এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল কাদেরকে নির্যাতন ও জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খিলগাঁও থানার সাবেক ওসি হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে যেতেই হচ্ছে। সাজার বিরুদ্ধে আপিলে হেরে হাইকোর্টে করা রিভিশন আবেদনও খারিজ হয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে সাজা।
বিচারপতি ফাতেমা নজীবের একক বেঞ্চ চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি এবং ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে ৭ মার্চ হেলাল উদ্দিনের রিভিশন আবেদন খারিজ করেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যার অনুলিপি আজকের পত্রিকা পেয়েছে। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। বিচারিক আদালত যে সাজা দিয়েছেন, তা সঠিক। তাই রিভিশন আবেদন খারিজ করে সাজা বহাল রাখা হলো। রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে হেলালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হেলাল উদ্দিনের আইনজীবী মোশারফ হোসেন সরদার বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো সার্টিফায়েড কপি তুলিনি। রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কারাগারে গিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা যাবে এবং জামিন চাওয়া যাবে। রিভিশন খারিজ হওয়ায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, হাইকোর্ট সাজা বহাল রেখেছেন। এখন হেলালকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তারপর চাইলে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করা যাবে। আপিল বিভাগেই তাঁকে জামিন চাইতে হবে।
২০১১ সালের ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র আবদুল কাদের ছোট বোনকে ইস্কাটনে খালার বাসায় রেখে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ফেরার সময় সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে থেকে টহল পুলিশ তাঁকে আটক করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁকে ছিনতাইকারী বলে পুলিশ খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরদিন নির্যাতন করে জোরপূর্বক একটি মামলায় স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন থানার তৎকালীন ওসি হেলাল উদ্দিন। নির্যাতনের একপর্যায়ে হেলাল চাপাতি দিয়ে কাদেরের পায়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। ওই দিন তাঁর বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একটি এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি গাড়ি ছিনতাইয়ের মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সে সময়ে প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র কাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই বছরের ২৬ জুলাই কাদেরের মুক্তির দাবিতে তাঁর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করলে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ২৮ জুলাই হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাদেরের নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে আইনসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে সরকারি খরচে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৩ আগস্ট তিন মামলাতেই জামিন পেয়ে হলে ফেরেন কাদের। পরে তিনি ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এবং ১১ ডিসেম্বর পুলিশের তদন্ত কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে কাদেরকে নির্দোষ উল্লেখ করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত ওসি হেলালের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় মামলা করেন কাদের। পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই দিন কাদেরকে তিন মামলা থেকেই অব্যাহতি দেন আদালত।
হেলালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ওই বছরের ২৬ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ১৭ মে হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। হেলাল আপিল করলেও ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই ওই সাজা বহাল থাকে। পরে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল কাদেরকে নির্যাতন ও জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খিলগাঁও থানার সাবেক ওসি হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে যেতেই হচ্ছে। সাজার বিরুদ্ধে আপিলে হেরে হাইকোর্টে করা রিভিশন আবেদনও খারিজ হয়েছে। বহাল রাখা হয়েছে সাজা।
বিচারপতি ফাতেমা নজীবের একক বেঞ্চ চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি এবং ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে ৭ মার্চ হেলাল উদ্দিনের রিভিশন আবেদন খারিজ করেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যার অনুলিপি আজকের পত্রিকা পেয়েছে। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। বিচারিক আদালত যে সাজা দিয়েছেন, তা সঠিক। তাই রিভিশন আবেদন খারিজ করে সাজা বহাল রাখা হলো। রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে হেলালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হেলাল উদ্দিনের আইনজীবী মোশারফ হোসেন সরদার বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো সার্টিফায়েড কপি তুলিনি। রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কারাগারে গিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা যাবে এবং জামিন চাওয়া যাবে। রিভিশন খারিজ হওয়ায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, হাইকোর্ট সাজা বহাল রেখেছেন। এখন হেলালকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তারপর চাইলে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করা যাবে। আপিল বিভাগেই তাঁকে জামিন চাইতে হবে।
২০১১ সালের ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র আবদুল কাদের ছোট বোনকে ইস্কাটনে খালার বাসায় রেখে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ফেরার সময় সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে থেকে টহল পুলিশ তাঁকে আটক করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁকে ছিনতাইকারী বলে পুলিশ খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরদিন নির্যাতন করে জোরপূর্বক একটি মামলায় স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন থানার তৎকালীন ওসি হেলাল উদ্দিন। নির্যাতনের একপর্যায়ে হেলাল চাপাতি দিয়ে কাদেরের পায়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। ওই দিন তাঁর বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একটি এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি গাড়ি ছিনতাইয়ের মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সে সময়ে প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র কাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই বছরের ২৬ জুলাই কাদেরের মুক্তির দাবিতে তাঁর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করলে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ২৮ জুলাই হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাদেরের নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে আইনসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে সরকারি খরচে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৩ আগস্ট তিন মামলাতেই জামিন পেয়ে হলে ফেরেন কাদের। পরে তিনি ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এবং ১১ ডিসেম্বর পুলিশের তদন্ত কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে কাদেরকে নির্দোষ উল্লেখ করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত ওসি হেলালের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় মামলা করেন কাদের। পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই দিন কাদেরকে তিন মামলা থেকেই অব্যাহতি দেন আদালত।
হেলালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ওই বছরের ২৬ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ১৭ মে হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। হেলাল আপিল করলেও ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই ওই সাজা বহাল থাকে। পরে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে