যশোর প্রতিনিধি
করোনার উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা যশোরে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২২৯ জনের। করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে এই সময়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তবু সচেতনতা বা টিকার প্রতি আগ্রহ বাড়েনি জনসাধারণের।
সদর উপজেলায় দুই দিনে ১০ হাজার মানুষকে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে মাত্র অর্ধেক।
গত সপ্তাহে যশোর ইদগাহ ময়দানে গণটিকা কর্মসূচিতে টিকা নিতে এসেছেন পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ। ফলে গতকাল শনিবার একই স্থানে আবারও দুই দিনের গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই গণটিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার শেষ হবে এই কার্যক্রম। টিকার নিবন্ধন না করেও যে কেউ এসে যশোরের বাসিন্দা হিসেবে যেকোনো প্রমাণপত্র দেখালেই এই টাকা নিতে পারবেন।
যশোর জেলা শতভাগ টিকার আওতায় আনতে আগের শর্ত শিথিল করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবু জনসাধারণের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এ জন্য একই টিকাদান কার্যক্রম আবারও শুরু করতে হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘যশোর ঈদগাহ মাঠে ১০ হাজার জনকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। ওই দুই দিনে মোট পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ টিকা নেন।’
ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা ছিল। আমরা প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে টিকা গ্রহীতার অভাবে তা দিতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে ফের আজ (শনিবার) ও রোববার পর্যন্ত গণটিকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই দুই দিনে শতভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গণটিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা। গত দুই দিনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের মতো দীর্ঘ লাইন ধরে তাঁরা টিকা নিয়েছেন। আবার অনেকের মাঝে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহাও ছিল। তাঁদের টিকার আওতায় আনতে আমাদের এ উদ্যোগ।’
এক সপ্তাহে মৃত্যু ৫
এ দিকে যশোরে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি করোনার রোগী। এই সাত দিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশের ওপরে। একই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ আগস্টের পর থেকে যশোরে কমতে শুরু করে সংক্রমণ। এর মধ্যে তিনবার জেলায় করোনা শূন্য দিন পার হয়েছে, যা চলতি মাস থেকে যশোরে বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২২৯ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ৭১২ জনের, যার শতকরা হার ৪৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সূত্রটি আরও জানায়, চলতি মাসের ২৩ তারিখ রোববার জেলায় ৪০৬ জনের নমুনার বিপরীতে ১৯৪ জন শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৪৮ শতাংশ। পর দিন সোমবার নমুনার সংখ্যা কমলেও বাড়ে শনাক্তের সংখ্যা। এ দিনে ৩৭৯ নমুনায় শনাক্ত হয় ১৯৫ জন। শনাক্তের হার বেড়ে ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যায়। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা করা আগের দিন থেকে আরও ৭০টি বেশি, তবে শনাক্ত বাড়ে মাত্র একজন। এ দিনে শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৪৪ শতাংশ। পরের দিন শনাক্ত সংখ্যা ২০০ অতিক্রম করে। এ দিনে ৪৭৯ নমুনার বিপরীতে শনাক্ত হয় ২২৯ জন। বৃহস্পতিবার শনাক্ত কিছু কমলেও দুই শ’র নিছে নামেনি। ৪৪৪ নমুনায় শনাক্ত হন ২০৪ জন। শনাক্তের হার দাঁড়ায় প্রায় ৪৬ শতাংশ। আবার শুক্রবারের প্রাপ্ত ফলাফলে পাঁচ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করলেও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। এ দিনে ৫৩০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৯৮ জন। সবশেষ শনিবার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। তবে শনাক্তের হারের দিক থেকে চলতি মাসের সর্বোচ্চ। এ দিনের শনাক্তের হার ৫২ শতাংশ।
যশোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। একই দিনে উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। পরের দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ শনিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়।
করোনার উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা যশোরে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২২৯ জনের। করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে এই সময়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তবু সচেতনতা বা টিকার প্রতি আগ্রহ বাড়েনি জনসাধারণের।
সদর উপজেলায় দুই দিনে ১০ হাজার মানুষকে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে মাত্র অর্ধেক।
গত সপ্তাহে যশোর ইদগাহ ময়দানে গণটিকা কর্মসূচিতে টিকা নিতে এসেছেন পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ। ফলে গতকাল শনিবার একই স্থানে আবারও দুই দিনের গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই গণটিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার শেষ হবে এই কার্যক্রম। টিকার নিবন্ধন না করেও যে কেউ এসে যশোরের বাসিন্দা হিসেবে যেকোনো প্রমাণপত্র দেখালেই এই টাকা নিতে পারবেন।
যশোর জেলা শতভাগ টিকার আওতায় আনতে আগের শর্ত শিথিল করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবু জনসাধারণের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এ জন্য একই টিকাদান কার্যক্রম আবারও শুরু করতে হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘যশোর ঈদগাহ মাঠে ১০ হাজার জনকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। ওই দুই দিনে মোট পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ টিকা নেন।’
ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা ছিল। আমরা প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে টিকা গ্রহীতার অভাবে তা দিতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে ফের আজ (শনিবার) ও রোববার পর্যন্ত গণটিকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই দুই দিনে শতভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গণটিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা। গত দুই দিনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের মতো দীর্ঘ লাইন ধরে তাঁরা টিকা নিয়েছেন। আবার অনেকের মাঝে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহাও ছিল। তাঁদের টিকার আওতায় আনতে আমাদের এ উদ্যোগ।’
এক সপ্তাহে মৃত্যু ৫
এ দিকে যশোরে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি করোনার রোগী। এই সাত দিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশের ওপরে। একই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ আগস্টের পর থেকে যশোরে কমতে শুরু করে সংক্রমণ। এর মধ্যে তিনবার জেলায় করোনা শূন্য দিন পার হয়েছে, যা চলতি মাস থেকে যশোরে বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২২৯ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ৭১২ জনের, যার শতকরা হার ৪৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সূত্রটি আরও জানায়, চলতি মাসের ২৩ তারিখ রোববার জেলায় ৪০৬ জনের নমুনার বিপরীতে ১৯৪ জন শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৪৮ শতাংশ। পর দিন সোমবার নমুনার সংখ্যা কমলেও বাড়ে শনাক্তের সংখ্যা। এ দিনে ৩৭৯ নমুনায় শনাক্ত হয় ১৯৫ জন। শনাক্তের হার বেড়ে ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যায়। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা করা আগের দিন থেকে আরও ৭০টি বেশি, তবে শনাক্ত বাড়ে মাত্র একজন। এ দিনে শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৪৪ শতাংশ। পরের দিন শনাক্ত সংখ্যা ২০০ অতিক্রম করে। এ দিনে ৪৭৯ নমুনার বিপরীতে শনাক্ত হয় ২২৯ জন। বৃহস্পতিবার শনাক্ত কিছু কমলেও দুই শ’র নিছে নামেনি। ৪৪৪ নমুনায় শনাক্ত হন ২০৪ জন। শনাক্তের হার দাঁড়ায় প্রায় ৪৬ শতাংশ। আবার শুক্রবারের প্রাপ্ত ফলাফলে পাঁচ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করলেও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। এ দিনে ৫৩০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৯৮ জন। সবশেষ শনিবার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। তবে শনাক্তের হারের দিক থেকে চলতি মাসের সর্বোচ্চ। এ দিনের শনাক্তের হার ৫২ শতাংশ।
যশোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। একই দিনে উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। পরের দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ শনিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে