সম্পাদকীয়
মন্ত্রিসভায় ডা. সামন্ত লাল সেনের অন্তর্ভুক্তি অনেকের মনেই আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতটি নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং একই সঙ্গে অবহেলিত রয়ে গেছে। ধনী মানুষেরা চাইলেই পাঁচতারকা হাসপাতালগুলোতে যেতে পারেন। কিন্তু গরিব মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোই মূলত সেবা দান করে যাচ্ছে। এ কথা বললে ভুল হবে না, সরকারি হাসপাতালে মেধাবী, পরিশ্রমী চিকিৎসকেরা আছেন, কিন্তু সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ তাঁদের নেই। কেন নেই, তা এক বিশাল প্রশ্ন বটে।
ডা. সামন্ত লাল সেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গেই নিজের জীবন জড়িয়েছেন। তাতে আত্মনিয়োগ করে আগুনে পোড়া মানুষদের চিকিৎসা দিচ্ছেন নিবিষ্ট মনে। একজন সজ্জন ও দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে নাম করেছেন। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের লোক, তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের অলিগলিতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা নতুন করে বুঝে নিতে হবে না তাঁর। মন্ত্রী হওয়ার পরপরই তিনি বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না।
সামন্ত লাল সেনের কর্মজীবন সম্পর্কে যাঁদের ধারণা আছে, তাঁরা জানেন তিনি ফাঁকা বুলি আওড়ানোর মানুষ নন। তাই তাঁর কথার ওপর ভরসা রাখতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সবকিছু তো মন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা সহজ কাজ নয়। আমরা তো দেখেছি, অপ্রয়োজনীয় কত জায়গাতেই না চিকিৎসা খাতের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে। যে মেশিনের প্রয়োজন নেই, কোটি টাকা খরচ করে সে রকম মেশিন কিনে বছরের পর বছর ফেলে রাখার নজির রয়েছে। যে দামে কোনো চিকিৎসাযন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়, তার দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে তা কেনার খবর বেরিয়েছে পত্রিকায়; অর্থাৎ চিকিৎসা খাতের টাকা নানাভাবে লুট হয়েছে, এ বিষয়ে আগ্রহী সবাই তা জানেন।
মানুষকে বাঁচানো, শারীরিকভাবে বিপন্ন মানুষের সেবা করে তাকে সারিয়ে তোলার কাজটি স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নিরীহ জনগণের জন্য বরাদ্দ টাকা প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা যে দুর্নীতিবাজেরা লুটেপুটে খায়, তাদের চিহ্নিত করা খুব প্রয়োজন। ভয় হয়, প্রশাসনের সর্বত্রই এ ধরনের লোক রয়েছে এবং তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রে থাকা দুর্নীতিবাজেরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা মানুষকেও অগ্রাহ্য করার সাহস দেখাতে পারে। এ কথা মনে রেখেই আমরা বলছি, ডা. সামন্ত লাল সেনকে যদি নির্বিঘ্নে তাঁর কাজ করতে দেওয়া হয় এবং এ খাতের দুর্নীতি রোধে তাঁকে যদি সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে চিকিৎসা খাতটি আলোর মুখ দেখতে পারে। এ কথা কে না জানে, চিকিৎসা খাতটিতে সেবাকে অগ্রাহ্য করে বাণিজ্যকে আপন করে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তাই দিব্যি চলতে পারছে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ক্লিনিক, যেখানে সেবার চেয়ে প্রতারণাই মুখ্য হয়ে ওঠে।
স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার অর্থই হবে সত্যিকারের উন্নয়নের বার্তা, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্ত্রিসভায় ডা. সামন্ত লাল সেনের অন্তর্ভুক্তি অনেকের মনেই আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতটি নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং একই সঙ্গে অবহেলিত রয়ে গেছে। ধনী মানুষেরা চাইলেই পাঁচতারকা হাসপাতালগুলোতে যেতে পারেন। কিন্তু গরিব মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোই মূলত সেবা দান করে যাচ্ছে। এ কথা বললে ভুল হবে না, সরকারি হাসপাতালে মেধাবী, পরিশ্রমী চিকিৎসকেরা আছেন, কিন্তু সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ তাঁদের নেই। কেন নেই, তা এক বিশাল প্রশ্ন বটে।
ডা. সামন্ত লাল সেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গেই নিজের জীবন জড়িয়েছেন। তাতে আত্মনিয়োগ করে আগুনে পোড়া মানুষদের চিকিৎসা দিচ্ছেন নিবিষ্ট মনে। একজন সজ্জন ও দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে নাম করেছেন। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের লোক, তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের অলিগলিতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা নতুন করে বুঝে নিতে হবে না তাঁর। মন্ত্রী হওয়ার পরপরই তিনি বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না।
সামন্ত লাল সেনের কর্মজীবন সম্পর্কে যাঁদের ধারণা আছে, তাঁরা জানেন তিনি ফাঁকা বুলি আওড়ানোর মানুষ নন। তাই তাঁর কথার ওপর ভরসা রাখতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সবকিছু তো মন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা সহজ কাজ নয়। আমরা তো দেখেছি, অপ্রয়োজনীয় কত জায়গাতেই না চিকিৎসা খাতের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে। যে মেশিনের প্রয়োজন নেই, কোটি টাকা খরচ করে সে রকম মেশিন কিনে বছরের পর বছর ফেলে রাখার নজির রয়েছে। যে দামে কোনো চিকিৎসাযন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়, তার দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে তা কেনার খবর বেরিয়েছে পত্রিকায়; অর্থাৎ চিকিৎসা খাতের টাকা নানাভাবে লুট হয়েছে, এ বিষয়ে আগ্রহী সবাই তা জানেন।
মানুষকে বাঁচানো, শারীরিকভাবে বিপন্ন মানুষের সেবা করে তাকে সারিয়ে তোলার কাজটি স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নিরীহ জনগণের জন্য বরাদ্দ টাকা প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা যে দুর্নীতিবাজেরা লুটেপুটে খায়, তাদের চিহ্নিত করা খুব প্রয়োজন। ভয় হয়, প্রশাসনের সর্বত্রই এ ধরনের লোক রয়েছে এবং তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রে থাকা দুর্নীতিবাজেরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা মানুষকেও অগ্রাহ্য করার সাহস দেখাতে পারে। এ কথা মনে রেখেই আমরা বলছি, ডা. সামন্ত লাল সেনকে যদি নির্বিঘ্নে তাঁর কাজ করতে দেওয়া হয় এবং এ খাতের দুর্নীতি রোধে তাঁকে যদি সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে চিকিৎসা খাতটি আলোর মুখ দেখতে পারে। এ কথা কে না জানে, চিকিৎসা খাতটিতে সেবাকে অগ্রাহ্য করে বাণিজ্যকে আপন করে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তাই দিব্যি চলতে পারছে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ক্লিনিক, যেখানে সেবার চেয়ে প্রতারণাই মুখ্য হয়ে ওঠে।
স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার অর্থই হবে সত্যিকারের উন্নয়নের বার্তা, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে