আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা। গভীর রাত পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে তাঁরা প্রচার চালাচ্ছেন। শব্দযন্ত্রের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ ছাড়া বিভিন্ন বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
গত শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে প্রার্থীদের প্রচারের মাইক উচ্চ স্বরে বাজতে থাকে। কখনো তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। কেউ কেউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সাউন্ড-স্পিকারও ব্যবহার করছেন। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, মসজিদ-মন্দির ও আবাসিক এলাকাসহ সবখানেই প্রার্থীদের পক্ষে সাউন্ড সিস্টেম চলছে। এমনকি যানজটে দাঁড়ানো অবস্থাতেও থামছে না এ শব্দ। এ ছাড়া পোস্টারে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন স্থান। প্রার্থীরা ক্যাম্প তৈরি করছেন ইচ্ছামতো। অনেকে যাত্রীছাউনিও বাদ দেয়নি। দেখে মনে হবে যাত্রীছাউনিও প্রার্থীদের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প। আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে চলছে এসব প্রচারযজ্ঞ।
নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬-তে মাইক্রোফোন ব্যবহারসংক্রান্ত বাধানিষেধে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান একটি ওয়ার্ডে পথসভা বা নির্বাচনী প্রচারের কাজে একের অধিক মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা-বর্ধনকারী যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২টার আগে এবং রাত ৮টার পরে করা যাবে না। এ ছাড়া আচরণবিধি ২০১৬-এর ৮ নম্বরে (৮) কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, ভোটকেন্দ্র ব্যতীত নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাতে বা টাঙাতে পারবেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩টি করে এবং ইউপি সদস্য ১টি করে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান ৬৬, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৫৫৫ জন। প্রত্যেক প্রার্থী কমপক্ষে দুটি করে মাইক ব্যবহার করছেন। ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের সংখ্যার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি শব্দ দূষণকারী মাইক বা যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া পোস্টারে ছেয়ে গেছে মানুষের ঘর দরজাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
কেয়াইন ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাতে ঘুমাতে পারি না। একেকবার একেক প্রার্থীর মাইক বাজে। ছোট মাইকের পাশাপাশি সাউন্ড স্পিকারের মাধ্যমেও গান বাজিয়ে প্রার্থীরা প্রচার করছেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনায়ও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
ইছাপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘প্রার্থীদের পোস্টার ঘরবাড়িতে লাগিয়ে নষ্ট করে ফেলছে। তাঁদের নিষেধ করলেও মানছে না পোস্টারের কারণে ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো পরে আর ওঠে না। এসবের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ‘মনমতো নৌকার প্রার্থী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টা করে ক্যাম্প করেছে। কিন্তু আমরা ৩টা ক্যাম্প করতে পারি না। প্রশাসন আমাদের দিকেই নজর দেয়। কিন্তু তাদের দেখে না। আমি প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, আচরণবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কেউ যদি না মানেন, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুবীর কুমার দাশ বলেন, ‘উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি অনেক প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চলছেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি মেনে প্রতিটা প্রার্থীকে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা। গভীর রাত পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে তাঁরা প্রচার চালাচ্ছেন। শব্দযন্ত্রের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ ছাড়া বিভিন্ন বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
গত শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে প্রার্থীদের প্রচারের মাইক উচ্চ স্বরে বাজতে থাকে। কখনো তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। কেউ কেউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সাউন্ড-স্পিকারও ব্যবহার করছেন। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, মসজিদ-মন্দির ও আবাসিক এলাকাসহ সবখানেই প্রার্থীদের পক্ষে সাউন্ড সিস্টেম চলছে। এমনকি যানজটে দাঁড়ানো অবস্থাতেও থামছে না এ শব্দ। এ ছাড়া পোস্টারে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন স্থান। প্রার্থীরা ক্যাম্প তৈরি করছেন ইচ্ছামতো। অনেকে যাত্রীছাউনিও বাদ দেয়নি। দেখে মনে হবে যাত্রীছাউনিও প্রার্থীদের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প। আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে চলছে এসব প্রচারযজ্ঞ।
নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬-তে মাইক্রোফোন ব্যবহারসংক্রান্ত বাধানিষেধে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান একটি ওয়ার্ডে পথসভা বা নির্বাচনী প্রচারের কাজে একের অধিক মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা-বর্ধনকারী যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২টার আগে এবং রাত ৮টার পরে করা যাবে না। এ ছাড়া আচরণবিধি ২০১৬-এর ৮ নম্বরে (৮) কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, ভোটকেন্দ্র ব্যতীত নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাতে বা টাঙাতে পারবেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩টি করে এবং ইউপি সদস্য ১টি করে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান ৬৬, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৫৫৫ জন। প্রত্যেক প্রার্থী কমপক্ষে দুটি করে মাইক ব্যবহার করছেন। ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের সংখ্যার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি শব্দ দূষণকারী মাইক বা যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া পোস্টারে ছেয়ে গেছে মানুষের ঘর দরজাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
কেয়াইন ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাতে ঘুমাতে পারি না। একেকবার একেক প্রার্থীর মাইক বাজে। ছোট মাইকের পাশাপাশি সাউন্ড স্পিকারের মাধ্যমেও গান বাজিয়ে প্রার্থীরা প্রচার করছেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনায়ও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
ইছাপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘প্রার্থীদের পোস্টার ঘরবাড়িতে লাগিয়ে নষ্ট করে ফেলছে। তাঁদের নিষেধ করলেও মানছে না পোস্টারের কারণে ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো পরে আর ওঠে না। এসবের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ‘মনমতো নৌকার প্রার্থী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টা করে ক্যাম্প করেছে। কিন্তু আমরা ৩টা ক্যাম্প করতে পারি না। প্রশাসন আমাদের দিকেই নজর দেয়। কিন্তু তাদের দেখে না। আমি প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, আচরণবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কেউ যদি না মানেন, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুবীর কুমার দাশ বলেন, ‘উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি অনেক প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চলছেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি মেনে প্রতিটা প্রার্থীকে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে