সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
পাহাড়ের পানির সংকট নিরসনে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কোনো যন্ত্রচালিত প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছড়ায় বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় জেলার অতি দুর্গম গ্রামে এমন প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পানির সংকট নিরসন হয়েছে। এতে উপকার হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের দুর্গম শালুয়া কার্বারি পাড়া। উপজেলার ধনপাতা থেকে এই পাড়ায় যেতে হয় হেঁটে। উঁচু পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এই পাড়ায় সুদীর্ঘ সময় পানির সংকট ছিল। পাথুরে মাটি হওয়ার কারণে পানির স্তর পাওয়া যায় না। এই পাড়ার মতো পাহাড়ি অন্য গ্রামগুলোতেও সারা বছরই পানির সংকট দেখা যায়। সাধারণত ২-৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করেন গ্রামবাসী।
তাই পানির সংকট নিরসনে শালুয়া কার্বারি পাড়ায় উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। লোকাল গভর্নমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় শুরু হয় পাড়ার পাশের ঝিরিতে বাঁধ নির্মাণ। অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামে গ্রামে।
কেবল মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের যুগ যুগ ধরে চলা পানির সংকট দূর হয়েছে। উঁচু পাহাড়ের পাড়াগুলোতে ঘরের দোরগোড়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা দয়াসোনা চাকমা ও চলঞ্চা চাকমা বলেন, আগে গ্রামে পানির কষ্ট ছিল। ঘরে রান্না, পোশাক ধোয়া কিংবার গোসলের পানিও ঠিকমতো পাওয়া যেত না। এখন ঝিরিতে বাঁধ দেওয়ার পর গ্রামের মধ্যে পানি পৌঁছে যাচ্ছে। পাইপের মাধ্যমে সারা দিনই এখানে পানি আসে। যখন ইচ্ছে, তখন পানি সংগ্রহ করা যায়।
শালুয়া কার্বারি পাড়ার আরেক বাসিন্দা অমিতা চাকমা ও মিলন চাকমা বলেন, গ্রাম থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে উঁচু ঝিরিতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধ থেকে পাইপের মাধ্যমে সরাসরি গ্রামে পানি সরবরাহ হচ্ছে। আগে শীত ও গ্রীষ্মকালে পানির কষ্ট বেশি থাকত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এই গ্রামে পানির আর কোনো কষ্ট নেই। সরাসরি পাইপের মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামের মানুষ পানি পাচ্ছেন।
বাবুছড়া ইউপির সচিব বেগিন চাকমা বলেন, ‘গ্রামের লোকেরা পানির সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। এখানে পানির কোনো উৎস ছিল না। আমরা আলোচনা করে ঝিরিত বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শালুয়া কার্বারি পাড়ায় পাহাড়ি ছড়ায় পাকা বাঁধ দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা। গ্রামের ওপরে বাঁধ হওয়ায় খুব সহজেই পানি অপেক্ষাকৃত নিচের গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য অরুণ বিকাশ চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঝিরিতে যাতে সারা বছরই পানি সংরক্ষণ করা যায়, সে জন্য প্রাকৃতিক বন ও ঝিরির পাথর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলেই বাণিজ্যিকভাবে ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন করতে পারবেন না। প্রাকৃতিক বন টিকলে, ঝরনায় সারা বছর পানি থাকবে।
এলজিএসপি খাগড়াছড়ির ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর অরুণদর্শী চাকমা জানান, পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। পাহাড়ের লোকজন চিরায়ত জীবন যাপনের অংশ হিসেবে ঝরনা থেকে পানি সংগ্রহ করত। কিন্তু পাড়া থেকে ঝরনা অনেক দূর হওয়ায় পানি সংগ্রহ কষ্টকর ছিল। তাই বাঁধ দিয়ে পাইপে মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন সারা বছর পানির সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ বা সৌরবিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্প আরও বাড়ানো হবে। দুর্গম এলাকায় পানির সংকট দূর। ইতিমধ্যে বাবুছড়া ইউপির তিনটি গ্রামে এমন বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
পাহাড়ের পানির সংকট নিরসনে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কোনো যন্ত্রচালিত প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছড়ায় বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় জেলার অতি দুর্গম গ্রামে এমন প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পানির সংকট নিরসন হয়েছে। এতে উপকার হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের দুর্গম শালুয়া কার্বারি পাড়া। উপজেলার ধনপাতা থেকে এই পাড়ায় যেতে হয় হেঁটে। উঁচু পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এই পাড়ায় সুদীর্ঘ সময় পানির সংকট ছিল। পাথুরে মাটি হওয়ার কারণে পানির স্তর পাওয়া যায় না। এই পাড়ার মতো পাহাড়ি অন্য গ্রামগুলোতেও সারা বছরই পানির সংকট দেখা যায়। সাধারণত ২-৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করেন গ্রামবাসী।
তাই পানির সংকট নিরসনে শালুয়া কার্বারি পাড়ায় উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। লোকাল গভর্নমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় শুরু হয় পাড়ার পাশের ঝিরিতে বাঁধ নির্মাণ। অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ঝিরিতে বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গ্রামে গ্রামে।
কেবল মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের যুগ যুগ ধরে চলা পানির সংকট দূর হয়েছে। উঁচু পাহাড়ের পাড়াগুলোতে ঘরের দোরগোড়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা দয়াসোনা চাকমা ও চলঞ্চা চাকমা বলেন, আগে গ্রামে পানির কষ্ট ছিল। ঘরে রান্না, পোশাক ধোয়া কিংবার গোসলের পানিও ঠিকমতো পাওয়া যেত না। এখন ঝিরিতে বাঁধ দেওয়ার পর গ্রামের মধ্যে পানি পৌঁছে যাচ্ছে। পাইপের মাধ্যমে সারা দিনই এখানে পানি আসে। যখন ইচ্ছে, তখন পানি সংগ্রহ করা যায়।
শালুয়া কার্বারি পাড়ার আরেক বাসিন্দা অমিতা চাকমা ও মিলন চাকমা বলেন, গ্রাম থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে উঁচু ঝিরিতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধ থেকে পাইপের মাধ্যমে সরাসরি গ্রামে পানি সরবরাহ হচ্ছে। আগে শীত ও গ্রীষ্মকালে পানির কষ্ট বেশি থাকত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর এই গ্রামে পানির আর কোনো কষ্ট নেই। সরাসরি পাইপের মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামের মানুষ পানি পাচ্ছেন।
বাবুছড়া ইউপির সচিব বেগিন চাকমা বলেন, ‘গ্রামের লোকেরা পানির সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। এখানে পানির কোনো উৎস ছিল না। আমরা আলোচনা করে ঝিরিত বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শালুয়া কার্বারি পাড়ায় পাহাড়ি ছড়ায় পাকা বাঁধ দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা। গ্রামের ওপরে বাঁধ হওয়ায় খুব সহজেই পানি অপেক্ষাকৃত নিচের গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য অরুণ বিকাশ চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঝিরিতে যাতে সারা বছরই পানি সংরক্ষণ করা যায়, সে জন্য প্রাকৃতিক বন ও ঝিরির পাথর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলেই বাণিজ্যিকভাবে ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন করতে পারবেন না। প্রাকৃতিক বন টিকলে, ঝরনায় সারা বছর পানি থাকবে।
এলজিএসপি খাগড়াছড়ির ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর অরুণদর্শী চাকমা জানান, পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। পাহাড়ের লোকজন চিরায়ত জীবন যাপনের অংশ হিসেবে ঝরনা থেকে পানি সংগ্রহ করত। কিন্তু পাড়া থেকে ঝরনা অনেক দূর হওয়ায় পানি সংগ্রহ কষ্টকর ছিল। তাই বাঁধ দিয়ে পাইপে মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন সারা বছর পানির সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ বা সৌরবিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্প আরও বাড়ানো হবে। দুর্গম এলাকায় পানির সংকট দূর। ইতিমধ্যে বাবুছড়া ইউপির তিনটি গ্রামে এমন বাঁধ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৬ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে