পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে তিস্তা নদীর পানি আকস্মিক বাড়ায় দহগ্রামের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে দুটি সেতুও ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬ হাজার মানুষ।
দহগ্রামের একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে হঠাৎ করেই তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। পরদিন বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত উজান থেকে প্রবল বেগে নেমে আসা পানিতে একের পর এক এলাকা তলিয়ে যেতে থাকে। স্থানীয়দের মতে ‘দহগ্রামে এ ধরনের বন্যা আগে কখনো হয়নি’। গত মঙ্গলবারের হঠাৎ ধেয়ে আসা পানিতে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা ৩ ফুট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি মহকুমার মেখলিগঞ্জ, ধাপড়া, হলদিবাড়ি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী বাংলাদেশের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের কোল ঘেঁষে প্রবাহিত। তিস্তা নদী হয়ে বয়ে আসা প্রবল পানি আর গত তিন দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দহগ্রাম ইউনিয়নের ১,৪, ৬,৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
পাটগ্রাম-দহগ্রাম যাতায়াতে প্রধান সড়কের দক্ষিণ দিকের সব গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়। প্রায় দেড় হাজার একর আমন ধান, চা বাগান, অন্যান্য ফসলি খেত বন্যায় তলিয়ে যায়। দহগ্রামের হাড়িপাড়া ও বঙ্গেরবাড়ি এলাকায় দুইটি সেতু ভেঙে গেছে। ৩৫০ থেকে ৪০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাতিপাড়া থেকে মতিয়ারের বাড়ি কাবিখার সড়ক, গুচ্ছগ্রাম, বঙ্গেরবাড়ি-নতুনহাট, হাড়িপাড়া-সৈয়দপাড়া, গুচ্ছগ্রাম বাজার থেকে কাজীপাড়া এলাকায় পাকা ও কাঁচা সড়ক স্রোতে ভেঙে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নৌকায় যাতায়াত করতে দেখা গেছে গ্রামের লোকজনের। সর্দারপাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দহগ্রাম তিনবিঘা করিডর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফেরকানিয়া মাদ্রাসাসহ ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারগুলোতে শিশু, বৃদ্ধসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী ও উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়, দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান, সাবেক চেয়ারম্যান ও দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
দহগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হবিবর রহমান হবি বলেন, ‘বন্যায় এলাকার বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাতিপাড়া এলাকায় কাবিখা প্রকল্পে নির্মিত ২ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ আছে। ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার মানুষকে শুকনো খাবার দিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার জানান, ‘পানি বাড়ায় ১ হাজার ১৫০ একর আমন ধান খেত, সবজি ৫০ একর, বাদাম ৪৫ একর এবং অন্যান্যসহ প্রায় দেড় হাজার একর ফসলি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি কমলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আনতে চেষ্টা করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, পরিবার, সেতু, ঘর-বাড়ি, ফসলি খেত দেখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ২০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে।’
পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে তিস্তা নদীর পানি আকস্মিক বাড়ায় দহগ্রামের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে দুটি সেতুও ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬ হাজার মানুষ।
দহগ্রামের একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে হঠাৎ করেই তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। পরদিন বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত উজান থেকে প্রবল বেগে নেমে আসা পানিতে একের পর এক এলাকা তলিয়ে যেতে থাকে। স্থানীয়দের মতে ‘দহগ্রামে এ ধরনের বন্যা আগে কখনো হয়নি’। গত মঙ্গলবারের হঠাৎ ধেয়ে আসা পানিতে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা ৩ ফুট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি মহকুমার মেখলিগঞ্জ, ধাপড়া, হলদিবাড়ি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী বাংলাদেশের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের কোল ঘেঁষে প্রবাহিত। তিস্তা নদী হয়ে বয়ে আসা প্রবল পানি আর গত তিন দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দহগ্রাম ইউনিয়নের ১,৪, ৬,৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
পাটগ্রাম-দহগ্রাম যাতায়াতে প্রধান সড়কের দক্ষিণ দিকের সব গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়। প্রায় দেড় হাজার একর আমন ধান, চা বাগান, অন্যান্য ফসলি খেত বন্যায় তলিয়ে যায়। দহগ্রামের হাড়িপাড়া ও বঙ্গেরবাড়ি এলাকায় দুইটি সেতু ভেঙে গেছে। ৩৫০ থেকে ৪০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাতিপাড়া থেকে মতিয়ারের বাড়ি কাবিখার সড়ক, গুচ্ছগ্রাম, বঙ্গেরবাড়ি-নতুনহাট, হাড়িপাড়া-সৈয়দপাড়া, গুচ্ছগ্রাম বাজার থেকে কাজীপাড়া এলাকায় পাকা ও কাঁচা সড়ক স্রোতে ভেঙে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নৌকায় যাতায়াত করতে দেখা গেছে গ্রামের লোকজনের। সর্দারপাড়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দহগ্রাম তিনবিঘা করিডর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফেরকানিয়া মাদ্রাসাসহ ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারগুলোতে শিশু, বৃদ্ধসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী ও উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়, দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান, সাবেক চেয়ারম্যান ও দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব।
দহগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হবিবর রহমান হবি বলেন, ‘বন্যায় এলাকার বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাতিপাড়া এলাকায় কাবিখা প্রকল্পে নির্মিত ২ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ আছে। ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার মানুষকে শুকনো খাবার দিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার জানান, ‘পানি বাড়ায় ১ হাজার ১৫০ একর আমন ধান খেত, সবজি ৫০ একর, বাদাম ৪৫ একর এবং অন্যান্যসহ প্রায় দেড় হাজার একর ফসলি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি কমলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আনতে চেষ্টা করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, পরিবার, সেতু, ঘর-বাড়ি, ফসলি খেত দেখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ২০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে।’
পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১০ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে