রানা আব্বাস, ঢাকা
চার মাসেই স্কোরলাইন তাহলে ২:০ হয়ে গেল! মানে? সাকিব আল হাসানকে বিষয়টা খুলেই বলা হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পরিষদের এই মেয়াদে এখন পর্যন্ত দুবার ক্রিকেট থেকে বিরতি বা ছুটি বা বিশ্রাম চেয়েছেন সাকিব। দুবারই তাঁর বিতর্কিত চাওয়া দ্রুত পুরণ হয়েছে। স্কোরলাইনটা তাই সাকিব ২:০ বিসিবি।
কথাটাতে সাকিব যে বেশ মজা পেয়েছেন, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় পরিষ্কার। ব্যক্তিগত কাজে বাঁহাতি অলরাউন্ডার এই মুহূর্তে আছেন আরব আমিরাতে। গত রোববার মরুর দেশে যাওয়ার আগে যে ‘বোমা’ ফাটিয়ে গেছেন, সেটির ভালোই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেল গত কদিনে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে তাঁর ভাবনা শুনে এই কদিনে কড়া প্রতিক্রিয়াই দেখিয়েছেন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজ বাসভবনে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, সেটিতে পরোক্ষভাবে সাকিবকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও ছিল। গত পরশু বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের ব্যাপারে ‘ফুল স্টপ’ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
গত কদিনে বিসিবির কর্মকর্তাদের যে তর্জন-গর্জন দেখা গেল, গতকাল সেটির সমাপ্তি ঠিক বিপরীতভাবে। বিসিবি সাকিবকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিয়েছে। তাঁর চাওয়াটাই পূরণ করছে বোর্ড। ঘটনা যে এদিকেই গড়াবে, বাঁহাতি অলরাউন্ডারের যেন জানাই ছিল।
এবার সাকিবকে বিশ্রাম দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁর মানসিক অবসাদের বিষয়টি বিসিবি সামনে এনেছে। মানসিক অবসাদে বড় বড় তারকা খেলোয়াড়ের বিরতি নেওয়ার উদাহরণ অবশ্য বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নয়। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য হচ্ছে, এই বিরতিতে খেলাটা বাদে বাঁহাতি অলরাউন্ডার হয়তো সবই করবেন। কিন্তু নাওমি ওসাকা-বেন স্টোকসরা বিষাদের সময়ে একেবারেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন বাইরের পৃথিবী থেকে।
আগেও সাকিব যতবার ছুটি বা বিরতি চেয়েছেন, ততবারই পেয়েছেন। সেটির ধারাবাহিকতা রেখে এবারও পাবেন—সেটি বুঝেই বাঁহাতি অলরাউন্ডার এবার দূর থেকেই ‘খেলা’টা দেখেছেন। বিসিবি তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কী পদক্ষেপ নিতে পারে? বাদ দেওয়া কিংবা ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া, এই তো? কিন্তু দুটির কোনোটি নিয়েই যে তিনি বিচলিত নন। সাকিব ভালো করেই জানেন, তিনি যত দিন খেলবেন তাঁর বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলে। সাকিবের এই খেলা-না খেলার ইস্যুতে বোর্ড কিংবা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই বিরক্ত হোক, তাঁর চাওয়াই পূরণ করতে হয় বিসিবিকে। দুদিন আগে এক নির্বাচক বড় অসহায় কণ্ঠে বলছিলেন, ‘তার বিকল্প আমরা তৈরি করতে পারিনি, তা নয়। তৈরি কেউ হয়নি। এ ধরনের খেলোয়াড় তৈরি করা যায় না। তৈরি হয়। বাকিদের সুযোগ তো কম দিই না। তৈরি না হলে কী করার আছে? আমাদের এ ধরনের খেলোয়াড়ই নেই। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শীর্ষে থাকে সিনিয়র ক্রিকেটাররাই। এরা খুব ভালো করে জানে বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’
জাতীয় দলে সাকিবের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন, তাঁর আইপিএল-প্রীতি, না খেলে বেতন নেওয়ার অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ দলে খেলার বাধ্যবাধকতা এমনকি তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ‘হুমকি’—এ কদিনে ঘটা সবকিছু সম্পর্কেই তিনি অবগত। ‘একজন খেলোয়াড় যিনি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী, মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলেন’—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথাও তাঁর অজানা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিব এসব কিছুই গায়ে মাখেন না। অধিকাংশ সময়ে তাই তিনিই থাকেন চালকের আসনে, বিসিবি নয়। এখানে অবশ্য কাঠগড়ায় তুলতে পারেন দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিকে। এই দুর্বল সংস্কৃতিতে সাকিবের মতো ‘ক্যারেক্টার’ প্রতিষ্ঠানের ওপর ছড়ি ঘোরাবে আর ‘স্কোরলাইনে’ ব্যবধান বাড়তে থাকবে, সে আর অস্বাভাবিক কী?
চার মাসেই স্কোরলাইন তাহলে ২:০ হয়ে গেল! মানে? সাকিব আল হাসানকে বিষয়টা খুলেই বলা হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পরিষদের এই মেয়াদে এখন পর্যন্ত দুবার ক্রিকেট থেকে বিরতি বা ছুটি বা বিশ্রাম চেয়েছেন সাকিব। দুবারই তাঁর বিতর্কিত চাওয়া দ্রুত পুরণ হয়েছে। স্কোরলাইনটা তাই সাকিব ২:০ বিসিবি।
কথাটাতে সাকিব যে বেশ মজা পেয়েছেন, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় পরিষ্কার। ব্যক্তিগত কাজে বাঁহাতি অলরাউন্ডার এই মুহূর্তে আছেন আরব আমিরাতে। গত রোববার মরুর দেশে যাওয়ার আগে যে ‘বোমা’ ফাটিয়ে গেছেন, সেটির ভালোই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেল গত কদিনে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে তাঁর ভাবনা শুনে এই কদিনে কড়া প্রতিক্রিয়াই দেখিয়েছেন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজ বাসভবনে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, সেটিতে পরোক্ষভাবে সাকিবকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও ছিল। গত পরশু বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের ব্যাপারে ‘ফুল স্টপ’ দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
গত কদিনে বিসিবির কর্মকর্তাদের যে তর্জন-গর্জন দেখা গেল, গতকাল সেটির সমাপ্তি ঠিক বিপরীতভাবে। বিসিবি সাকিবকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিয়েছে। তাঁর চাওয়াটাই পূরণ করছে বোর্ড। ঘটনা যে এদিকেই গড়াবে, বাঁহাতি অলরাউন্ডারের যেন জানাই ছিল।
এবার সাকিবকে বিশ্রাম দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁর মানসিক অবসাদের বিষয়টি বিসিবি সামনে এনেছে। মানসিক অবসাদে বড় বড় তারকা খেলোয়াড়ের বিরতি নেওয়ার উদাহরণ অবশ্য বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নয়। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য হচ্ছে, এই বিরতিতে খেলাটা বাদে বাঁহাতি অলরাউন্ডার হয়তো সবই করবেন। কিন্তু নাওমি ওসাকা-বেন স্টোকসরা বিষাদের সময়ে একেবারেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন বাইরের পৃথিবী থেকে।
আগেও সাকিব যতবার ছুটি বা বিরতি চেয়েছেন, ততবারই পেয়েছেন। সেটির ধারাবাহিকতা রেখে এবারও পাবেন—সেটি বুঝেই বাঁহাতি অলরাউন্ডার এবার দূর থেকেই ‘খেলা’টা দেখেছেন। বিসিবি তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কী পদক্ষেপ নিতে পারে? বাদ দেওয়া কিংবা ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া, এই তো? কিন্তু দুটির কোনোটি নিয়েই যে তিনি বিচলিত নন। সাকিব ভালো করেই জানেন, তিনি যত দিন খেলবেন তাঁর বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলে। সাকিবের এই খেলা-না খেলার ইস্যুতে বোর্ড কিংবা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই বিরক্ত হোক, তাঁর চাওয়াই পূরণ করতে হয় বিসিবিকে। দুদিন আগে এক নির্বাচক বড় অসহায় কণ্ঠে বলছিলেন, ‘তার বিকল্প আমরা তৈরি করতে পারিনি, তা নয়। তৈরি কেউ হয়নি। এ ধরনের খেলোয়াড় তৈরি করা যায় না। তৈরি হয়। বাকিদের সুযোগ তো কম দিই না। তৈরি না হলে কী করার আছে? আমাদের এ ধরনের খেলোয়াড়ই নেই। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শীর্ষে থাকে সিনিয়র ক্রিকেটাররাই। এরা খুব ভালো করে জানে বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’
জাতীয় দলে সাকিবের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন, তাঁর আইপিএল-প্রীতি, না খেলে বেতন নেওয়ার অভিযোগ, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ দলে খেলার বাধ্যবাধকতা এমনকি তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ‘হুমকি’—এ কদিনে ঘটা সবকিছু সম্পর্কেই তিনি অবগত। ‘একজন খেলোয়াড় যিনি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী, মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলেন’—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথাও তাঁর অজানা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিব এসব কিছুই গায়ে মাখেন না। অধিকাংশ সময়ে তাই তিনিই থাকেন চালকের আসনে, বিসিবি নয়। এখানে অবশ্য কাঠগড়ায় তুলতে পারেন দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিকে। এই দুর্বল সংস্কৃতিতে সাকিবের মতো ‘ক্যারেক্টার’ প্রতিষ্ঠানের ওপর ছড়ি ঘোরাবে আর ‘স্কোরলাইনে’ ব্যবধান বাড়তে থাকবে, সে আর অস্বাভাবিক কী?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে