রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বসতবাড়িতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ব্যবহারকারীদের অর্থদণ্ডসহ জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তবু থামছে না অবৈধ গ্যাস-সংযোগের ব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এর সঙ্গে জড়িত গ্যাস-সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তাও।
জানা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকার আশপাশে বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ। মো. জালাল উদ্দীন, হেলাল উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, নূরু মিয়া, কাওসার আহমেদ ও রফিক মিয়ার মালিকানাধীনসহ একাধিক বাড়িতে বিরতিহীনভাবে চলছে গ্যাসের চুলা। বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলেও রহস্যজনক কারণে সংযোগ থেকেই যাচ্ছে।
মো. রফিক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে পোশাকশ্রমিক লাভলী আক্তার গ্যাসের চুলায় রান্না করছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে জানান, এসব বিষয়ে বাড়ির মালিক জানেন। দুদিন পরপর গ্যাসের লোকজন আসেন, আবার দেখে কথা বলে চলে যান।
অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী এক বাড়ির মালিক নূরু মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে চালাই, আবার অভিযান এলে সংযোগ থাকে না। সবাইকে কম-বেশি দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করি।’
জানা যায়, কয়েক মাস আগে পৌর শহরের আনসার রোড-সংলগ্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের করেছে আর্থিক জরিমানা। এর কয়েক মাস পর স্থানীয় দালাল চক্র আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সংযোগ চালু করে দেয়।
এসব সংযোগে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে সঞ্চালন লাইন। শিল্পকারখানার সঞ্চালন লাইন ফুটো করে এসব সংযোগে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঝুঁকিও রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ গ্যাস-সংযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে আশপাশের দুই গ্রামের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। আতঙ্কিত হয়ে আনসার রোড এলাকার গ্যাস ব্যবহারকারীরা নিজেরাই অনেক সময় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র ওই এলাকায় শত শত অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন মেঘনা গার্মেন্টসের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গ্যাসলাইন রাতে ছিদ্র করে অবৈধ সংযোগ বাসাবাড়িতে দিয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। এ কারণে কারখানায় গ্যাসের খুবই সমস্যা হচ্ছে।’
গাজীপুর তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ লতিফ বলেন, অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অচিরেই আনসার রোড এলাকার আশপাশে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবৈধ গ্যাস-সংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকলে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বসতবাড়িতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ব্যবহারকারীদের অর্থদণ্ডসহ জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তবু থামছে না অবৈধ গ্যাস-সংযোগের ব্যবহার। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ দিয়ে একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এর সঙ্গে জড়িত গ্যাস-সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তাও।
জানা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকার আশপাশে বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ। মো. জালাল উদ্দীন, হেলাল উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, নূরু মিয়া, কাওসার আহমেদ ও রফিক মিয়ার মালিকানাধীনসহ একাধিক বাড়িতে বিরতিহীনভাবে চলছে গ্যাসের চুলা। বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলেও রহস্যজনক কারণে সংযোগ থেকেই যাচ্ছে।
মো. রফিক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে পোশাকশ্রমিক লাভলী আক্তার গ্যাসের চুলায় রান্না করছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে জানান, এসব বিষয়ে বাড়ির মালিক জানেন। দুদিন পরপর গ্যাসের লোকজন আসেন, আবার দেখে কথা বলে চলে যান।
অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী এক বাড়ির মালিক নূরু মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে চালাই, আবার অভিযান এলে সংযোগ থাকে না। সবাইকে কম-বেশি দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করি।’
জানা যায়, কয়েক মাস আগে পৌর শহরের আনসার রোড-সংলগ্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের করেছে আর্থিক জরিমানা। এর কয়েক মাস পর স্থানীয় দালাল চক্র আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সংযোগ চালু করে দেয়।
এসব সংযোগে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে সঞ্চালন লাইন। শিল্পকারখানার সঞ্চালন লাইন ফুটো করে এসব সংযোগে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঝুঁকিও রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ গ্যাস-সংযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে আশপাশের দুই গ্রামের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। আতঙ্কিত হয়ে আনসার রোড এলাকার গ্যাস ব্যবহারকারীরা নিজেরাই অনেক সময় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র ওই এলাকায় শত শত অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন মেঘনা গার্মেন্টসের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গ্যাসলাইন রাতে ছিদ্র করে অবৈধ সংযোগ বাসাবাড়িতে দিয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। এ কারণে কারখানায় গ্যাসের খুবই সমস্যা হচ্ছে।’
গাজীপুর তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ লতিফ বলেন, অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অচিরেই আনসার রোড এলাকার আশপাশে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবৈধ গ্যাস-সংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকলে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে