ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ‘পাস্তুরিত’ তরল দুধ। জেলার প্রতিটি হাট-বাজারে এর বেশ ক্রেতা চাহিদা রয়েছে। গুঁড়ো দুধে পানি মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করে পাস্তুরিত তরল দুধের মোড়ক লাগানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় দুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, আকর্ষণীয় মূল্যে তাঁরা দুধ কিনছেন। সস্তায় কেনার কারণে তাঁদেরও লাভ বেশি হচ্ছে। কেউ ভেজাল দুধ বিক্রি করছে কিনা সেটা দেখবে প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দুগ্ধ খামারি বলেন, একাধিক চক্র গুঁড়ো দুধ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে দুধ বানিয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের অভিযোগ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেও আসছে। তবে বিচারিক ক্ষমতা না থাকায় এ বিষয়ে তাদের কিছুই করণীয় নেই। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
শহরতলির ভালুকিয়া এলাকার হুমায়ুন মজুমদার নামের এক খামারি আটটি গরু থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার দুধ পান। তাঁর দাবি, গোখাদ্য ও পরিচর্যার খরচ ধরে দুধের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেন, দোকানিরা তাঁর কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ পাইকারি ৪৫-৫০ টাকায় কিনতে চান। কিন্তু এই দামে প্রকৃত দুগ্ধ খামারির পক্ষে দুধ বিক্রি সম্ভব নয়।
শহরের খাজুরিয়া এলাকার নান্টু লাল নামের এক দোকানি জানান, তাঁর মতো অনেকে স্থানীয়ভাবে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় দুধ কিনে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। তবে দুধে ভেজাল আছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
শহরের হকার্স বাজারের আলমগীর হোসেন, রহিম উল্লাহসহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সরবরাহ করা সব প্যাকেটজাত দুধ কোথা থেকে আসছে তা খুঁজে বের করা দরকার। না হয় ভেজালের ভিড়ে প্রকৃত দুগ্ধ খামারিরা হারিয়ে যাবেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, সব দুধ পরীক্ষা করে তাতে ক্ষতিকর কিছুর উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে এসব খেয়ে মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক উস সালেহিন বলেন, প্রতিটি খামারি, দুগ্ধ উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা পরিবারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও জীবাণুর উপস্থিতি পরীক্ষা করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এও মনে রাখতে হবে যে, এসব কারণে দেশি এ শিল্পের যেন ক্ষতি না হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ভেজাল তরল দুধ তৈরি করে বাজারজাত করার অভিযোগ মৌখিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি দুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। তিনি মনে করেন, বাজারে সরবরাহ করা প্যাকেটজাত দুধ কোথা থেকে আসছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া তরল দুধ যেন বাজারে সরবরাহ করা না হয়, তাও নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু সেলিম মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সব খামার মালিককে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ফেনীতে বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ‘পাস্তুরিত’ তরল দুধ। জেলার প্রতিটি হাট-বাজারে এর বেশ ক্রেতা চাহিদা রয়েছে। গুঁড়ো দুধে পানি মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করে পাস্তুরিত তরল দুধের মোড়ক লাগানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় দুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, আকর্ষণীয় মূল্যে তাঁরা দুধ কিনছেন। সস্তায় কেনার কারণে তাঁদেরও লাভ বেশি হচ্ছে। কেউ ভেজাল দুধ বিক্রি করছে কিনা সেটা দেখবে প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দুগ্ধ খামারি বলেন, একাধিক চক্র গুঁড়ো দুধ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে দুধ বানিয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের অভিযোগ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেও আসছে। তবে বিচারিক ক্ষমতা না থাকায় এ বিষয়ে তাদের কিছুই করণীয় নেই। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
শহরতলির ভালুকিয়া এলাকার হুমায়ুন মজুমদার নামের এক খামারি আটটি গরু থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লিটার দুধ পান। তাঁর দাবি, গোখাদ্য ও পরিচর্যার খরচ ধরে দুধের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেন, দোকানিরা তাঁর কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ পাইকারি ৪৫-৫০ টাকায় কিনতে চান। কিন্তু এই দামে প্রকৃত দুগ্ধ খামারির পক্ষে দুধ বিক্রি সম্ভব নয়।
শহরের খাজুরিয়া এলাকার নান্টু লাল নামের এক দোকানি জানান, তাঁর মতো অনেকে স্থানীয়ভাবে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় দুধ কিনে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। তবে দুধে ভেজাল আছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
শহরের হকার্স বাজারের আলমগীর হোসেন, রহিম উল্লাহসহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সরবরাহ করা সব প্যাকেটজাত দুধ কোথা থেকে আসছে তা খুঁজে বের করা দরকার। না হয় ভেজালের ভিড়ে প্রকৃত দুগ্ধ খামারিরা হারিয়ে যাবেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, সব দুধ পরীক্ষা করে তাতে ক্ষতিকর কিছুর উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে এসব খেয়ে মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক উস সালেহিন বলেন, প্রতিটি খামারি, দুগ্ধ উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা পরিবারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও জীবাণুর উপস্থিতি পরীক্ষা করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এও মনে রাখতে হবে যে, এসব কারণে দেশি এ শিল্পের যেন ক্ষতি না হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ভেজাল তরল দুধ তৈরি করে বাজারজাত করার অভিযোগ মৌখিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি দুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। তিনি মনে করেন, বাজারে সরবরাহ করা প্যাকেটজাত দুধ কোথা থেকে আসছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া তরল দুধ যেন বাজারে সরবরাহ করা না হয়, তাও নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু সেলিম মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সব খামার মালিককে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৪ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে