মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার শহরে এক মাসের অধিক সময় ধরে গ্যাসের সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নিভু নিভুভাবে জ্বলে চুলা। ফলে রান্নায় ব্যাঘাত ঘটছে শহরজুড়ে। এ অবস্থা শুধু বাসাবাড়িতে নয়; হোটেল, রেস্তোরাঁতেও।
শহরের চৌমুহনী, কোর্ট রোড, শমশেরনগর রোড, কুসুমবাগ, চাঁদনীঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতে গ্যাসের স্বল্প চাপ রয়েছে, ফলে ঠিকমতো রান্না করা যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দা। রান্না করতে হলে অবলম্বন করতে হচ্ছে ভিন্ন উপায়। দুপুরের বেলাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই সময় দুর্ভোগ বাড়ছে বেশি। বাসাবাড়ি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট, কটেজ সর্বত্রই এ সমস্যা।
বাসাবাড়িতে রান্নায় যুক্ত নারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শহরের গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিকা চৈতী ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে ভোরেই রাঁধতে হয়। সকালের পরই গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে।’
গৃহিণী রীনা দত্ত বলেন, ‘আমাদের বড় পরিবার। সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবেলা রান্না করতে হয়। এখন সকালের পর থেকে ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের চুলার আগুন কম থাকে। ফলে রান্না করা অনেক কষ্টের। বড় পরিবার থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত সিলিন্ডার ও চুলার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই গ্যাসসংকট আমাদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানাই।’
বেশ কয়েক দিন ধরে গ্যাসের স্বল্প চাপ রয়েছে; যা দিয়ে রান্নাবান্না করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান, চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা ফৌজিয়া বেগম। ফৌজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকার সবাই এখন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের খাবারের সমস্যা হচ্ছে।’
শহরের এক রেস্তোরাঁর মালিক অপূর্ব দেব বলেন, ‘গ্যাসের এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে। বাসাবাড়ি, হোটেলে একই সমস্যা। গ্যাসের কার্যালয়ে জানানোর পর কোনো সমাধান পাচ্ছি না। সংকটে ঠিকমতো রান্নাও করা যাচ্ছে না। বেশ সকাল থেকে রান্নার কাজ শুরু করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রান্না করা খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। গ্রাহকেরা নানা মন্তব্য করেন। এই দুর্ভোগের নিরসন চাই।’
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘গ্যাসের কারণে শহরবাসী ভোগান্তিতে রয়েছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে সংকট আরও বাড়বে। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আঞ্চলিক প্রধান আওলাদ হোসেন জানান, সারা দেশে গ্যাসের সংকট রয়েছে। মৌলভীবাজারও এই সংকটের বাইরে না। তবে জেলায় বর্তমানে দু-তিন ঘণ্টা অধিক চাপ থাকায় গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ সবাই একসঙ্গে গ্যাস ব্যবহার করছেন।
এ সমস্যা সমাধানে মৌলভীবাজারে আরও একটি পাইপলাইন টানা হবে। নতুন পাইপলাইন সংযুক্ত হলে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মৌলভীবাজার শহরে এক মাসের অধিক সময় ধরে গ্যাসের সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নিভু নিভুভাবে জ্বলে চুলা। ফলে রান্নায় ব্যাঘাত ঘটছে শহরজুড়ে। এ অবস্থা শুধু বাসাবাড়িতে নয়; হোটেল, রেস্তোরাঁতেও।
শহরের চৌমুহনী, কোর্ট রোড, শমশেরনগর রোড, কুসুমবাগ, চাঁদনীঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতে গ্যাসের স্বল্প চাপ রয়েছে, ফলে ঠিকমতো রান্না করা যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দা। রান্না করতে হলে অবলম্বন করতে হচ্ছে ভিন্ন উপায়। দুপুরের বেলাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই সময় দুর্ভোগ বাড়ছে বেশি। বাসাবাড়ি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট, কটেজ সর্বত্রই এ সমস্যা।
বাসাবাড়িতে রান্নায় যুক্ত নারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শহরের গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিকা চৈতী ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে ভোরেই রাঁধতে হয়। সকালের পরই গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে।’
গৃহিণী রীনা দত্ত বলেন, ‘আমাদের বড় পরিবার। সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবেলা রান্না করতে হয়। এখন সকালের পর থেকে ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের চুলার আগুন কম থাকে। ফলে রান্না করা অনেক কষ্টের। বড় পরিবার থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত সিলিন্ডার ও চুলার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই গ্যাসসংকট আমাদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানাই।’
বেশ কয়েক দিন ধরে গ্যাসের স্বল্প চাপ রয়েছে; যা দিয়ে রান্নাবান্না করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান, চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা ফৌজিয়া বেগম। ফৌজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকার সবাই এখন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের খাবারের সমস্যা হচ্ছে।’
শহরের এক রেস্তোরাঁর মালিক অপূর্ব দেব বলেন, ‘গ্যাসের এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে। বাসাবাড়ি, হোটেলে একই সমস্যা। গ্যাসের কার্যালয়ে জানানোর পর কোনো সমাধান পাচ্ছি না। সংকটে ঠিকমতো রান্নাও করা যাচ্ছে না। বেশ সকাল থেকে রান্নার কাজ শুরু করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রান্না করা খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। গ্রাহকেরা নানা মন্তব্য করেন। এই দুর্ভোগের নিরসন চাই।’
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘গ্যাসের কারণে শহরবাসী ভোগান্তিতে রয়েছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে সংকট আরও বাড়বে। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আঞ্চলিক প্রধান আওলাদ হোসেন জানান, সারা দেশে গ্যাসের সংকট রয়েছে। মৌলভীবাজারও এই সংকটের বাইরে না। তবে জেলায় বর্তমানে দু-তিন ঘণ্টা অধিক চাপ থাকায় গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ সবাই একসঙ্গে গ্যাস ব্যবহার করছেন।
এ সমস্যা সমাধানে মৌলভীবাজারে আরও একটি পাইপলাইন টানা হবে। নতুন পাইপলাইন সংযুক্ত হলে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৫ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে