শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ভোরের সূর্যটা এখনো পুব আকাশে উঁকি দেয়নি। বেশির ভাগ পেশার মানুষ এখনো বিছানায়। কেউ কেউ হয়তো বা ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ভোরের লাল সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি দেওয়ার আগে নিজের জমিতে পানি সেচ দিতে শুরু করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষকেরা। তবে আধুনিক সেচযন্ত্র দিয়ে নয়, সেচ দিচ্ছেন সনাতন পদ্ধতিতে।
ইদানীং যেখানে সব ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে মান্ধাতা আমলের দোন বা দোংগার ব্যবহার। তবে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে এটি ব্যবহৃত হয়। এলাকাভেদে এটিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে চেনেন কৃষকেরা।
কাওরাইদ ইউনিয়নে নান্দিয়া সাঙ্গুন, ধামলই, সোনাব, নয়াপাড়া আর গলদাপাড়া গ্রামের কৃষকেরা বেশি ব্যবহার করেন দোন বা দোংগা। বেশ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কিছু কৃষক এখন সেচ দিতে দোন ব্যবহার করছেন। দোন দিয়ে সেচ পদ্ধতিতে কোনো ধরনের খরচ নেই বলে জানান তাঁরা। কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়ার পরও খাল ও নালা খনন, বাঁধ নির্মাণ, সংরক্ষিত জলাধার থেকে এখনো দোন দিয়ে পানি ওঠানোর কাজ করেন।
দোন দিয়ে ফসলের খেতে পানি ওঠানোর সময় কথা হয় কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের সফি উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কিছু কিছু জমিতে এখনো দোনের ব্যবহার চলছে। দোন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া সহজ।’
কবির বলেন, ‘এতে খরচ নাই বললেই চলে। একবার একটি দোন কিনে নিতে পারলে অনায়াসে চলে চার বছর। দোনের ব্যবহার বর্তমান কৃষিতে নেই বললেই চলে। তবু কিছু কিছু এলাকার কৃষকেরা দোন ব্যবহার করেন নিজেদের খেতে সেচ দেওয়ার জন্য।’
অনেকটা ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দোনের ব্যবহার করেন বলে জানান কৃষক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাবা সব সময় কৃষি জমিতে দোন দিয়ে সেচ দিতেন। এর ধারাবাহিকতা আমিও বেশ কিছু জমিতে দোনের মাধ্যমে পানি সেচ দিই। সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে দোন দিয়ে পানি তোলা শুরু করেছি। দুই বিঘা জমিতে সেচ দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।’
কবির আরও জানান, পার্শ্ববর্তী বরমী বাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি দোন কিনে এনেছেন। এরপর বাঁশ দিয়ে পানির ওঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
দোন দিয়ে পানি ওঠানো একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের কৃষক মো. সুলতান মিয়া বলেন, কিছু কিছু জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পানি সেচের সুযোগ নেই। আর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা অনেকটা ব্যয়বহুল। এ জন্য বাধ্য হয়ে দোন দিয়ে পানি উঠান।
কবির হোসেন আরও জানান, নদীর তীর, খালপাড়ের জমিতে দোন দিয়ে সেচ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এস এস এম মুহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পানি সেচে দোন ব্যবহার হয়ে থাকে। উপজেলার বেশির ভাগ কৃষি জমিতে আধুনিক সেচ পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোরের সূর্যটা এখনো পুব আকাশে উঁকি দেয়নি। বেশির ভাগ পেশার মানুষ এখনো বিছানায়। কেউ কেউ হয়তো বা ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ভোরের লাল সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি দেওয়ার আগে নিজের জমিতে পানি সেচ দিতে শুরু করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষকেরা। তবে আধুনিক সেচযন্ত্র দিয়ে নয়, সেচ দিচ্ছেন সনাতন পদ্ধতিতে।
ইদানীং যেখানে সব ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে মান্ধাতা আমলের দোন বা দোংগার ব্যবহার। তবে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে এটি ব্যবহৃত হয়। এলাকাভেদে এটিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে চেনেন কৃষকেরা।
কাওরাইদ ইউনিয়নে নান্দিয়া সাঙ্গুন, ধামলই, সোনাব, নয়াপাড়া আর গলদাপাড়া গ্রামের কৃষকেরা বেশি ব্যবহার করেন দোন বা দোংগা। বেশ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কিছু কৃষক এখন সেচ দিতে দোন ব্যবহার করছেন। দোন দিয়ে সেচ পদ্ধতিতে কোনো ধরনের খরচ নেই বলে জানান তাঁরা। কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়ার পরও খাল ও নালা খনন, বাঁধ নির্মাণ, সংরক্ষিত জলাধার থেকে এখনো দোন দিয়ে পানি ওঠানোর কাজ করেন।
দোন দিয়ে ফসলের খেতে পানি ওঠানোর সময় কথা হয় কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের সফি উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কিছু কিছু জমিতে এখনো দোনের ব্যবহার চলছে। দোন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া সহজ।’
কবির বলেন, ‘এতে খরচ নাই বললেই চলে। একবার একটি দোন কিনে নিতে পারলে অনায়াসে চলে চার বছর। দোনের ব্যবহার বর্তমান কৃষিতে নেই বললেই চলে। তবু কিছু কিছু এলাকার কৃষকেরা দোন ব্যবহার করেন নিজেদের খেতে সেচ দেওয়ার জন্য।’
অনেকটা ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দোনের ব্যবহার করেন বলে জানান কৃষক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাবা সব সময় কৃষি জমিতে দোন দিয়ে সেচ দিতেন। এর ধারাবাহিকতা আমিও বেশ কিছু জমিতে দোনের মাধ্যমে পানি সেচ দিই। সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে দোন দিয়ে পানি তোলা শুরু করেছি। দুই বিঘা জমিতে সেচ দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।’
কবির আরও জানান, পার্শ্ববর্তী বরমী বাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি দোন কিনে এনেছেন। এরপর বাঁশ দিয়ে পানির ওঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
দোন দিয়ে পানি ওঠানো একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের কৃষক মো. সুলতান মিয়া বলেন, কিছু কিছু জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পানি সেচের সুযোগ নেই। আর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা অনেকটা ব্যয়বহুল। এ জন্য বাধ্য হয়ে দোন দিয়ে পানি উঠান।
কবির হোসেন আরও জানান, নদীর তীর, খালপাড়ের জমিতে দোন দিয়ে সেচ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এস এস এম মুহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পানি সেচে দোন ব্যবহার হয়ে থাকে। উপজেলার বেশির ভাগ কৃষি জমিতে আধুনিক সেচ পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে