেন, তখন আর সেগুলো চান না, যেসব জিনিস আগে চাইতেন না, সেসব জিনিস চাইতে শুরু করেন।
লেখকদের সম্পর্কে একসময় তিনি যা লিখলেন, তা পড়ে কোনো লেখকই খুশি হবেন না। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সাহিত্যিক সঙ্গীরা জীবন সম্পর্কে যে রায় দিয়েছেন তা এই যে, জীবন প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে এবং এই বিকাশমানতার ক্ষেত্রে আমরা সাহিত্যিকেরা প্রধান ভূমিকা পালন করে চলেছি। আমাদের কবি, শিল্পীদের কাজ হলো বিশ্বকে শিক্ষাদান করা এবং পাছে আমি এই স্বাভাবিক প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করি, “আমি কী এবং কী আমি শিক্ষা দেব?” সে জন্য আমাকে বোঝানো হলো যে সে কথা জানা আবশ্যক এবং শিল্পী ও কবি কেমন করে শিক্ষা দেন, তা না উপলব্ধি করেই শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমাকে সবাই একজন বিরাট শিল্পী ও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বলে মনে করত, কাজেই এই থিয়োরি যে আমি মেনে নেব, সেটা ছিল স্বাভাবিক। আমি একজন কবি, শিল্পী, কী বলার আছে, তা না জেনেই শিক্ষাদান করেছি। সে কাজের জন্য আমাকে প্রতিদান দেওয়া হয়েছে।...সাহিত্যের গুরুত্ব ও বিকাশমানতার প্রতি এই বিশ্বাস ছিল একটা ধর্ম এবং আমি ছিলাম তার একজন পুরোহিত।...কত দীর্ঘকাল আমি এই বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে ছিলাম। এটা সত্য কি না, এক মুহূর্তের জন্যও সে সম্পর্কে কোনো সন্দেহ পোষণ করিনি।’
তল্স্তোয় সে অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু জগৎ তাঁকে মনে রেখেছে সাহিত্যিক হিসেবে, ধর্মগুরু হিসেবে নয়।
সূত্র: ম্যাথু আর্নল্ড, লেভ তল্স্তোয়, আফ্রো-এশীয় লেখক ইউনিয়ন, পৃষ্ঠা ১৭৩–১৮০
লিয়েফ তল্স্তোয় তাঁর প্রায় এগারো বছর বয়সের একটা কাহিনি শুনিয়েছেন ‘আমার স্বীকারোক্তি’ রচনায়। একটি ছেলে বেড়াতে এসেছিল লিয়েফদের বাড়িতে। পাবলিক স্কুলে সে একটা বিরাট আবিষ্কার করেছে। আবিষ্কারটা হলো, ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই।
কিন্তু তল্স্তোয় ধর্মবিশ্বাসের কাছে ধরা দেন একসময়। যিশুর নীতিতে বিশ্বাস স্থাপন করেন। আগে যা কামনা করতেন, তখন আর সেগুলো চান না, যেসব জিনিস আগে চাইতেন না, সেসব জিনিস চাইতে শুরু করেন।
লেখকদের সম্পর্কে একসময় তিনি যা লিখলেন, তা পড়ে কোনো লেখকই খুশি হবেন না। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সাহিত্যিক সঙ্গীরা জীবন সম্পর্কে যে রায় দিয়েছেন তা এই যে, জীবন প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে এবং এই বিকাশমানতার ক্ষেত্রে আমরা সাহিত্যিকেরা প্রধান ভূমিকা পালন করে চলেছি। আমাদের কবি, শিল্পীদের কাজ হলো বিশ্বকে শিক্ষাদান করা এবং পাছে আমি এই স্বাভাবিক প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করি, “আমি কী এবং কী আমি শিক্ষা দেব?” সে জন্য আমাকে বোঝানো হলো যে সে কথা জানা আবশ্যক এবং শিল্পী ও কবি কেমন করে শিক্ষা দেন, তা না উপলব্ধি করেই শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমাকে সবাই একজন বিরাট শিল্পী ও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বলে মনে করত, কাজেই এই থিয়োরি যে আমি মেনে নেব, সেটা ছিল স্বাভাবিক। আমি একজন কবি, শিল্পী, কী বলার আছে, তা না জেনেই শিক্ষাদান করেছি। সে কাজের জন্য আমাকে প্রতিদান দেওয়া হয়েছে।...সাহিত্যের গুরুত্ব ও বিকাশমানতার প্রতি এই বিশ্বাস ছিল একটা ধর্ম এবং আমি ছিলাম তার একজন পুরোহিত।...কত দীর্ঘকাল আমি এই বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে ছিলাম। এটা সত্য কি না, এক মুহূর্তের জন্যও সে সম্পর্কে কোনো সন্দেহ পোষণ করিনি।’
তল্স্তোয় সে অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু জগৎ তাঁকে মনে রেখেছে সাহিত্যিক হিসেবে, ধর্মগুরু হিসেবে নয়।
সূত্র: ম্যাথু আর্নল্ড, লেভ তল্স্তোয়, আফ্রো-এশীয় লেখক ইউনিয়ন, পৃষ্ঠা ১৭৩–১৮০
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১৮ মিনিট আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪১ মিনিট আগেপ্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগে