এম মনসুর আলী, সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের বেমালিয়া নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ ১০টি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেতু না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে অসুবিধা, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থ ও অন্তঃসত্তা নারীদের যথাসময়ে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছেন জরুরি রোগীরা।
দৈনন্দিন কাজকর্মে বেমালিয়া নদী পারাপার হতে হয় উপজেলার জয়ধরকান্দি, করিমপুর, কাশেমপুর, মহিষবেড়, নয়াকান্দি, খদরকান্দি, বাগি, শিমুকান্দি, তেলিকান্দি, মুহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া এসব এলাকার জয়ধরকান্দি আলীম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়ধরকান্দি আইডিয়াল একাডেমি, পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জয়ধরকান্দি প্রতিভা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের সেতু না থাকায় বিদ্যালয়ে যেতে নদী পারাপারের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পারাপারের জন্য নদীতে সেতু না থাকায় বিভিন্ন ঘাটে নদীতে ছোট নৌকা রয়েছে। বইঠা এবং রশি দিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ঘাটে নৌকা না থাকায় অনেকে আবার বসে আছেন নৌকার অপেক্ষায়। এতে দুর্ভোগেভুক্তভোগীরা জানান, জয়ধরকান্দি গ্রামের নদীর উত্তর পাড়ের শিক্ষার্থীদের নদীর দক্ষিণ পাড়ের স্কুলগুলোতে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ওই এলাকার যুগ যুগের সমস্যা এটি। আবার নদীর উত্তরে রয়েছে জয়ধরকান্দির অর্ধেক অংশ, করিমপুর, কাশেমপুর মহিষবেড় ও নয়াকান্দি গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষের অধিকাংশই ফসলি জমি রয়েছে নদীর দক্ষিণ পাশে। ফলে নদী পার হয়ে উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতেও হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোনো বাজার বা হাট না থাকায় তাঁরা উত্তর তীরের হাটবাজারের ওপর নির্ভরশীল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর দক্ষিণ পাশের কেউ কোনো কাজে আসতে হলে তাঁদের নৌকা দিয়ে পার হয়ে আসতে হয়। নদীতে কোনো বাঁশের সাঁকো না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে নৌকা না থাকলে তাঁদের সাঁতরে নদী পার হয়ে আসতে হয়।
আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহজাহান মিয়া, মোছা. রিতু আক্তার এবং দশম শ্রেণির মোছা. তায়্যিবা আক্তার, মোছা. শারমিন নিশাত, মো. মুক্তার হোসেন বলে, ‘নদীতে সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকা পারাপার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় ঘাটে নৌকা না থাকায় আমরা সময়মতো ক্লাস এবং কোচিংয়ে যেতে পারি না। আমরা চাই, সরকার যেন নদীতে একটি সেতু দিয়ে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেয়।’
জয়ধরকান্দি আইডিয়াল একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদির বলেন, ‘পারাপারে শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। আমরা চাই সরকার নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করে দিক।’
জয়ধরকান্দি আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতু না থাকায় দুই পারের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তবে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য খলিলুর রহমান মাদারী জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘এক যুগের ব্যবধানে বেমালিয়া নদীর উত্তর পাড়ে যেহেতু নতুন বাজার ও নতুন নতুন কয়েকটি গ্রাম হয়েছে, তাই বেমালিয়া নদীতে একটা সেতু অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এখন থেকে চেষ্টা চালাব। ইনশা আল্লাহ বেমালিয়া নদীতে সেতু হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের বেমালিয়া নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ ১০টি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। সেতু না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে অসুবিধা, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থ ও অন্তঃসত্তা নারীদের যথাসময়ে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছেন জরুরি রোগীরা।
দৈনন্দিন কাজকর্মে বেমালিয়া নদী পারাপার হতে হয় উপজেলার জয়ধরকান্দি, করিমপুর, কাশেমপুর, মহিষবেড়, নয়াকান্দি, খদরকান্দি, বাগি, শিমুকান্দি, তেলিকান্দি, মুহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া এসব এলাকার জয়ধরকান্দি আলীম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়ধরকান্দি আইডিয়াল একাডেমি, পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জয়ধরকান্দি প্রতিভা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের সেতু না থাকায় বিদ্যালয়ে যেতে নদী পারাপারের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পারাপারের জন্য নদীতে সেতু না থাকায় বিভিন্ন ঘাটে নদীতে ছোট নৌকা রয়েছে। বইঠা এবং রশি দিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ঘাটে নৌকা না থাকায় অনেকে আবার বসে আছেন নৌকার অপেক্ষায়। এতে দুর্ভোগেভুক্তভোগীরা জানান, জয়ধরকান্দি গ্রামের নদীর উত্তর পাড়ের শিক্ষার্থীদের নদীর দক্ষিণ পাড়ের স্কুলগুলোতে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ওই এলাকার যুগ যুগের সমস্যা এটি। আবার নদীর উত্তরে রয়েছে জয়ধরকান্দির অর্ধেক অংশ, করিমপুর, কাশেমপুর মহিষবেড় ও নয়াকান্দি গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষের অধিকাংশই ফসলি জমি রয়েছে নদীর দক্ষিণ পাশে। ফলে নদী পার হয়ে উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতেও হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোনো বাজার বা হাট না থাকায় তাঁরা উত্তর তীরের হাটবাজারের ওপর নির্ভরশীল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর দক্ষিণ পাশের কেউ কোনো কাজে আসতে হলে তাঁদের নৌকা দিয়ে পার হয়ে আসতে হয়। নদীতে কোনো বাঁশের সাঁকো না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে নৌকা না থাকলে তাঁদের সাঁতরে নদী পার হয়ে আসতে হয়।
আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহজাহান মিয়া, মোছা. রিতু আক্তার এবং দশম শ্রেণির মোছা. তায়্যিবা আক্তার, মোছা. শারমিন নিশাত, মো. মুক্তার হোসেন বলে, ‘নদীতে সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকা পারাপার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় ঘাটে নৌকা না থাকায় আমরা সময়মতো ক্লাস এবং কোচিংয়ে যেতে পারি না। আমরা চাই, সরকার যেন নদীতে একটি সেতু দিয়ে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেয়।’
জয়ধরকান্দি আইডিয়াল একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদির বলেন, ‘পারাপারে শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। আমরা চাই সরকার নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করে দিক।’
জয়ধরকান্দি আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতু না থাকায় দুই পারের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তবে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য খলিলুর রহমান মাদারী জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘এক যুগের ব্যবধানে বেমালিয়া নদীর উত্তর পাড়ে যেহেতু নতুন বাজার ও নতুন নতুন কয়েকটি গ্রাম হয়েছে, তাই বেমালিয়া নদীতে একটা সেতু অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এখন থেকে চেষ্টা চালাব। ইনশা আল্লাহ বেমালিয়া নদীতে সেতু হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে