মাইনউদ্দিন শাহেদ ও ইমরান হোসাইন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
চার একরের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। ২০০৪ সালে নির্মিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনে ইনডোর গেমস ভলিবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টনসহ নানা খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল। সঙ্গে ছিল শরীরচর্চার নানা যন্ত্রপাতি।
সেই খেলার মাঠ এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২০-৩০টি বড় ট্রাক। বিস্তীর্ণ মাঠের দক্ষিণ পাশে স্থাপন করা হয়েছে রেডি মিক্সড কংক্রিটের দুটি প্ল্যান্ট। উত্তর পাশে রাখা হয়েছে কয়েক শ টন লোহা। পশ্চিম পাশে রাখা হয়েছে ইট-সুরকি এবং পূর্ব পাশে মালপত্র পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাকের গ্যারেজ। মাঠজুড়ে নির্মাণসামগ্রীর ছড়াছড়ি। ফুটবল গ্রাউন্ডের দুটি গোলবার উপড়ে করা হয়েছে ইট-বালুর পাহাড়। বড় ক্রেনে স্থানান্তর করা হচ্ছে ইট-পাথর ও বালু।
অভিযোগ রয়েছে, গত দেড় বছরে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের চেহারা পাল্টে দিয়েছে মেসার্স মো. জামিল ইকবাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট হিসেবে মাঠটি তারা ব্যবহার করছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবালের প্রজেক্ট ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের অনুমতি নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভবন ও মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ শেষে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শ্রমিক বসবাসের শেড। একই দৃশ্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনের ভেতরে। ইনডোর বাস্কেটবল কোর্টের রিম গুটিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বসবাস করছেন শ্রমিকেরা। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম ব্যবহার হচ্ছে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কার্যালয় হিসেবে। কৌতূহলী শ্রমিকেরা ব্যবহার করছেন জিমনেশিয়ামের নানা উপকরণ!
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা সংযোগ সড়ক (বরইতলী-মগনামা) সংস্কারকাজের উপকরণ মজুত ও প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে। এতে পেকুয়ার খেলোয়াড়রা তাঁদের অনুশীলন ও শরীরচর্চার একমাত্র ভেন্যুটি হারিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সবাই নির্বিকার। ইতিমধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা ফুটবল একাডেমির সভাপতি আহমদ শফি বলেন, পেকুয়ার খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও শরীরচর্চার জন্য উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স খুবই উপযোগী একটা স্থান। সেখানে সরকারিভাবে সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে তা বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে খেলোয়াড়দের অনুশীলন বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব খেলোয়াড় নিয়মিত খেলাধুলার মধ্যে ছিল তাদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় বাধা।
পেকুয়া ক্রিকেট একাডেমির সদস্য মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ দখল হওয়ার কারণে খেলায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে পেকুয়া কলেজের মাঠে পিচ বানিয়ে অনুশীলন চালু রেখেছি। আমরা চাইব, ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ থেকে সড়ক সংস্কারের মালামাল যেন শিগগির অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।’
খেলার মাঠ দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘আমি যোগদানের আগে থেকেই ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভবন ও মাঠটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। তবে এর অনুমতি আমি তাদের দিইনি। আমার আগের কর্মকর্তা দিয়েছিলেন কি না, তাও জানি না। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘পেকুয়া উপজেলার ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি পরিদর্শন করেছি। মাঠ ও ভবন থেকে নির্মাণ উপকরণ সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি তা সরানো না হয়, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চার একরের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। ২০০৪ সালে নির্মিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনে ইনডোর গেমস ভলিবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টনসহ নানা খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল। সঙ্গে ছিল শরীরচর্চার নানা যন্ত্রপাতি।
সেই খেলার মাঠ এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২০-৩০টি বড় ট্রাক। বিস্তীর্ণ মাঠের দক্ষিণ পাশে স্থাপন করা হয়েছে রেডি মিক্সড কংক্রিটের দুটি প্ল্যান্ট। উত্তর পাশে রাখা হয়েছে কয়েক শ টন লোহা। পশ্চিম পাশে রাখা হয়েছে ইট-সুরকি এবং পূর্ব পাশে মালপত্র পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাকের গ্যারেজ। মাঠজুড়ে নির্মাণসামগ্রীর ছড়াছড়ি। ফুটবল গ্রাউন্ডের দুটি গোলবার উপড়ে করা হয়েছে ইট-বালুর পাহাড়। বড় ক্রেনে স্থানান্তর করা হচ্ছে ইট-পাথর ও বালু।
অভিযোগ রয়েছে, গত দেড় বছরে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের চেহারা পাল্টে দিয়েছে মেসার্স মো. জামিল ইকবাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট হিসেবে মাঠটি তারা ব্যবহার করছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবালের প্রজেক্ট ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের অনুমতি নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভবন ও মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ শেষে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শ্রমিক বসবাসের শেড। একই দৃশ্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবনের ভেতরে। ইনডোর বাস্কেটবল কোর্টের রিম গুটিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বসবাস করছেন শ্রমিকেরা। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম ব্যবহার হচ্ছে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কার্যালয় হিসেবে। কৌতূহলী শ্রমিকেরা ব্যবহার করছেন জিমনেশিয়ামের নানা উপকরণ!
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা সংযোগ সড়ক (বরইতলী-মগনামা) সংস্কারকাজের উপকরণ মজুত ও প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে। এতে পেকুয়ার খেলোয়াড়রা তাঁদের অনুশীলন ও শরীরচর্চার একমাত্র ভেন্যুটি হারিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সবাই নির্বিকার। ইতিমধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা ফুটবল একাডেমির সভাপতি আহমদ শফি বলেন, পেকুয়ার খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও শরীরচর্চার জন্য উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স খুবই উপযোগী একটা স্থান। সেখানে সরকারিভাবে সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে তা বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে খেলোয়াড়দের অনুশীলন বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব খেলোয়াড় নিয়মিত খেলাধুলার মধ্যে ছিল তাদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় বাধা।
পেকুয়া ক্রিকেট একাডেমির সদস্য মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ দখল হওয়ার কারণে খেলায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে পেকুয়া কলেজের মাঠে পিচ বানিয়ে অনুশীলন চালু রেখেছি। আমরা চাইব, ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠ থেকে সড়ক সংস্কারের মালামাল যেন শিগগির অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।’
খেলার মাঠ দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘আমি যোগদানের আগে থেকেই ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভবন ও মাঠটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। তবে এর অনুমতি আমি তাদের দিইনি। আমার আগের কর্মকর্তা দিয়েছিলেন কি না, তাও জানি না। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘পেকুয়া উপজেলার ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি পরিদর্শন করেছি। মাঠ ও ভবন থেকে নির্মাণ উপকরণ সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি তা সরানো না হয়, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে