ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। দিনের বেলায় একটা শীতল পরশের খোঁজে মানুষ নবগঙ্গা নদীর পাড়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এরপরও কাঙ্ক্ষিত ঠান্ডা পরিবেশ মিলছে না। মাঝেমাঝে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফ্যানের বাতাসে কাজ হচ্ছে না যেন। এই গরমে তাই মাগুরাবাসীর জীবনযাপনে ভোগান্তি নেমে এসেছে।
মাগুরা শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী। নদীর একপাশে পুরোনো বাজার এলাকা। সকাল বেলা সেখানে ভিড় হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের। ভিড় ঠেলে শেখ কামাল সেতুর ওপর বিশ্রাম নিতে দেখা যায় নানা বয়সীদের। এদের মধ্যে স্কুলশিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, ‘গরম নেই কোথায় বলেন? বাজারে গরম, সড়কে গরম, বাড়িতে গরম এমনকি যেখানে চাকরি করছি সেখানেও গরম। ফ্যান রয়েছে ছোট বড় দিয়ে বাড়িতে ১৩টা। দুটো রুমে এতগুলো ফ্যানেও যেন কাজ হচ্ছে না। আমাদের তো আর এসি কেনার সামর্থ্য নেই। বাচ্চা কাচ্চা খুব ঝামেলা করছে বাড়িতে। কি করার তাই এই সেতুর ওপরে একটা দাঁড়ায় আছি নদীর বাতাস খেতে।’
একই অবস্থা নবগঙ্গা পার্ক এলাকায় ভ্যানচালক মতিয়ার মোল্লার। মধ্য বয়সে সংসারের হাল তাকেই টানতে হয়। ভ্যানটি মোটরচালিত হলেও যেন শরীর তাঁর চলছে না। একটু পর পর ঘাম মুছতে মুছতে বলেন, ‘এরাম চললি অসুস্থ হয়ে যাবানে। কিরাম গরম পরিছে। ভাড়া মারব এর উপায় নেই। এখন তো নদীর বাতাসে আইছি। শরীরডা জুড়াইয়ে তারপর দেখি আবার ভাড়া মারতে যাব।’
গরমে স্কুল শিক্ষার্থী নাহিদ জানায়, ক্লাসে থাকা দায়। চারটা ফ্যান এত ঘুরছে কিন্তু গায়ে কোনো বাতাস লাগছে না। বারবার মনে হচ্ছে যেন ফ্যান ঘুরছে না। এরপর আবার কারেন্ট চলে যায় মাঝে মধ্যে। তখন আমরাসহ স্যাররাও ঘামতে থাকে। এভাবে পড়ালেখা করা যাচ্ছে না।
মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। গরমে তারা শ্রেণিকক্ষে কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। ফ্যান যথেষ্ট পরিমাণে আছে, কিন্তু গরম বেশি হওয়ায় তা আর গায়ে লাগছে না।
মাগুরা শহরের নোমনী ময়দান এলাকায় আম গাছের সারিতে রিকশা ও ভ্যান চালকদের আড্ডা। তারা প্রত্যেকে জানায়, গরমে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এখানে বসে আছে। মাথায় পানি দেওয়া হয়েছে। কোনো মতেই বাতাস দিয়ে এই গরম ঠেকানো যাচ্ছে না।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গৃহীনিরাও। মধুমতি হলের সামনে বাসা গৃহিণী এলিজা আক্তার জানান, বাড়িতে এত ফ্যান। তবু কোনো কাজ হচ্ছে না। গতকাল ও একটি ফ্যান কেনা হয়েছে। কিন্তু ফ্যান যত বেশি জোরেই ঘুরুক, বাতাস নেই। বাচ্চাদের নিয়ে টিকে থাকা খুব কষ্টের। তাই প্রায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হই বাতাসের খোঁজে। কিন্তু যেখানে যাই সেখানেই গরম। বৃস্টি দরকার খুব। কিন্তু মেঘ হলেও কোনো বৃষ্টির দেখা নেই।
মাগুরা বাজার বিপনন কর্মকর্তা আলমগীর হোসের আজকের পত্রিকাকে জানান, গরমে বাজারের কাচা তরকারী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে বৃষ্টি হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। দিনের বেলায় একটা শীতল পরশের খোঁজে মানুষ নবগঙ্গা নদীর পাড়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এরপরও কাঙ্ক্ষিত ঠান্ডা পরিবেশ মিলছে না। মাঝেমাঝে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফ্যানের বাতাসে কাজ হচ্ছে না যেন। এই গরমে তাই মাগুরাবাসীর জীবনযাপনে ভোগান্তি নেমে এসেছে।
মাগুরা শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী। নদীর একপাশে পুরোনো বাজার এলাকা। সকাল বেলা সেখানে ভিড় হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের। ভিড় ঠেলে শেখ কামাল সেতুর ওপর বিশ্রাম নিতে দেখা যায় নানা বয়সীদের। এদের মধ্যে স্কুলশিক্ষক সেলিম হোসেন বলেন, ‘গরম নেই কোথায় বলেন? বাজারে গরম, সড়কে গরম, বাড়িতে গরম এমনকি যেখানে চাকরি করছি সেখানেও গরম। ফ্যান রয়েছে ছোট বড় দিয়ে বাড়িতে ১৩টা। দুটো রুমে এতগুলো ফ্যানেও যেন কাজ হচ্ছে না। আমাদের তো আর এসি কেনার সামর্থ্য নেই। বাচ্চা কাচ্চা খুব ঝামেলা করছে বাড়িতে। কি করার তাই এই সেতুর ওপরে একটা দাঁড়ায় আছি নদীর বাতাস খেতে।’
একই অবস্থা নবগঙ্গা পার্ক এলাকায় ভ্যানচালক মতিয়ার মোল্লার। মধ্য বয়সে সংসারের হাল তাকেই টানতে হয়। ভ্যানটি মোটরচালিত হলেও যেন শরীর তাঁর চলছে না। একটু পর পর ঘাম মুছতে মুছতে বলেন, ‘এরাম চললি অসুস্থ হয়ে যাবানে। কিরাম গরম পরিছে। ভাড়া মারব এর উপায় নেই। এখন তো নদীর বাতাসে আইছি। শরীরডা জুড়াইয়ে তারপর দেখি আবার ভাড়া মারতে যাব।’
গরমে স্কুল শিক্ষার্থী নাহিদ জানায়, ক্লাসে থাকা দায়। চারটা ফ্যান এত ঘুরছে কিন্তু গায়ে কোনো বাতাস লাগছে না। বারবার মনে হচ্ছে যেন ফ্যান ঘুরছে না। এরপর আবার কারেন্ট চলে যায় মাঝে মধ্যে। তখন আমরাসহ স্যাররাও ঘামতে থাকে। এভাবে পড়ালেখা করা যাচ্ছে না।
মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। গরমে তারা শ্রেণিকক্ষে কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। ফ্যান যথেষ্ট পরিমাণে আছে, কিন্তু গরম বেশি হওয়ায় তা আর গায়ে লাগছে না।
মাগুরা শহরের নোমনী ময়দান এলাকায় আম গাছের সারিতে রিকশা ও ভ্যান চালকদের আড্ডা। তারা প্রত্যেকে জানায়, গরমে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এখানে বসে আছে। মাথায় পানি দেওয়া হয়েছে। কোনো মতেই বাতাস দিয়ে এই গরম ঠেকানো যাচ্ছে না।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গৃহীনিরাও। মধুমতি হলের সামনে বাসা গৃহিণী এলিজা আক্তার জানান, বাড়িতে এত ফ্যান। তবু কোনো কাজ হচ্ছে না। গতকাল ও একটি ফ্যান কেনা হয়েছে। কিন্তু ফ্যান যত বেশি জোরেই ঘুরুক, বাতাস নেই। বাচ্চাদের নিয়ে টিকে থাকা খুব কষ্টের। তাই প্রায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হই বাতাসের খোঁজে। কিন্তু যেখানে যাই সেখানেই গরম। বৃস্টি দরকার খুব। কিন্তু মেঘ হলেও কোনো বৃষ্টির দেখা নেই।
মাগুরা বাজার বিপনন কর্মকর্তা আলমগীর হোসের আজকের পত্রিকাকে জানান, গরমে বাজারের কাচা তরকারী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে বৃষ্টি হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে