বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
করোনার প্রভাবে ঝিমিয়ে পড়া বান্দরবানের পর্যটন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন পর্যটক বাড়ছে এখানে। পর্যটনকেন্দ্র, পর্যটনসংশ্লিষ্ট যানবাহন, ব্যবসা-বাণিজ্যে তেজিভাব দেখা গেছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হচ্ছে। গত বুধবার জেলা সদরের পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় বান্দরবানে পর্যটন খাতে প্রতিবছর শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়। দেশে করোনা শনাক্ত শুরু হওয়ার পর ঝুঁকি এড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ফলে পর্যটনকেন্দ্র ও আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল-রিসোর্টে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেমে যায়। বেকার হয়ে পড়েন পর্যটনকেন্দ্রিক অন্তত পাঁচ হাজার কর্মী।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নত হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে বান্দরবানে পর্যটন খাত আবারও খুলে দেওয়া হয়। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফেরে ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে। তবে চলতি বছরের প্রথম দিকে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবার ক্ষতির মুখে পড়ে বান্দরবানের পর্যটন খাত। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে।
বুধবার বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শৈলপ্রপাতে গিয়ে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে ভিড় জমান লোকজন। কয়েকজন পর্যটক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এ ছাড়া পর্যটন মৌসুমও শেষ হওয়ার পথে। তাই বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক তুহীন ইসলাম বুধবার বলেন, ১০ জনের একটি দল সোমবার বান্দরবান এসেছে। দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে বান্দরবানের অনেকগুলো পর্যটনকেন্দ্র ঘুরেছেন। বুধবার শৈলপ্রপাত দেখার পর রাতেই ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা তাঁদের।
পাবনা থেকে আসা পর্যটক হেফাজতুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে বান্দরবান এলেও করোনার কারণে গত বছর এখানে আসতে পারেননি। এবার তাঁরা ছয়জনের একটি দল বান্দরবানে এসেছেন।
শৈলপ্রপাতে বম জাতিগোষ্ঠীর অনেকগুলো কাপড়ের দোকান রয়েছে। এখানকার নারী ব্যবসায়ী নিক্কি বম বলেন, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাঁদের বেচাবিক্রি বেড়েছে। অনেকে শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসছেন। পর্যটকেরা বমদের তৈরি শাল, মাফলার, বিভিন্ন পোশাক, বাঁশ-বেতের সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন। তাঁদের ব্যবসা আবারও জমে উঠেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বান্দরবান সদরের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলাতেও পর্যটকের ভিড় আগের তুলনায় বেড়েছে। গত সপ্তাহে ছুটির দিনে বিপুল পর্যটক এসেছিলেন। নীলাচলের ইনচার্জ আদিব বড়ুয়া বলেন, ছুটির দিন না হলেও বুধবার বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এতে করে তাঁদের আয়ও বেড়েছে। নীলাচলে বিকেলের সৌন্দর্য দেখার জন্য বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান।
মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে আসা নরসিংদীর বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, তাঁরা গত মঙ্গলবার বান্দরবান বেড়াতে এসেছেন। একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত থেকে তারপর ফিরে যাবেন।
পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহনগুলোও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। চালক মো. সুমন জানান, আগের তুলনায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এতে তাঁরা ভাড়াও বেশি পাচ্ছেন।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রিন হিলের ম্যানেজার রূপন আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়েছে। এত দিন পর হোটেলে বোর্ডার বেড়েছে।
এদিকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে করোনার টিকা সনদ দেখিয়ে থাকতে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে পর্যটক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনার প্রভাবে ঝিমিয়ে পড়া বান্দরবানের পর্যটন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দিন দিন পর্যটক বাড়ছে এখানে। পর্যটনকেন্দ্র, পর্যটনসংশ্লিষ্ট যানবাহন, ব্যবসা-বাণিজ্যে তেজিভাব দেখা গেছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হচ্ছে। গত বুধবার জেলা সদরের পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় বান্দরবানে পর্যটন খাতে প্রতিবছর শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়। দেশে করোনা শনাক্ত শুরু হওয়ার পর ঝুঁকি এড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ফলে পর্যটনকেন্দ্র ও আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল-রিসোর্টে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেমে যায়। বেকার হয়ে পড়েন পর্যটনকেন্দ্রিক অন্তত পাঁচ হাজার কর্মী।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নত হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে বান্দরবানে পর্যটন খাত আবারও খুলে দেওয়া হয়। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফেরে ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে। তবে চলতি বছরের প্রথম দিকে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবার ক্ষতির মুখে পড়ে বান্দরবানের পর্যটন খাত। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ছে।
বুধবার বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শৈলপ্রপাতে গিয়ে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে ভিড় জমান লোকজন। কয়েকজন পর্যটক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এ ছাড়া পর্যটন মৌসুমও শেষ হওয়ার পথে। তাই বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক তুহীন ইসলাম বুধবার বলেন, ১০ জনের একটি দল সোমবার বান্দরবান এসেছে। দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে বান্দরবানের অনেকগুলো পর্যটনকেন্দ্র ঘুরেছেন। বুধবার শৈলপ্রপাত দেখার পর রাতেই ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা তাঁদের।
পাবনা থেকে আসা পর্যটক হেফাজতুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে বান্দরবান এলেও করোনার কারণে গত বছর এখানে আসতে পারেননি। এবার তাঁরা ছয়জনের একটি দল বান্দরবানে এসেছেন।
শৈলপ্রপাতে বম জাতিগোষ্ঠীর অনেকগুলো কাপড়ের দোকান রয়েছে। এখানকার নারী ব্যবসায়ী নিক্কি বম বলেন, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাঁদের বেচাবিক্রি বেড়েছে। অনেকে শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসছেন। পর্যটকেরা বমদের তৈরি শাল, মাফলার, বিভিন্ন পোশাক, বাঁশ-বেতের সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন। তাঁদের ব্যবসা আবারও জমে উঠেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বান্দরবান সদরের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলাতেও পর্যটকের ভিড় আগের তুলনায় বেড়েছে। গত সপ্তাহে ছুটির দিনে বিপুল পর্যটক এসেছিলেন। নীলাচলের ইনচার্জ আদিব বড়ুয়া বলেন, ছুটির দিন না হলেও বুধবার বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এতে করে তাঁদের আয়ও বেড়েছে। নীলাচলে বিকেলের সৌন্দর্য দেখার জন্য বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান।
মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে আসা নরসিংদীর বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, তাঁরা গত মঙ্গলবার বান্দরবান বেড়াতে এসেছেন। একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত থেকে তারপর ফিরে যাবেন।
পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহনগুলোও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। চালক মো. সুমন জানান, আগের তুলনায় বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এতে তাঁরা ভাড়াও বেশি পাচ্ছেন।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রিন হিলের ম্যানেজার রূপন আজকের পত্রিকাকে জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়েছে। এত দিন পর হোটেলে বোর্ডার বেড়েছে।
এদিকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে করোনার টিকা সনদ দেখিয়ে থাকতে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে পর্যটক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে