মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
টানা বর্ষণ এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর মৌলভীবাজারে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। জেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বন্যার কবল থেকে শহর রক্ষায় পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে মৌলভীবাজার। ওই সময় মনু নদের পাড় ভেঙে শহরে ঢোকে পানি, বর্তমান সিলেট-সুনামগঞ্জের মতো ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটছে পার্শ্ববর্তী জেলা মৌলভীবাজারবাসীর।
মঙ্গলবার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় দেখা যায়, শহর রক্ষায় ৫০ শ্রমিক কাজ করছেন। মনু নদের শহর অংশের যে স্থান ঝুঁকিপূর্ণ দেখা যাচ্ছে, সেই সব স্থান চিহ্নিত করে বস্তার ভেতর বালু ঢুকিয়ে সেখানে ফেলা হচ্ছে।
দিনমজুর আনকার আলী বলেন, ‘চার দিন ধরে নদের তীরের বাঁধ মেরামত করছি।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘গত সোমবার মনু নদের পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজানের ঢলে পানি এভাবে বাড়বে-কমবে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।’
মনু নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উদ্বেগে নির্ঘুম রাত কাটছে শহরবাসীর। দুপুরের পর থেকে পানি কমছে—এ তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ পাপ্পু বলেন, ‘পাউবো নিয়োজিত শ্রমিকদের সহযোগিতায় বালুর বস্তাগুলো বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি।’
জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, জেলায় প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করছে। ৬০টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘মৌলভীবাজার শহর এখনো ঝুঁকিমুক্ত। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি এবং পরিদর্শন করছি।’
মেয়র জানান, টানা ভারী বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ মনু নদের বাঁধসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, পাউবোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামানসহ পৌরসভার কাউন্সিলররা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘মৌলভীবাজার শহরে বন্যার কবলে পড়ার শঙ্কা নেই। যদি উজান থেকে বড় ঢল আসে, তখন কিছু করার থাকবে না। কারণ, বিষয়টি প্রাকৃতিক। তবে আমাদের সার্বিক চেষ্টা থাকবে যেকোনো উপায়ে শহর রক্ষা করার।’
টানা বর্ষণ এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর মৌলভীবাজারে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। জেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বন্যার কবল থেকে শহর রক্ষায় পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে মৌলভীবাজার। ওই সময় মনু নদের পাড় ভেঙে শহরে ঢোকে পানি, বর্তমান সিলেট-সুনামগঞ্জের মতো ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটছে পার্শ্ববর্তী জেলা মৌলভীবাজারবাসীর।
মঙ্গলবার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় দেখা যায়, শহর রক্ষায় ৫০ শ্রমিক কাজ করছেন। মনু নদের শহর অংশের যে স্থান ঝুঁকিপূর্ণ দেখা যাচ্ছে, সেই সব স্থান চিহ্নিত করে বস্তার ভেতর বালু ঢুকিয়ে সেখানে ফেলা হচ্ছে।
দিনমজুর আনকার আলী বলেন, ‘চার দিন ধরে নদের তীরের বাঁধ মেরামত করছি।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘গত সোমবার মনু নদের পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজানের ঢলে পানি এভাবে বাড়বে-কমবে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।’
মনু নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উদ্বেগে নির্ঘুম রাত কাটছে শহরবাসীর। দুপুরের পর থেকে পানি কমছে—এ তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ পাপ্পু বলেন, ‘পাউবো নিয়োজিত শ্রমিকদের সহযোগিতায় বালুর বস্তাগুলো বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি।’
জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, জেলায় প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করছে। ৬০টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘মৌলভীবাজার শহর এখনো ঝুঁকিমুক্ত। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি এবং পরিদর্শন করছি।’
মেয়র জানান, টানা ভারী বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ মনু নদের বাঁধসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, পাউবোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামানসহ পৌরসভার কাউন্সিলররা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘মৌলভীবাজার শহরে বন্যার কবলে পড়ার শঙ্কা নেই। যদি উজান থেকে বড় ঢল আসে, তখন কিছু করার থাকবে না। কারণ, বিষয়টি প্রাকৃতিক। তবে আমাদের সার্বিক চেষ্টা থাকবে যেকোনো উপায়ে শহর রক্ষা করার।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে