উপল বড়ুয়া, ঢাকা
কখনো কখনো সময় থমকে দাঁড়ায়। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কাঁদতে দেখে তেমনি যেন ভবঘুরে সময় থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। নির্বাক চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর ফুটবল সমর্থকেরা। বিশ্বকাপে যে আর পায়ের চিহ্ন পড়বে না এই মহাতারকার।
শেষটা রাজকীয় হলো না রোনালদোর। রূপকথা লিখতে বসা মরক্কোর নতুন অধ্যায়টা সাজানো হলো পর্তুগিজ উইঙ্গারের বেদনার্ত বিদায় নিয়ে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের ‘ট্রাজিক হিরো’ হয়েই রইলেন তিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেও ছোঁয়া হলো না সোনালি শিরোপা। পর্তুগালের কাতার বিশ্বকাপ অভিযানের যে দাঁড়ি পড়ল শেষ আটে। কিন্তু নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা রোনালদো তো এমন বিদায় চাননি!
মরক্কোর বিজয়োল্লাস তখন মাঠ থেকে স্টেডিয়ামে উপচে পড়ছে। অন্য পাশে হতাশায় দুই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন রোনালদো। এরপর নিজেকে সামলে অশ্রুসজল চোখে দ্রুত ঢুকে পড়লেন টানেলে। যেন সবার থেকে কান্না লুকোতে চাইছিলেন। কিন্তু বেপরোয়া ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। সান্ত্বনা দিতে আসা কাছের মানুষগুলোকে সরিয়ে একটু একা হয়ে কাঁদতেও পারছিলেন না। কান্না বড় সংক্রামক। রোনালদোর চোখে অশ্রু দেখে আরেকবার কাঁদল কোটি মানুষের হৃদয়। সেই কান্না ছুঁয়ে গেল ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকেও। মুহূর্তে তাঁর টুইট, ‘বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কাঁদতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। যারা তাঁকে নিয়ে উপহাস করেছে, তাদের মনে রাখা উচিত ফুটবলের জন্য তিনি কী করেছেন।’
বিতর্ক ও রোনালদো যেন মুদ্রার দুই পিঠ। গত মাস দু-এক ধরে এই গ্রাফটাও বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তিনি কাতারেও এসেছিলেন অনেক সমালোচনা কাঁধে নিয়ে। চেয়েছিলেন বিশ্বকাপ জিতে সব সমালোচনা কবর দিতে। কিন্তু নিজের স্বপ্নকে মাটিচাপা দিতে হলো তাঁকে। মরক্কোর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল শোধ দিতে পারলে হয়তো আরেকবার তাঁর ট্রেডমার্ক রাজকীয় উদ্যাপন দেখা যেত। সেই চেষ্টার কমতিও রাখেননি। কিন্তু ফুটবল কখনো খুব নিষ্ঠুর আচরণ করে। কাতারে একের পর এক তারকা পতনের তালিকায় যুক্ত হলো রোনালদোর নামও। ‘নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়’—কবি জীবনানন্দ দাশের এই পঙ্ক্তি যেন আরেকবার সত্য হয়ে গেল।
রোনালদো অবশ্য এখনই বিদায় জানাননি। ক্লাব ফুটবলে আরও কয়েক বছর খেলে যেতে পারেন চির লড়াকু এই সৈনিক। কিন্তু জাতীয় দলে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, পর্তুগিজদের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে যে বনিবনা হচ্ছে না, সেটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে রোনালদোকে রাখেননি তিনি। সান্তোস অবশ্য বিষয়টিকে দলের কৌশল হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু সেই কৌশল মরক্কোর বিপক্ষে কাজে আসেনি। গত দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসা রোনালদোর হতাশ অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল মাঠে নামতে কতটুকু মরিয়া ছিলেন তিনি।
অথচ এমন একসময় ছিল, পর্তুগাল দলে এত তারকার ভিড় ছিল না। তখন একাই কঠোর পরিশ্রমী পা দুটো দিয়ে পর্তুগালকে টেনে নিয়েছেন রোনালদো। সময় বদলায়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত বুড়ো ঘোড়াকে মনিব যেভাবে আস্তাবল থেকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলেন, তেমনি ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো এখন দলে ব্রাত্য। কিন্তু রাজা যখন হেঁটে যায়, ঠিকই চিহ্ন রেখে যায় পথে পথে।
সিআর সেভেনও তেমনি। মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নেমেও নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় দুইয়ে (১৯৬ ম্যাচ) থাকা কুয়েতের বাদের আল-মুতাওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে কবেই তো তিনি সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি যেভাবে শেষ বিশ্বকাপ বলেকয়ে কাতারে এসেছেন, রোনালদো অবশ্য সেই ঘোষণা দেননি। কিন্তু এখন যেখানে দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হচ্ছে, আগামী বিশ্বকাপে তাঁকে কেই-বা আর স্কোয়াডে রাখবেন! বিশ্ব মঞ্চের নিজের শেষটা দেখে হয়তো এমন হৃদয়ছোঁয়া কান্নার ঢেউ উঠল রোনালদোর চোখে।
বিশ্বকাপ শেষে রোনালদো
পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গৌরবান্বিত স্বপ্ন। সৌভাগ্যক্রমে আমি পর্তুগালসহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু আমাদের দেশের নাম বিশ্বদরবারের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়া ছিল আমার বড় স্বপ্ন। আমি এর জন্য লড়াই করেছি।
এই স্বপ্নপূরণে আমি কঠোরভাবে লড়েছি। সব সময় সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে এবং লাখ লাখ পর্তুগিজের সমর্থনে ১৬ বছরে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করেছি, সবটুকু দিয়েছি। কখনো লড়াই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি এবং কখনো স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। দুঃখজনকভাবে গতকাল (গত পরশু) সেই স্বপ্ন শেষ হয়েছে এবং এই বক্তব্য এর প্রতিক্রিয়া নয়। আমি শুধু সবাইকে জানাতে চাই, অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে, অনেক কিছু দেখা হয়েছে, তবে পর্তুগালের প্রতি আমার আত্মোৎসর্গ এক মুহূর্তের জন্যও কখনো পাল্টায়নি। আমি সব সময় সবার জন্য লড়াইয়ের মধ্যে ছিলাম এবং কখনো আমার সহকর্মী ও আমার দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না। আপাতত বেশি কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ পর্তুগাল। ধন্যবাদ কাতার। স্বপ্নে যতি পড়লেও স্বপ্নটা সুন্দর ছিল…।
রোনালদোকে নিয়ে তাঁরা
ক্রিস্টিয়ানো দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। যখন আমরা তাকে দরকারি মনে করেছি সে মাঠে নেমেছে। আমরা অনুতপ্ত নই। পর্তুগালের হার যে দুজনকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে তার মধ্যে একজন হলো রোনালদো এবং অন্যজন আমি। অবশ্যই আমরা হতাশ। তবে এটা কোচ এবং খেলোয়াড়ের জীবন ও কাজের অংশ। অবসরের প্রসঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে যা বলেছিলাম, এবারও এর পুনরাবৃত্তি করতে চাই। আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং যখন আমরা পর্তুগাল ফিরব, আমার চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
মরক্কোর বিপক্ষে রোনালদোকে শুরুর একাদশে না নামানো এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
যখন আমার নাতি-নাতনিরা মানুষের ঈর্ষার পরও লড়াই, সম্মান, গৌরব, কাজ, আত্মোৎসর্গ, বাধা নিয়ে জানতে চাইবে, যখন তারা আমাকে জিজ্ঞেস করবে শিরোপা, গোল, পুরস্কার, রেকর্ড সম্পর্কে, আমি তাদের বলব আমার ভাইয়ের নাম, তাদের চাচার কথা। আমি তোমাদের বলব, যে সাম্রাজ্য সে গড়েছে সে সম্পর্কে, আমি তোমাদের বলব তার শক্তি নিয়ে, যে প্রতিজ্ঞাকে সে পূরণ করেছে।
ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর বড় বোন কাতিয়া আভেইরো
কখনো কখনো সময় থমকে দাঁড়ায়। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কাঁদতে দেখে তেমনি যেন ভবঘুরে সময় থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। নির্বাক চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর ফুটবল সমর্থকেরা। বিশ্বকাপে যে আর পায়ের চিহ্ন পড়বে না এই মহাতারকার।
শেষটা রাজকীয় হলো না রোনালদোর। রূপকথা লিখতে বসা মরক্কোর নতুন অধ্যায়টা সাজানো হলো পর্তুগিজ উইঙ্গারের বেদনার্ত বিদায় নিয়ে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের ‘ট্রাজিক হিরো’ হয়েই রইলেন তিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেও ছোঁয়া হলো না সোনালি শিরোপা। পর্তুগালের কাতার বিশ্বকাপ অভিযানের যে দাঁড়ি পড়ল শেষ আটে। কিন্তু নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা রোনালদো তো এমন বিদায় চাননি!
মরক্কোর বিজয়োল্লাস তখন মাঠ থেকে স্টেডিয়ামে উপচে পড়ছে। অন্য পাশে হতাশায় দুই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন রোনালদো। এরপর নিজেকে সামলে অশ্রুসজল চোখে দ্রুত ঢুকে পড়লেন টানেলে। যেন সবার থেকে কান্না লুকোতে চাইছিলেন। কিন্তু বেপরোয়া ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। সান্ত্বনা দিতে আসা কাছের মানুষগুলোকে সরিয়ে একটু একা হয়ে কাঁদতেও পারছিলেন না। কান্না বড় সংক্রামক। রোনালদোর চোখে অশ্রু দেখে আরেকবার কাঁদল কোটি মানুষের হৃদয়। সেই কান্না ছুঁয়ে গেল ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকেও। মুহূর্তে তাঁর টুইট, ‘বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কাঁদতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। যারা তাঁকে নিয়ে উপহাস করেছে, তাদের মনে রাখা উচিত ফুটবলের জন্য তিনি কী করেছেন।’
বিতর্ক ও রোনালদো যেন মুদ্রার দুই পিঠ। গত মাস দু-এক ধরে এই গ্রাফটাও বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তিনি কাতারেও এসেছিলেন অনেক সমালোচনা কাঁধে নিয়ে। চেয়েছিলেন বিশ্বকাপ জিতে সব সমালোচনা কবর দিতে। কিন্তু নিজের স্বপ্নকে মাটিচাপা দিতে হলো তাঁকে। মরক্কোর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল শোধ দিতে পারলে হয়তো আরেকবার তাঁর ট্রেডমার্ক রাজকীয় উদ্যাপন দেখা যেত। সেই চেষ্টার কমতিও রাখেননি। কিন্তু ফুটবল কখনো খুব নিষ্ঠুর আচরণ করে। কাতারে একের পর এক তারকা পতনের তালিকায় যুক্ত হলো রোনালদোর নামও। ‘নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়’—কবি জীবনানন্দ দাশের এই পঙ্ক্তি যেন আরেকবার সত্য হয়ে গেল।
রোনালদো অবশ্য এখনই বিদায় জানাননি। ক্লাব ফুটবলে আরও কয়েক বছর খেলে যেতে পারেন চির লড়াকু এই সৈনিক। কিন্তু জাতীয় দলে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, পর্তুগিজদের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে যে বনিবনা হচ্ছে না, সেটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে রোনালদোকে রাখেননি তিনি। সান্তোস অবশ্য বিষয়টিকে দলের কৌশল হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু সেই কৌশল মরক্কোর বিপক্ষে কাজে আসেনি। গত দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসা রোনালদোর হতাশ অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল মাঠে নামতে কতটুকু মরিয়া ছিলেন তিনি।
অথচ এমন একসময় ছিল, পর্তুগাল দলে এত তারকার ভিড় ছিল না। তখন একাই কঠোর পরিশ্রমী পা দুটো দিয়ে পর্তুগালকে টেনে নিয়েছেন রোনালদো। সময় বদলায়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত বুড়ো ঘোড়াকে মনিব যেভাবে আস্তাবল থেকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলেন, তেমনি ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো এখন দলে ব্রাত্য। কিন্তু রাজা যখন হেঁটে যায়, ঠিকই চিহ্ন রেখে যায় পথে পথে।
সিআর সেভেনও তেমনি। মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নেমেও নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলায় দুইয়ে (১৯৬ ম্যাচ) থাকা কুয়েতের বাদের আল-মুতাওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে কবেই তো তিনি সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি যেভাবে শেষ বিশ্বকাপ বলেকয়ে কাতারে এসেছেন, রোনালদো অবশ্য সেই ঘোষণা দেননি। কিন্তু এখন যেখানে দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হচ্ছে, আগামী বিশ্বকাপে তাঁকে কেই-বা আর স্কোয়াডে রাখবেন! বিশ্ব মঞ্চের নিজের শেষটা দেখে হয়তো এমন হৃদয়ছোঁয়া কান্নার ঢেউ উঠল রোনালদোর চোখে।
বিশ্বকাপ শেষে রোনালদো
পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গৌরবান্বিত স্বপ্ন। সৌভাগ্যক্রমে আমি পর্তুগালসহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু আমাদের দেশের নাম বিশ্বদরবারের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়া ছিল আমার বড় স্বপ্ন। আমি এর জন্য লড়াই করেছি।
এই স্বপ্নপূরণে আমি কঠোরভাবে লড়েছি। সব সময় সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে এবং লাখ লাখ পর্তুগিজের সমর্থনে ১৬ বছরে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করেছি, সবটুকু দিয়েছি। কখনো লড়াই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি এবং কখনো স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। দুঃখজনকভাবে গতকাল (গত পরশু) সেই স্বপ্ন শেষ হয়েছে এবং এই বক্তব্য এর প্রতিক্রিয়া নয়। আমি শুধু সবাইকে জানাতে চাই, অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে, অনেক কিছু দেখা হয়েছে, তবে পর্তুগালের প্রতি আমার আত্মোৎসর্গ এক মুহূর্তের জন্যও কখনো পাল্টায়নি। আমি সব সময় সবার জন্য লড়াইয়ের মধ্যে ছিলাম এবং কখনো আমার সহকর্মী ও আমার দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না। আপাতত বেশি কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ পর্তুগাল। ধন্যবাদ কাতার। স্বপ্নে যতি পড়লেও স্বপ্নটা সুন্দর ছিল…।
রোনালদোকে নিয়ে তাঁরা
ক্রিস্টিয়ানো দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। যখন আমরা তাকে দরকারি মনে করেছি সে মাঠে নেমেছে। আমরা অনুতপ্ত নই। পর্তুগালের হার যে দুজনকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে তার মধ্যে একজন হলো রোনালদো এবং অন্যজন আমি। অবশ্যই আমরা হতাশ। তবে এটা কোচ এবং খেলোয়াড়ের জীবন ও কাজের অংশ। অবসরের প্রসঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে যা বলেছিলাম, এবারও এর পুনরাবৃত্তি করতে চাই। আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং যখন আমরা পর্তুগাল ফিরব, আমার চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
মরক্কোর বিপক্ষে রোনালদোকে শুরুর একাদশে না নামানো এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
যখন আমার নাতি-নাতনিরা মানুষের ঈর্ষার পরও লড়াই, সম্মান, গৌরব, কাজ, আত্মোৎসর্গ, বাধা নিয়ে জানতে চাইবে, যখন তারা আমাকে জিজ্ঞেস করবে শিরোপা, গোল, পুরস্কার, রেকর্ড সম্পর্কে, আমি তাদের বলব আমার ভাইয়ের নাম, তাদের চাচার কথা। আমি তোমাদের বলব, যে সাম্রাজ্য সে গড়েছে সে সম্পর্কে, আমি তোমাদের বলব তার শক্তি নিয়ে, যে প্রতিজ্ঞাকে সে পূরণ করেছে।
ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর বড় বোন কাতিয়া আভেইরো
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে