ফেনী প্রতিনিধি
চতুর্থ ধাপে ফেনীর সোনাগাজীর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের সতর্কতা এবং অভিযান চালানোর পরও নির্বাচনী আচরণবিধি মানার বালাই নেই এসব প্রার্থীদের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, যত্রতত্র প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটানো, রাতদিন উচ্চ আওয়াজে মাইকিং চালানো-এসব নিয়ে প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা কম থাকায় আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা।
তবে প্রশাসনের দাবি আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত রোববার ও সোমবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই দিনে ১৮ প্রার্থীকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার নয় ইউপির নির্বাচন আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে ইতিমধ্যে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ও মতিগঞ্জ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি সাতটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে (নারী) ৯৩ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২১ জন প্রার্থিতা করছেন। ফলে সাত ইউপিতে প্রার্থী রয়েছেন ৫৪২ জন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন ঘিরে চলছে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণা। তবে প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধিকে থোড়াই কেয়ার করছেন। এমন ঘটনায় প্রার্থীদের জরিমানা করা হলেও তা যেন গায়ে মাখছেন না তাঁদের কেউ।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রচারণা পোস্টার কেবল দড়িতে টানানো যাবে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের স্থাপনা ও বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যত্রতত্র নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এমনকি জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করেও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীদের কেউ কেউ।
দেয়ালে ও দোকানপাটে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘শুধু আমিই আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। অন্য প্রার্থীরাও দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, কর্মী সমর্থকদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ভুল করে কিছু পোস্টার লাগিয়েছেন।
গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার করার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মমিন খান বলেন, ‘অন্যদের কাছ থেকে দেখে আমি ভুল করে দুটি সিএনজিতে চারটি মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আমাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু অন্য প্রার্থীরাও তো আচরণবিধি মানছেন না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিখন বণিক বলেন, ‘গত সোমবার আচরণবিধি প্রতিপালনে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ১০ প্রার্থীকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগের রোববার উপজেলার মতিগঞ্জ, চরদরবেশ, সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের আচরণবিধি ভঙ্গ করে আলোকসজ্জা, অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার, দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার সাঁটানোয় তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ৮ প্রার্থীকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
তিনি জানান, নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় তিনি প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাসহ অনেক প্রার্থীকে সতর্ক করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রার্থীদের ফোনে ও সরাসরি না পাওয়ায় জরিমানা করা যাচ্ছে না। কয়েক দফা সতর্ক করার পরও প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রশাসন আইনের ব্যাপারে আরও কঠোর হবে।’
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাইনুল হোসেন বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরো উপজেলা ঘুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্য প্রার্থী বিভিন্ন ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।’
চতুর্থ ধাপে ফেনীর সোনাগাজীর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের সতর্কতা এবং অভিযান চালানোর পরও নির্বাচনী আচরণবিধি মানার বালাই নেই এসব প্রার্থীদের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, যত্রতত্র প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটানো, রাতদিন উচ্চ আওয়াজে মাইকিং চালানো-এসব নিয়ে প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা কম থাকায় আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা।
তবে প্রশাসনের দাবি আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত রোববার ও সোমবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই দিনে ১৮ প্রার্থীকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার নয় ইউপির নির্বাচন আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে ইতিমধ্যে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ও মতিগঞ্জ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি সাতটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে (নারী) ৯৩ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২১ জন প্রার্থিতা করছেন। ফলে সাত ইউপিতে প্রার্থী রয়েছেন ৫৪২ জন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন ঘিরে চলছে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণা। তবে প্রার্থীরা প্রচারণায় আচরণবিধিকে থোড়াই কেয়ার করছেন। এমন ঘটনায় প্রার্থীদের জরিমানা করা হলেও তা যেন গায়ে মাখছেন না তাঁদের কেউ।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রচারণা পোস্টার কেবল দড়িতে টানানো যাবে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের স্থাপনা ও বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যত্রতত্র নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এমনকি জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করেও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীদের কেউ কেউ।
দেয়ালে ও দোকানপাটে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘শুধু আমিই আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। অন্য প্রার্থীরাও দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, কর্মী সমর্থকদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ভুল করে কিছু পোস্টার লাগিয়েছেন।
গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার করার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মমিন খান বলেন, ‘অন্যদের কাছ থেকে দেখে আমি ভুল করে দুটি সিএনজিতে চারটি মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আমাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু অন্য প্রার্থীরাও তো আচরণবিধি মানছেন না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিখন বণিক বলেন, ‘গত সোমবার আচরণবিধি প্রতিপালনে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ১০ প্রার্থীকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগের রোববার উপজেলার মতিগঞ্জ, চরদরবেশ, সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের আচরণবিধি ভঙ্গ করে আলোকসজ্জা, অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার, দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার সাঁটানোয় তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ৮ প্রার্থীকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
তিনি জানান, নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় তিনি প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাসহ অনেক প্রার্থীকে সতর্ক করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রার্থীদের ফোনে ও সরাসরি না পাওয়ায় জরিমানা করা যাচ্ছে না। কয়েক দফা সতর্ক করার পরও প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রশাসন আইনের ব্যাপারে আরও কঠোর হবে।’
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাইনুল হোসেন বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরো উপজেলা ঘুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্য প্রার্থী বিভিন্ন ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে