বিরস
একজন অজনপ্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী প্রচারের জন্য গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে একটি শূকরের খামার ছিল। একটু তাড়া থাকায় ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল কিছুটা বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ খামার থেকে একটি শূকর ছুটে এসে গাড়ির সামনে পড়ল এবং পিষ্ট হলো।
প্রেসিডেন্ট এতে কষ্ট পেলেন। ড্রাইভারকে বকাঝকা করে বললেন, ‘যাও, খামারের মালিকের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে এসো।’
মনমরা হয়ে ড্রাইভার গেল। ফিরল বেশ খানিকটা পর। তার হাতে অনেক উপহার আর খাবারের প্যাকেট।
প্রেসিডেন্ট অবাক। জিজ্ঞেস করলেন, এসব কী?
ড্রাইভার হাসিমুখে জবাব দিল, খামারের মালিক খুশি হয়ে এগুলো আমাকে দিল।
তুমি ওর শূকর মারলে আর তিনি তোমাকে উপহার দিলেন? প্রেসিডেন্টের রাগত জিজ্ঞাসা।
এবার ড্রাইভার বলল, ‘আমি প্রেসিডেন্টের গাড়িচালক। শূকরটা মরেছে। আমি নিজে গাড়িচাপা দিয়ে শূকরটাকে মেরেছি।’
খ. রহমান সাহেব বিকেলে বাসার বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এটা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। বয়স হয়েছে। নানা রোগব্যাধি শরীরে বাসা বেঁধেছে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে শরীরটা ভালো লাগে। তিনি যখন একাকী হাঁটছিলেন, তখন একজন অপরিচিত মানুষ সামনে এসে সালাম দিয়েই বললেন: কী সাহেব, ছেলের খোঁজখবর একটু রাখুন। তাকে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে বলুন। সে তো পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করেছে।
রহমান: সে তো বুঝলাম। কিন্তু আপনি কে? আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না।
আগন্তুক: আমার পরিচয় জানা কি খুব প্রয়োজন? নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন!
রহমান: আপনি অযাচিতভাবে আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছেন কেন? আপনি কি ওর শিক্ষক?
আগন্তুক: আমি হলাম সেই হতভাগ্য ছেলের বাবা, যে কিনা আপনার ছেলের খাতা দেখে পরীক্ষায় উত্তর লিখে সব বিষয়ে ফেল করেছে!
গ. মানুষের নাম নিয়ে নানা মজার ঘটনা আছে। যেমন একজন অশীতিপর বৃদ্ধের নাম শিশু মিয়া। বাদশা মিয়া নামের মানুষটিকে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে জীবন বাঁচাতে হয়। সব সময় মিথ্যা কথা বলেন। খোদাভীতি বলে যার কিছু নেই। নামাজ-রোজার ধার ধারেন না। নাম তার ইমান আলী। জন্মান্ধ মানুষটির নাম রাখা হয়েছে নজর আলী। মুখে কখনো হাসি নেই, গোমড়ামুখো; কিন্তু নাম তার সুহাসিনী। নিয়মিত গোসল করে না, গায়ে পরা জামাকাপড় থেকে বের হয় দুর্গন্ধ। তার নাম কিনা আতর আলী। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে যার স্ফীতকায় শরীরের জন্য সবার দৃষ্টি কাড়ে, ওজন মাপার যন্ত্রে যার ওজন মাপা কঠিন, তার নাম হলো চিকন আলী।
এ জন্যই বুঝি কথায় আছে, নামে কীই-বা আসে যায়! গোবরেই তো পদ্ম ফোটে।
ঘ. একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎকার নিতে এসে তরুণ সাংবাদিক জানতে চাইলেন, আপনার এত জনপ্রিয়তা, এত আপনার ভক্ত সারা দেশে। আপনি বিয়ে করেননি কেন? দেশের জন্য কাজ করতে গিয়েই কি এই ব্যক্তিগত ত্যাগ?
রাজনৈতিক নেতা একটু মুচকি হাসলেন। তারপর বললেন, সে এক বড় কাহিনি। এত পুরোনো কথা না বলাই ভালো।
সাংবাদিক নাছোড়বান্দা। তিনি বলেন, মানুষ আপনার সম্পর্কে, আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চায়। আপনি তো গণমানুষের নেতা।
এবার নেতা একটু নড়েচড়ে বসে বলেন, সে অনেক দিন আগের কথা। এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা মঞ্চে বসে লক্ষ করলাম, আমার সামনে দর্শক সারিতে বসে আছেন শাড়ি পরা এক সুদর্শন নারী। আমি অনুষ্ঠান শেষে নামতে গিয়ে ওই নারীর শাড়ির সঙ্গে কী করে যেন পা জড়িয়ে গেলে তিনি উপুড় হয়ে পড়লেন এবং মাথা নিচু করেই বিশ্রী সব শব্দ ব্যবহার করে গালাগাল শুরু করেন। হঠাৎ মুখ তুলে আমাকে তাঁর সামনে দেখে বললেন, দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম, এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে নেতা বললেন, ওই থেকে আমাকে স্ত্রী-ভীতি পেয়ে বসে!
ঙ. খন্দকার সাহেব একদিন এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে ডান হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘বাবা! আমার ডান হাত চুলকায়। আগামী দিনে কি ভালো কিছু আছে?’
জ্যোতিষী হাতটা একটু নেড়েচেড়ে বললেন, তোর অর্থপ্রাপ্তি সুনিশ্চিত।
খন্দকার খুশি হয়ে বললেন, বাবা, বাঁ হাতও চুলকায়!
জ্যোতিষী দুই হাত দেখে সহাস্যে বললেন, তোর অনেক বেশি অর্থপ্রাপ্তি ঘটবে।
খন্দকার সাহেব সানন্দে বললেন, বাবা, আমার যে ডান হাঁটু চুলকায়।
জ্যোতিষী একটু ভেবে বললেন, তোর বিদেশযাত্রা হবে।
খুশিতে গদগদ খন্দকার সাহেব মহা উৎসাহে এবার যোগ করলেন, আমার বাঁ হাঁটুও চুলকায় বাবা!
কিছুটা বিরক্ত হয়ে জ্যোতিষীর জবাব, ওরে হারামজাদা, তোর তো চুলকানি হয়েছে! তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখা।
একজন অজনপ্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী প্রচারের জন্য গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে একটি শূকরের খামার ছিল। একটু তাড়া থাকায় ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল কিছুটা বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ খামার থেকে একটি শূকর ছুটে এসে গাড়ির সামনে পড়ল এবং পিষ্ট হলো।
প্রেসিডেন্ট এতে কষ্ট পেলেন। ড্রাইভারকে বকাঝকা করে বললেন, ‘যাও, খামারের মালিকের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে এসো।’
মনমরা হয়ে ড্রাইভার গেল। ফিরল বেশ খানিকটা পর। তার হাতে অনেক উপহার আর খাবারের প্যাকেট।
প্রেসিডেন্ট অবাক। জিজ্ঞেস করলেন, এসব কী?
ড্রাইভার হাসিমুখে জবাব দিল, খামারের মালিক খুশি হয়ে এগুলো আমাকে দিল।
তুমি ওর শূকর মারলে আর তিনি তোমাকে উপহার দিলেন? প্রেসিডেন্টের রাগত জিজ্ঞাসা।
এবার ড্রাইভার বলল, ‘আমি প্রেসিডেন্টের গাড়িচালক। শূকরটা মরেছে। আমি নিজে গাড়িচাপা দিয়ে শূকরটাকে মেরেছি।’
খ. রহমান সাহেব বিকেলে বাসার বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এটা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। বয়স হয়েছে। নানা রোগব্যাধি শরীরে বাসা বেঁধেছে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে শরীরটা ভালো লাগে। তিনি যখন একাকী হাঁটছিলেন, তখন একজন অপরিচিত মানুষ সামনে এসে সালাম দিয়েই বললেন: কী সাহেব, ছেলের খোঁজখবর একটু রাখুন। তাকে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে বলুন। সে তো পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করেছে।
রহমান: সে তো বুঝলাম। কিন্তু আপনি কে? আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না।
আগন্তুক: আমার পরিচয় জানা কি খুব প্রয়োজন? নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন!
রহমান: আপনি অযাচিতভাবে আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছেন কেন? আপনি কি ওর শিক্ষক?
আগন্তুক: আমি হলাম সেই হতভাগ্য ছেলের বাবা, যে কিনা আপনার ছেলের খাতা দেখে পরীক্ষায় উত্তর লিখে সব বিষয়ে ফেল করেছে!
গ. মানুষের নাম নিয়ে নানা মজার ঘটনা আছে। যেমন একজন অশীতিপর বৃদ্ধের নাম শিশু মিয়া। বাদশা মিয়া নামের মানুষটিকে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে জীবন বাঁচাতে হয়। সব সময় মিথ্যা কথা বলেন। খোদাভীতি বলে যার কিছু নেই। নামাজ-রোজার ধার ধারেন না। নাম তার ইমান আলী। জন্মান্ধ মানুষটির নাম রাখা হয়েছে নজর আলী। মুখে কখনো হাসি নেই, গোমড়ামুখো; কিন্তু নাম তার সুহাসিনী। নিয়মিত গোসল করে না, গায়ে পরা জামাকাপড় থেকে বের হয় দুর্গন্ধ। তার নাম কিনা আতর আলী। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে যার স্ফীতকায় শরীরের জন্য সবার দৃষ্টি কাড়ে, ওজন মাপার যন্ত্রে যার ওজন মাপা কঠিন, তার নাম হলো চিকন আলী।
এ জন্যই বুঝি কথায় আছে, নামে কীই-বা আসে যায়! গোবরেই তো পদ্ম ফোটে।
ঘ. একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎকার নিতে এসে তরুণ সাংবাদিক জানতে চাইলেন, আপনার এত জনপ্রিয়তা, এত আপনার ভক্ত সারা দেশে। আপনি বিয়ে করেননি কেন? দেশের জন্য কাজ করতে গিয়েই কি এই ব্যক্তিগত ত্যাগ?
রাজনৈতিক নেতা একটু মুচকি হাসলেন। তারপর বললেন, সে এক বড় কাহিনি। এত পুরোনো কথা না বলাই ভালো।
সাংবাদিক নাছোড়বান্দা। তিনি বলেন, মানুষ আপনার সম্পর্কে, আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চায়। আপনি তো গণমানুষের নেতা।
এবার নেতা একটু নড়েচড়ে বসে বলেন, সে অনেক দিন আগের কথা। এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা মঞ্চে বসে লক্ষ করলাম, আমার সামনে দর্শক সারিতে বসে আছেন শাড়ি পরা এক সুদর্শন নারী। আমি অনুষ্ঠান শেষে নামতে গিয়ে ওই নারীর শাড়ির সঙ্গে কী করে যেন পা জড়িয়ে গেলে তিনি উপুড় হয়ে পড়লেন এবং মাথা নিচু করেই বিশ্রী সব শব্দ ব্যবহার করে গালাগাল শুরু করেন। হঠাৎ মুখ তুলে আমাকে তাঁর সামনে দেখে বললেন, দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম, এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে নেতা বললেন, ওই থেকে আমাকে স্ত্রী-ভীতি পেয়ে বসে!
ঙ. খন্দকার সাহেব একদিন এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে ডান হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘বাবা! আমার ডান হাত চুলকায়। আগামী দিনে কি ভালো কিছু আছে?’
জ্যোতিষী হাতটা একটু নেড়েচেড়ে বললেন, তোর অর্থপ্রাপ্তি সুনিশ্চিত।
খন্দকার খুশি হয়ে বললেন, বাবা, বাঁ হাতও চুলকায়!
জ্যোতিষী দুই হাত দেখে সহাস্যে বললেন, তোর অনেক বেশি অর্থপ্রাপ্তি ঘটবে।
খন্দকার সাহেব সানন্দে বললেন, বাবা, আমার যে ডান হাঁটু চুলকায়।
জ্যোতিষী একটু ভেবে বললেন, তোর বিদেশযাত্রা হবে।
খুশিতে গদগদ খন্দকার সাহেব মহা উৎসাহে এবার যোগ করলেন, আমার বাঁ হাঁটুও চুলকায় বাবা!
কিছুটা বিরক্ত হয়ে জ্যোতিষীর জবাব, ওরে হারামজাদা, তোর তো চুলকানি হয়েছে! তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে