সখীপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে আসামিদের মধ্যে ৬০ জন টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় ৪৭ জনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম ফায়জুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বড়চওনা এলাকায় টহলরত পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সখীপুর থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯৪ জনকে আসামি করা হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ১২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় পুলিশ।

পরে গতকাল ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির ৬০ নেতা-কর্মী জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক ফারজানা হাসানাত ৪৭ জনকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিষয় বিবেচনায় আদালত ১৩ জনকে জামিন দেন।

আদালতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর, সাবেক সহসভাপতি আবদুল বাছেত মাস্টার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ছবুর রেজা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি শাজাহান সাজু বলেন, ওই নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ কয়েকটি গায়েবি মামলা করে। ওই সব গায়েবি মামলার আসামিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান তিনি।