রাজশাহী প্রতিনিধি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় রাজশাহীর ৩৩টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাস্তবে চালুই আছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার নিউরো কেয়ার এবং শাহ মখদুম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। গত শুক্রবার রাতেও এ দুটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি প্রতিষ্ঠান দুটির দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।
অবৈধভাবে চলা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাফল্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টর ক্লিনিক, হামিরকুৎসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওরিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল আলট্রাসাউন্ড অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ডা. আবদুল হাদী হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিউ বাগমারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়ার সাফল্য ও ডক্টর ক্লিনিক ঠিকই চলছে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ কিংবা সিলগালা করা হয়নি বলে মালিকেরা দাবি করেছেন। হামিরকুৎসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রমও চলছে আগের মতো। চলছে তাহেরপুর বাজারের রয়েল আলট্রাসাউন্ড অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। রয়েল বন্ধ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এখন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিংও করা হচ্ছে। অনলাইনে প্রচার করা হচ্ছে ভিডিও বার্তা। রয়েলের পরিচালক আবদুল মালেক সরদার দাবি করছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্ধের তালিকায় তাঁর ক্লিনিকের নাম দেখানো হয়েছে। তাঁর সব কাগজপত্রই আছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তালিকায় বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শতফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি খোলা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু সাইদ ও শিশির মাহমুদ দাবি করেন, শতফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য তাঁদের কোনো প্রকার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
চারঘাটের মিম কমিউনিটি ক্লিনিক, নীলিমা ক্লিনিক ও বিএম ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। মিম কমিউনিটি ক্লিনিক এক মাস আগে থেকেই মালিকানা দ্বন্দ্বে বন্ধ রয়েছে। আর বিএম ক্লিনিক ও নীলিমা ক্লিনিকের কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ দুটি ক্লিনিকে গিয়ে রোগী ভর্তি থাকতে দেখা গেছে।
নীলিমা ক্লিনিকের পরিচালক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় আমার ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আমি সব কাগজপত্র ঠিক করেছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষয়টা জানিয়েছি। যেকোনো সময় সিভিল সার্জন অফিস থেকে অডিট আসতে পারে। এ জন্য খোলা রেখেছি।’
গোদাগাড়ীর নাহার ক্লিনিক, জনতা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মিথিলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অনেক আগে থেকেই নাহার ও মিথিলা ক্লিনিক তালাবদ্ধ। চালাতে না পেরে মালিক পক্ষই অনেক আগে এগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তবে অভিযানের পর বন্ধ হয়েছে জনতা। বন্ধের তালিকায় থাকা পবার ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিরই কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে লাইফ কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে। বন্ধের তালিকায় রাখা দুর্গাপুরের ৩টি ও বাঘার ১১টি ক্লিনিক বাস্তবেও বন্ধ রয়েছে। তবে বন্ধের তালিকায় থাকা তানোরের প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেবা ক্লিনিক এখনো চলছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘কয়েকটা জায়গায় বন্ধ করার পরও ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়নি বলে আমরা খবর পেয়েছি। এবার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যাব। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ তো থাকবেই, এবার জরিমানাও করা হবে।’ (প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন পবা, মোহনপুর, বাঘা, দুর্গাপুর ও চারঘাট প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় রাজশাহীর ৩৩টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাস্তবে চালুই আছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার নিউরো কেয়ার এবং শাহ মখদুম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। গত শুক্রবার রাতেও এ দুটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি প্রতিষ্ঠান দুটির দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।
অবৈধভাবে চলা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাফল্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টর ক্লিনিক, হামিরকুৎসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওরিন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল আলট্রাসাউন্ড অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ডা. আবদুল হাদী হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিউ বাগমারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়ার সাফল্য ও ডক্টর ক্লিনিক ঠিকই চলছে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ কিংবা সিলগালা করা হয়নি বলে মালিকেরা দাবি করেছেন। হামিরকুৎসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রমও চলছে আগের মতো। চলছে তাহেরপুর বাজারের রয়েল আলট্রাসাউন্ড অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। রয়েল বন্ধ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এখন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিংও করা হচ্ছে। অনলাইনে প্রচার করা হচ্ছে ভিডিও বার্তা। রয়েলের পরিচালক আবদুল মালেক সরদার দাবি করছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্ধের তালিকায় তাঁর ক্লিনিকের নাম দেখানো হয়েছে। তাঁর সব কাগজপত্রই আছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তালিকায় বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শতফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি খোলা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু সাইদ ও শিশির মাহমুদ দাবি করেন, শতফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য তাঁদের কোনো প্রকার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
চারঘাটের মিম কমিউনিটি ক্লিনিক, নীলিমা ক্লিনিক ও বিএম ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। মিম কমিউনিটি ক্লিনিক এক মাস আগে থেকেই মালিকানা দ্বন্দ্বে বন্ধ রয়েছে। আর বিএম ক্লিনিক ও নীলিমা ক্লিনিকের কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ দুটি ক্লিনিকে গিয়ে রোগী ভর্তি থাকতে দেখা গেছে।
নীলিমা ক্লিনিকের পরিচালক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় আমার ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আমি সব কাগজপত্র ঠিক করেছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষয়টা জানিয়েছি। যেকোনো সময় সিভিল সার্জন অফিস থেকে অডিট আসতে পারে। এ জন্য খোলা রেখেছি।’
গোদাগাড়ীর নাহার ক্লিনিক, জনতা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মিথিলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অনেক আগে থেকেই নাহার ও মিথিলা ক্লিনিক তালাবদ্ধ। চালাতে না পেরে মালিক পক্ষই অনেক আগে এগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তবে অভিযানের পর বন্ধ হয়েছে জনতা। বন্ধের তালিকায় থাকা পবার ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিরই কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে লাইফ কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে। বন্ধের তালিকায় রাখা দুর্গাপুরের ৩টি ও বাঘার ১১টি ক্লিনিক বাস্তবেও বন্ধ রয়েছে। তবে বন্ধের তালিকায় থাকা তানোরের প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেবা ক্লিনিক এখনো চলছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘কয়েকটা জায়গায় বন্ধ করার পরও ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়নি বলে আমরা খবর পেয়েছি। এবার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যাব। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ তো থাকবেই, এবার জরিমানাও করা হবে।’ (প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন পবা, মোহনপুর, বাঘা, দুর্গাপুর ও চারঘাট প্রতিনিধি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে