ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
দুই সপ্তাহ ধরে ময়মনসিংহ নগরীতে ফুটপাতে নেই হকার। ফলে চলাচলে স্বস্তি মিলেছে মানুষের। বেড়েছে বেচাকেনা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হকারমুক্ত ফুটপাত যাতে সব সময় থাকে, সেই আহ্বান নগরীর বাসিন্দাদের। তবে উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র এ বি গুহ রোড, যা সবার কাছে গাঙ্গিনারপাড় হিসেবে পরিচিত। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিতে মানুষের চলাচল সবচেয়ে বেশি। নিত্য পণ্য কেনাকাটাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক এবং হোটেল রয়েছে সেখানে। এই গাঙ্গিনারপাড় থেকে তাজমহল মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে রাস্তার দুই পাশে প্রায় আড়াই শ হকার পণ্যের পসরা সাজিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসত।
এসব ঘিরে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট। ফলে ফুটপাত উচ্ছেদ রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তি ও প্রশাসনের কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পুলিশের উদ্যোগে ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনের দাবিও উঠেছে।
দুই সন্তান নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সানকিপাড়ার হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে রাস্তার পাশে হকার বসার কারণে হেঁটে চলাও দায় ছিল। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করার কারণে আমার মতো সবাই স্বস্তিতে চলছে। ফুটপাত উচ্ছেদ অব্যাহত থাকলে মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।’ শনিবার গাঙ্গিনাপাড় ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতহীন রাস্তায় মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিছুটা যানজট থাকলেও হেঁটে চলতে কারও সমস্যা হচ্ছে না। মানুষ স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন।
বড় বোনের বিয়ের শাড়ি কিনতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘ফুটপাত দখলে থাকায় রাস্তা দিয়ে মেয়েদের চলাফেরা করতে বেশি সমস্যা হতো। ছিল ছিনতাই আতঙ্ক। এখন রাস্তার দুপাশ অনেকটা ফাঁকা, চলতে সমস্যা হয় না। গাঙ্গিনারপাড় এমন ফাঁকা হবে কোনো দিন ভাবিনি। এমন সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
সরকার ম্যানসনের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম মোন্তুফা বলেন, ‘ফুটপাত উচ্ছেদে স্বস্তির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। আগের তুলনায় এখন আমাদের বিক্রি বেশি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে হকার শাহ আলম বলেন, ‘মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে আমাদের রুটি রোজগারের কথা চিন্তা করে প্রশাসন মালগুদাম ছাড়া অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গাঙ্গিনাপাড় হকারমুক্ত হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে চলাফেরা করছে। তবে হকারদের কথা বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং জেলা প্রশাসককে বলে তাঁদের জন্য মালগুদাম জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে হকাররা বসতে রাজি নয়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘যোগদানের তিন মাস পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রমে হাত দিই। প্রথমে দুর্গাবাড়ি পরে চরপাড়া এরপর গাঙ্গিনারপাড় ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি মানুষের ভোগান্তি লাঘবে করেছি। হকাররা যাতে বসতে না পারে সে জন্য নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে।’ তাঁদের পুনর্বাসনে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘গাঙ্গিনারপাড় থেকে হকার উচ্ছেদে স্বস্তি মেলায় আমাদেরও ভালো লাগছে। তবে প্রায় আড়াই শ হকারের একটি তালিকা দিয়েছে। তাঁদের অন্যত্র বসানোর বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। অচিরেই সমাধান হবে বিষয়টি। তবে গাঙ্গিনারপাড়ে কোনো হকার বসতে পারবে না, এটা চূড়ান্ত।’
দুই সপ্তাহ ধরে ময়মনসিংহ নগরীতে ফুটপাতে নেই হকার। ফলে চলাচলে স্বস্তি মিলেছে মানুষের। বেড়েছে বেচাকেনা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হকারমুক্ত ফুটপাত যাতে সব সময় থাকে, সেই আহ্বান নগরীর বাসিন্দাদের। তবে উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র এ বি গুহ রোড, যা সবার কাছে গাঙ্গিনারপাড় হিসেবে পরিচিত। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিতে মানুষের চলাচল সবচেয়ে বেশি। নিত্য পণ্য কেনাকাটাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক এবং হোটেল রয়েছে সেখানে। এই গাঙ্গিনারপাড় থেকে তাজমহল মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে রাস্তার দুই পাশে প্রায় আড়াই শ হকার পণ্যের পসরা সাজিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসত।
এসব ঘিরে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট। ফলে ফুটপাত উচ্ছেদ রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তি ও প্রশাসনের কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পুলিশের উদ্যোগে ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনের দাবিও উঠেছে।
দুই সন্তান নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সানকিপাড়ার হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে রাস্তার পাশে হকার বসার কারণে হেঁটে চলাও দায় ছিল। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করার কারণে আমার মতো সবাই স্বস্তিতে চলছে। ফুটপাত উচ্ছেদ অব্যাহত থাকলে মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।’ শনিবার গাঙ্গিনাপাড় ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতহীন রাস্তায় মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিছুটা যানজট থাকলেও হেঁটে চলতে কারও সমস্যা হচ্ছে না। মানুষ স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন।
বড় বোনের বিয়ের শাড়ি কিনতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘ফুটপাত দখলে থাকায় রাস্তা দিয়ে মেয়েদের চলাফেরা করতে বেশি সমস্যা হতো। ছিল ছিনতাই আতঙ্ক। এখন রাস্তার দুপাশ অনেকটা ফাঁকা, চলতে সমস্যা হয় না। গাঙ্গিনারপাড় এমন ফাঁকা হবে কোনো দিন ভাবিনি। এমন সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
সরকার ম্যানসনের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম মোন্তুফা বলেন, ‘ফুটপাত উচ্ছেদে স্বস্তির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। আগের তুলনায় এখন আমাদের বিক্রি বেশি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে হকার শাহ আলম বলেন, ‘মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে আমাদের রুটি রোজগারের কথা চিন্তা করে প্রশাসন মালগুদাম ছাড়া অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গাঙ্গিনাপাড় হকারমুক্ত হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে চলাফেরা করছে। তবে হকারদের কথা বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং জেলা প্রশাসককে বলে তাঁদের জন্য মালগুদাম জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে হকাররা বসতে রাজি নয়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘যোগদানের তিন মাস পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রমে হাত দিই। প্রথমে দুর্গাবাড়ি পরে চরপাড়া এরপর গাঙ্গিনারপাড় ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি মানুষের ভোগান্তি লাঘবে করেছি। হকাররা যাতে বসতে না পারে সে জন্য নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে।’ তাঁদের পুনর্বাসনে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘গাঙ্গিনারপাড় থেকে হকার উচ্ছেদে স্বস্তি মেলায় আমাদেরও ভালো লাগছে। তবে প্রায় আড়াই শ হকারের একটি তালিকা দিয়েছে। তাঁদের অন্যত্র বসানোর বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। অচিরেই সমাধান হবে বিষয়টি। তবে গাঙ্গিনারপাড়ে কোনো হকার বসতে পারবে না, এটা চূড়ান্ত।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে