রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
গাজীপুরের কালীগঞ্জ রাজধানী ঢাকার লাগোয়া একটি উপজেলা। অবকাঠামোগত উন্নয়নে কালীগঞ্জ যতটা এগিয়েছে, ঠিক ততটাই পিছিয়েছে পরিবহনব্যবস্থার মানের দিক থেকে। খোদ রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি কোনো পরিবহনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি এখানে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ফিটনেসহীন বিভিন্ন যানে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়ক দিয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন। যে কারণে বাড়ছে সড়কে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা থাকলেও শিগগির হচ্ছে না কোনো সুরাহা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকা বেশি দূরে নয়। ফলে বিভিন্ন কাজে স্থানীয়রা প্রতিদিন যাতায়াত করেন সড়ক পরিবহনে। যে কারণে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়কে বাড়ছে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ী নিজেদের ফিটনেসহীন গাড়ি সড়কে চালাচ্ছেন। বিকল্প কোনো পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই যাত্রীরা এসব পরিবহনে যাতায়াত করছেন। এতে করে বাড়ছে ঝুঁকি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবর যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে প্রতিদিন ২৫-৩০টি লেগুনা এবং ৮-১০টি (কেটিএল) বাস চলাচল করে, এগুলোর একটিরও ফিটনেস নেই। অদক্ষ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের দেখাও মেলে এসব পরিবহনে। প্রতিটি লেগুনার ইঞ্জিন পুরোনো হওয়ায় চলতি পথে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ির বডির রং খসে পড়ে গেছে, আসনগুলোর কাপড় ছিঁড়ে গিয়ে লোহার তারকাঁটা বের হয়ে আছে; এমন সব গাড়ির সংখ্যাই এখানে বেশি। কিছু কিছু লেগুনার দরজা পাটের রশি দিয়ে বেঁধেও চালানো হয়। বর্ষার দিনে বৃষ্টির পানি লেগুনার ভেতরে পড়ে। যাত্রীদের ভিজে ভিজে পাড়ি দিতে হয় তাঁদের গন্তব্যে। এত সবের মাঝেও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে পরিবহনশ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার তুমলিয়া এলাকার বাসিন্দা শরীফ পাঠান বলেন, ‘আমার কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায়। তাই আমাকে প্রতিদিনই যাতায়াত করতে হয়। সকালে রওনা দিয়ে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকক্ষণ পরে লেগুনা বা বাস আসে। প্রতিটি বাহনের অবস্থাই খারাপ। সিটগুলো যেমন তেমন, ইঞ্জিনের আওয়াজ শুনলেই ভয় লাগে। মনে হয় যেন এখনই দুর্ঘটনা ঘটবে। আমাদের কিছু করার নেই, এসব পরিবহনে বাধ্য হয়েই উঠতে হয়।’
অপর যাত্রী আশরাফ আলী জানান, তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই সড়কে। তিনি পরিবহনের অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ তোলেন। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব যানবাহন দিন দিন বাড়ছে, পাশাপাশি সড়কে দুর্ঘটনার পরিমাণও বাড়ছে।
কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গী রুটের লেগুনাচালক রায়হান মিয়া বলেন, ‘আগে হেলপার ছিলাম। পরে উস্তাদের কাছ থেকে গাড়ি চালানো শিখেছি। এখন নিয়মিত গাড়ি চালাই। লেগুনা দেখতে পুরোনো হলেও ইঞ্জিন ভালো আছে। রাস্তার যেই অবস্থা, জ্যামের মধ্যেই দিন চলে যায়। সারা দিনে তিনটা সিঙ্গেল ট্রিপও হয় না। ভালো গাড়ি মালিক কেন নামাইব? সে তো তার জমার টাকাই তুলতে পারব না!’
আরেক চালক কাজী রাজীব জানান, ভাড়া বাড়ার প্রধান কারণ হলো সড়কের চাঁদাবাজি। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ভাড়া অনেক কমে যাবে।
কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডের সুপারভাইজার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন গাড়ি যদি কেউ না নামান, কীভাবে যাত্রীসেবা দেব? যা আছে তা দিয়েই চেষ্টা করছি পরিবহনকে সচল রাখতে। আমরা গাড়ির মালিকদের বলি, গাড়ি যেন নিয়মিত পরীক্ষা করে রাস্তায় নামানো হয়।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যাপারে শিগগিরই কাজ শুরু করব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ রাজধানী ঢাকার লাগোয়া একটি উপজেলা। অবকাঠামোগত উন্নয়নে কালীগঞ্জ যতটা এগিয়েছে, ঠিক ততটাই পিছিয়েছে পরিবহনব্যবস্থার মানের দিক থেকে। খোদ রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি কোনো পরিবহনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি এখানে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ফিটনেসহীন বিভিন্ন যানে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়ক দিয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন। যে কারণে বাড়ছে সড়কে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা থাকলেও শিগগির হচ্ছে না কোনো সুরাহা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকা বেশি দূরে নয়। ফলে বিভিন্ন কাজে স্থানীয়রা প্রতিদিন যাতায়াত করেন সড়ক পরিবহনে। যে কারণে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়কে বাড়ছে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ী নিজেদের ফিটনেসহীন গাড়ি সড়কে চালাচ্ছেন। বিকল্প কোনো পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই যাত্রীরা এসব পরিবহনে যাতায়াত করছেন। এতে করে বাড়ছে ঝুঁকি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবর যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে প্রতিদিন ২৫-৩০টি লেগুনা এবং ৮-১০টি (কেটিএল) বাস চলাচল করে, এগুলোর একটিরও ফিটনেস নেই। অদক্ষ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের দেখাও মেলে এসব পরিবহনে। প্রতিটি লেগুনার ইঞ্জিন পুরোনো হওয়ায় চলতি পথে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ির বডির রং খসে পড়ে গেছে, আসনগুলোর কাপড় ছিঁড়ে গিয়ে লোহার তারকাঁটা বের হয়ে আছে; এমন সব গাড়ির সংখ্যাই এখানে বেশি। কিছু কিছু লেগুনার দরজা পাটের রশি দিয়ে বেঁধেও চালানো হয়। বর্ষার দিনে বৃষ্টির পানি লেগুনার ভেতরে পড়ে। যাত্রীদের ভিজে ভিজে পাড়ি দিতে হয় তাঁদের গন্তব্যে। এত সবের মাঝেও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে পরিবহনশ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার তুমলিয়া এলাকার বাসিন্দা শরীফ পাঠান বলেন, ‘আমার কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায়। তাই আমাকে প্রতিদিনই যাতায়াত করতে হয়। সকালে রওনা দিয়ে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকক্ষণ পরে লেগুনা বা বাস আসে। প্রতিটি বাহনের অবস্থাই খারাপ। সিটগুলো যেমন তেমন, ইঞ্জিনের আওয়াজ শুনলেই ভয় লাগে। মনে হয় যেন এখনই দুর্ঘটনা ঘটবে। আমাদের কিছু করার নেই, এসব পরিবহনে বাধ্য হয়েই উঠতে হয়।’
অপর যাত্রী আশরাফ আলী জানান, তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই সড়কে। তিনি পরিবহনের অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ তোলেন। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব যানবাহন দিন দিন বাড়ছে, পাশাপাশি সড়কে দুর্ঘটনার পরিমাণও বাড়ছে।
কালীগঞ্জ থেকে টঙ্গী রুটের লেগুনাচালক রায়হান মিয়া বলেন, ‘আগে হেলপার ছিলাম। পরে উস্তাদের কাছ থেকে গাড়ি চালানো শিখেছি। এখন নিয়মিত গাড়ি চালাই। লেগুনা দেখতে পুরোনো হলেও ইঞ্জিন ভালো আছে। রাস্তার যেই অবস্থা, জ্যামের মধ্যেই দিন চলে যায়। সারা দিনে তিনটা সিঙ্গেল ট্রিপও হয় না। ভালো গাড়ি মালিক কেন নামাইব? সে তো তার জমার টাকাই তুলতে পারব না!’
আরেক চালক কাজী রাজীব জানান, ভাড়া বাড়ার প্রধান কারণ হলো সড়কের চাঁদাবাজি। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ভাড়া অনেক কমে যাবে।
কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডের সুপারভাইজার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন গাড়ি যদি কেউ না নামান, কীভাবে যাত্রীসেবা দেব? যা আছে তা দিয়েই চেষ্টা করছি পরিবহনকে সচল রাখতে। আমরা গাড়ির মালিকদের বলি, গাড়ি যেন নিয়মিত পরীক্ষা করে রাস্তায় নামানো হয়।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যাপারে শিগগিরই কাজ শুরু করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে