রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষাভাষী সমাজে একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ হলো ‘সূত্রপাত’। আমাদের যাপিত জীবনে যেকোনো কিছুর শুরু হওয়া বা শুরু করা প্রসঙ্গে আমরা সূত্রপাত শব্দটি প্রয়োগ করি। পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে কোনো ঘটনার শুরু হওয়া বোঝাতে আমরা সূত্রপাত শব্দটির অবতারণা করি।
কিন্তু সূত্রপাত শব্দের মূল অর্থটি কী? আমরা কি জানি, ‘সূত্র’ শব্দটি ‘পাত’ শব্দের সঙ্গে মিলে কীভাবে শুরু বা আরম্ভ হওয়ার অর্থটি পরিগ্রহ করল? অথবা কোনো কিছু আরম্ভ হওয়া প্রসঙ্গে সূত্রের ভূমিকা কী? তবে চলুন, আজ জানব সূত্রপাত শব্দের প্রাসঙ্গিক যোগসূত্র।
সংস্কৃত ‘সূত্র’ এবং ‘পাত’ শব্দসহযোগে ‘সূত্রপাত’ শব্দটি তৈরি হয়েছে। এটি বিশেষ্য পদ। আভিধানিকভাবে সূত্রপাত শব্দের আলংকারিক অর্থটি হলো ভূমিকা, কোনো কিছু আরম্ভ বা সূচনা প্রভৃতি। আক্ষরিকভাবে সূত্রপাত শব্দের মানে হলো সুতা বা সুতো সারি করে বিছানো বা স্বল্প দূরত্বে যথাযথ মাপ অনুসারে সন্নিবেশ করা। মূলত এ অর্থটি থেকেই সূত্রপাত শব্দের বর্তমান অর্থটি জাত। বাগর্থতাত্ত্বিক বিবেচনায় সূত্রপাত শব্দের অর্থের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে।
আরেকটু সবিস্তারে বললে সংস্কৃত ‘সূত্র’ শব্দের বাংলা রূপটি হলো ‘সুতা’ বা ‘সুতো’। মূলত এই সুতা বা সূত্রকে পাতা বা স্থাপন করার প্রক্রিয়াটাই হলো ব্যাকরণিকভাবে সূত্রপাত। সাধারণত সূত্রপাতের কাজটি করে থাকেন সূত্রধর বা ছুতার মিস্ত্রি এবং রাজমিস্ত্রিরা।
কর্মক্ষেত্রে তাঁরাই এ বিষয়টির প্রায়োগিক প্রতিফলন ঘটান। সাধারণত দেখা যায় কাঠ চেরাই করার আগে কাঠকলের শ্রমিকেরা কালি-মাখা সুতো ফেলে কাঠের গা বরাবর লাইন টেনে নেন, যেন এটি সঠিক মাপে বিভাজন করা যায়। অনুরূপভাবে ছুতার মিস্ত্রিরাও প্রয়োজনীয় মাপ বরাবর কাঠ কাটতে সুতো দিয়ে দাগ টেনে নেন।
এমনটি রাজমিস্ত্রিরাও একটি নির্মীয়মাণ দেয়ালে ইট গাঁথার আগে উভয়পাশের মাপ যেন সমান থাকে, সে জন্য দেয়ালের উভয় প্রান্তে সুতা বেঁধে নেন। মূলত তাঁদের এই সুতো পাতা বা বিস্তারের কর্মটিই আক্ষরিকভাবে সূত্রপাত শব্দে প্রকাশ পেয়েছে। কালের পরিক্রমায় সূত্রপাত শব্দটির এ অর্থের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। সেই সূত্রে বর্তমানে যেকোনো কাজ শুরু করার ব্যাপারটিই সূত্রপাত করা অর্থে পরিগ্রহ করেছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে সাহিত্যের বিপুল পরিসরে আমরা ব্যাপকভাবে আরম্ভ বা সূচনা অর্থে সূত্রপাত শব্দের ব্যবহার করে চলেছি। মূলত এর আলংকারিক অর্থটি ধরেই কখনো আগুনের সূত্রপাত, আবার কখনো আলোচনার সূত্রপাতে সদা মুখর থাকছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, আক্ষরিক অর্থে যাঁরা সূত্রপাতের কর্মটি সাধন করে আমাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছেন, তাঁরাই সূত্রপাতের মূল উৎসশক্তি।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষাভাষী সমাজে একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ হলো ‘সূত্রপাত’। আমাদের যাপিত জীবনে যেকোনো কিছুর শুরু হওয়া বা শুরু করা প্রসঙ্গে আমরা সূত্রপাত শব্দটি প্রয়োগ করি। পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে কোনো ঘটনার শুরু হওয়া বোঝাতে আমরা সূত্রপাত শব্দটির অবতারণা করি।
কিন্তু সূত্রপাত শব্দের মূল অর্থটি কী? আমরা কি জানি, ‘সূত্র’ শব্দটি ‘পাত’ শব্দের সঙ্গে মিলে কীভাবে শুরু বা আরম্ভ হওয়ার অর্থটি পরিগ্রহ করল? অথবা কোনো কিছু আরম্ভ হওয়া প্রসঙ্গে সূত্রের ভূমিকা কী? তবে চলুন, আজ জানব সূত্রপাত শব্দের প্রাসঙ্গিক যোগসূত্র।
সংস্কৃত ‘সূত্র’ এবং ‘পাত’ শব্দসহযোগে ‘সূত্রপাত’ শব্দটি তৈরি হয়েছে। এটি বিশেষ্য পদ। আভিধানিকভাবে সূত্রপাত শব্দের আলংকারিক অর্থটি হলো ভূমিকা, কোনো কিছু আরম্ভ বা সূচনা প্রভৃতি। আক্ষরিকভাবে সূত্রপাত শব্দের মানে হলো সুতা বা সুতো সারি করে বিছানো বা স্বল্প দূরত্বে যথাযথ মাপ অনুসারে সন্নিবেশ করা। মূলত এ অর্থটি থেকেই সূত্রপাত শব্দের বর্তমান অর্থটি জাত। বাগর্থতাত্ত্বিক বিবেচনায় সূত্রপাত শব্দের অর্থের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে।
আরেকটু সবিস্তারে বললে সংস্কৃত ‘সূত্র’ শব্দের বাংলা রূপটি হলো ‘সুতা’ বা ‘সুতো’। মূলত এই সুতা বা সূত্রকে পাতা বা স্থাপন করার প্রক্রিয়াটাই হলো ব্যাকরণিকভাবে সূত্রপাত। সাধারণত সূত্রপাতের কাজটি করে থাকেন সূত্রধর বা ছুতার মিস্ত্রি এবং রাজমিস্ত্রিরা।
কর্মক্ষেত্রে তাঁরাই এ বিষয়টির প্রায়োগিক প্রতিফলন ঘটান। সাধারণত দেখা যায় কাঠ চেরাই করার আগে কাঠকলের শ্রমিকেরা কালি-মাখা সুতো ফেলে কাঠের গা বরাবর লাইন টেনে নেন, যেন এটি সঠিক মাপে বিভাজন করা যায়। অনুরূপভাবে ছুতার মিস্ত্রিরাও প্রয়োজনীয় মাপ বরাবর কাঠ কাটতে সুতো দিয়ে দাগ টেনে নেন।
এমনটি রাজমিস্ত্রিরাও একটি নির্মীয়মাণ দেয়ালে ইট গাঁথার আগে উভয়পাশের মাপ যেন সমান থাকে, সে জন্য দেয়ালের উভয় প্রান্তে সুতা বেঁধে নেন। মূলত তাঁদের এই সুতো পাতা বা বিস্তারের কর্মটিই আক্ষরিকভাবে সূত্রপাত শব্দে প্রকাশ পেয়েছে। কালের পরিক্রমায় সূত্রপাত শব্দটির এ অর্থের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। সেই সূত্রে বর্তমানে যেকোনো কাজ শুরু করার ব্যাপারটিই সূত্রপাত করা অর্থে পরিগ্রহ করেছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে সাহিত্যের বিপুল পরিসরে আমরা ব্যাপকভাবে আরম্ভ বা সূচনা অর্থে সূত্রপাত শব্দের ব্যবহার করে চলেছি। মূলত এর আলংকারিক অর্থটি ধরেই কখনো আগুনের সূত্রপাত, আবার কখনো আলোচনার সূত্রপাতে সদা মুখর থাকছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, আক্ষরিক অর্থে যাঁরা সূত্রপাতের কর্মটি সাধন করে আমাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছেন, তাঁরাই সূত্রপাতের মূল উৎসশক্তি।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে