মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত সরকারি আবাসিক ভবন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাতটি ভবনের চারটিই জরাজীর্ণ। এর মধ্যে দুটি ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বনবীথি, গেজেটেড কোয়ার্টার, কৃষ্ণকলী, কনকচাঁপা, কামিনী, ক্যামেলিয়া কোয়ার্টারসহ সাতটি ভবন নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন তৈরি করা হয় ১৯৬৪ সালে। এ ভবনটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে কোনো কোনো ভবনের দেয়ালে অল্প বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে ভেতরে পানি পড়ে। কোয়ার্টারগুলোর ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। এমনকি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এসব ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বসবাস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে পড়ছে। জরাজীর্ণ ভবনগুলোর পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে।
এসব ভবনে বসবাসকারীরা জানান, মৃদু ভূমিকম্পেও ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। পলেস্তারা খসে পাড়ে, এমনকি বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা পরিবার নিয়ে বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন। আবার অনেকে পরিবার গ্রামের বাড়িতে রেখে মেসে থাকেন। এসব ভবন অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা এলজিইডি অফিসের অফিস সহায়ক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ফ্লাড সেন্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমাদের কোয়ার্টারে গ্যাস ও পানি নেই। জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে।’
গেজেটেড কোয়ার্টারের বাসিন্দা উপজেলা এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাকিব ও উপজেলা বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা (পজিপ) মার্শেদা খানম বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পড়ে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটলও ধরেছে। ভেতরের অবস্থা এতটাই নাজুক, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
পুরোনো কোয়ার্টারের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোয়ার্টার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আপাতত এটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে। এগুলো মেরামত করলে হবে না। আমি থাকা অবস্থায় ভবনগুলো করে যাব। আমার বাসভবনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল; বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এটি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের বড় ধরনের কাজগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকার কাজ করাতে পারি। এ ছাড়াও সরকার থেকে কিছু ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত সরকারি আবাসিক ভবন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাতটি ভবনের চারটিই জরাজীর্ণ। এর মধ্যে দুটি ভবন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বনবীথি, গেজেটেড কোয়ার্টার, কৃষ্ণকলী, কনকচাঁপা, কামিনী, ক্যামেলিয়া কোয়ার্টারসহ সাতটি ভবন নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন তৈরি করা হয় ১৯৬৪ সালে। এ ভবনটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে কোনো কোনো ভবনের দেয়ালে অল্প বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে ভেতরে পানি পড়ে। কোয়ার্টারগুলোর ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। এমনকি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এসব ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বসবাস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে পড়ছে। জরাজীর্ণ ভবনগুলোর পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে।
এসব ভবনে বসবাসকারীরা জানান, মৃদু ভূমিকম্পেও ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। পলেস্তারা খসে পাড়ে, এমনকি বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা পরিবার নিয়ে বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন। আবার অনেকে পরিবার গ্রামের বাড়িতে রেখে মেসে থাকেন। এসব ভবন অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা এলজিইডি অফিসের অফিস সহায়ক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘ফ্লাড সেন্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমাদের কোয়ার্টারে গ্যাস ও পানি নেই। জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে।’
গেজেটেড কোয়ার্টারের বাসিন্দা উপজেলা এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাকিব ও উপজেলা বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা (পজিপ) মার্শেদা খানম বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পড়ে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটলও ধরেছে। ভেতরের অবস্থা এতটাই নাজুক, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
পুরোনো কোয়ার্টারের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোয়ার্টার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আপাতত এটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে। এগুলো মেরামত করলে হবে না। আমি থাকা অবস্থায় ভবনগুলো করে যাব। আমার বাসভবনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল; বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এটি।’
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের বড় ধরনের কাজগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকার কাজ করাতে পারি। এ ছাড়াও সরকার থেকে কিছু ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে