সনি আজাদ, চারঘাট
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন সুবিধা না পাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে চারঘাটের হলিদাগাছী আবাসন-২ প্রকল্প এর বাসিন্দারা। নির্মাণের ১০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি কোনো ঘর। অধিকাংশ ঘরের টিনের চাল ও বেড়ায় ছোট-বড় অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৫টি পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ প্রকল্পের অধীনে হলিদাগাছী আবাসন-২ নির্মিত হয়। সেখানে ২৮টি ব্যারাকে পুনর্বাসিত করা হয় ভূমিহীন ২৮০টি পরিবারকে। তবে নানা সংকটে এরই মধ্যে ৭৫টি পরিবার চলে গেছে অন্যত্র। আবাসনের চারদিক আগাছায় ভরে গেছে। অধিকাংশ ঘরের টিন দিয়ে পানি পড়ে। কয়েকটি ঘরের দরজা-জানালা কিছু নেই। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে বাস করছেন বাসিন্দারা।
এদিকে ওই আবাসন ঘিরে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। সন্ধ্যা হলেই পার্শ্ববর্তী এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদক সেবনের রমরমা আসর বসায়। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মাদকসেবীরা আবাসন ঘরের দরজা-জানালা চুরি করে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
হলিদাগাছী আবাসনে শুরু থেকেই বসবাস করেন বাবর আলী। তিনি বলেন, ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরে থাকা যায় না। চালের টিনে মরিচা ধরেছে। বিভিন্ন জায়গায় টিনের মধ্যে ছোট-বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ঘরের বেড়ার নিচের অংশের টিন ভেঙে গেছে। আবাসনের অনেকগুলো নলকূপ অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
দিলরুবা বেগম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, তাঁদের খবর কেউ রাখে না। বহিরাগত ছেলেরা এসে মাদক সেবন করছে। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে, নিষেধ করলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রথমে যে ঘরে থাকতেন, তা আগুনে পুড়ে গেছে। বর্তমানে অন্যের ঘরে বাস করছেন তিনি।
আবাসনে বসবাসকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে ঘর করে গেছে, আর কেউ এসে দেখেনি। বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় ৭০-৭৫টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। তাঁদের পরিবারের জমিজমা না থাকায় পড়ে আছেন এখানে। বছরে দুই ঈদে সরকারিভাবে কিছু চাল দেওয়া হয়। তা ছাড়া কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘আবাসনের ঘরগুলো প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তৈরি হয়নি। এ জন্য সেখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমস্যাগুলো দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, ‘সরকারি ঘর যে ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়, তিনিই সেই ঘরের মালিক। আমরা শুধু নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করব। ঘরের মালিককে ঘর মেরামত করার নিয়ম রয়েছে। তারপরও যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর খোঁজখবর নিয়ে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে তালিকা পাঠাব।’
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন সুবিধা না পাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে চারঘাটের হলিদাগাছী আবাসন-২ প্রকল্প এর বাসিন্দারা। নির্মাণের ১০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি কোনো ঘর। অধিকাংশ ঘরের টিনের চাল ও বেড়ায় ছোট-বড় অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৫টি পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ প্রকল্পের অধীনে হলিদাগাছী আবাসন-২ নির্মিত হয়। সেখানে ২৮টি ব্যারাকে পুনর্বাসিত করা হয় ভূমিহীন ২৮০টি পরিবারকে। তবে নানা সংকটে এরই মধ্যে ৭৫টি পরিবার চলে গেছে অন্যত্র। আবাসনের চারদিক আগাছায় ভরে গেছে। অধিকাংশ ঘরের টিন দিয়ে পানি পড়ে। কয়েকটি ঘরের দরজা-জানালা কিছু নেই। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে বাস করছেন বাসিন্দারা।
এদিকে ওই আবাসন ঘিরে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। সন্ধ্যা হলেই পার্শ্ববর্তী এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদক সেবনের রমরমা আসর বসায়। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মাদকসেবীরা আবাসন ঘরের দরজা-জানালা চুরি করে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
হলিদাগাছী আবাসনে শুরু থেকেই বসবাস করেন বাবর আলী। তিনি বলেন, ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে ঘরে থাকা যায় না। চালের টিনে মরিচা ধরেছে। বিভিন্ন জায়গায় টিনের মধ্যে ছোট-বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ঘরের বেড়ার নিচের অংশের টিন ভেঙে গেছে। আবাসনের অনেকগুলো নলকূপ অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
দিলরুবা বেগম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, তাঁদের খবর কেউ রাখে না। বহিরাগত ছেলেরা এসে মাদক সেবন করছে। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে, নিষেধ করলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রথমে যে ঘরে থাকতেন, তা আগুনে পুড়ে গেছে। বর্তমানে অন্যের ঘরে বাস করছেন তিনি।
আবাসনে বসবাসকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে ঘর করে গেছে, আর কেউ এসে দেখেনি। বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় ৭০-৭৫টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। তাঁদের পরিবারের জমিজমা না থাকায় পড়ে আছেন এখানে। বছরে দুই ঈদে সরকারিভাবে কিছু চাল দেওয়া হয়। তা ছাড়া কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘আবাসনের ঘরগুলো প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তৈরি হয়নি। এ জন্য সেখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমস্যাগুলো দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, ‘সরকারি ঘর যে ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়, তিনিই সেই ঘরের মালিক। আমরা শুধু নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করব। ঘরের মালিককে ঘর মেরামত করার নিয়ম রয়েছে। তারপরও যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর খোঁজখবর নিয়ে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে তালিকা পাঠাব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে