ফুলপুর আওয়ামী লীগ

এনামুল হক, ফুলপুর
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ৪৬
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৬

ফুলপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দিনে তাঁরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠোন বৈঠক, গণসংযোগ, জনসভা, মোটরসাইকেল মহড়া, হাটে হাটে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। হাজির হচ্ছেন বিয়ে, জন্মদিন, ধর্মীয় সভাসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে। ফলে উপজেলায় এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ।

এদিকে নৌকা প্রতীক পেতে জেলা ও উপজেলার দলীয় নেতাদের কাছে নানামুখী তদবিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। তবে ১০টি ইউপিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁরা বলছেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন। এ কারণে উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী জানান, নৌকা প্রতীক পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোনো কারণে নৌকা প্রতীক না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। তারা নিজেদের যোগ্য দাবি করে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

বওলা ইউপির ভোটার কাজল মিয়া বলেন, দলীয় প্রতীক কে পাবেন, এই আলোচনা এখন চায়ের দোকানে, হাট ঘাটে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে। সব জায়গাতেই।

ওই ইউপির একজন সম্ভাব্য প্রার্থী বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পেলেও নির্বাচন করব, না পেলেও নির্বাচন করব। তবে আশা করি, সংগঠন এবার নৌকা প্রতীক আমাকে দেবে। নেতাদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই দেখা সাক্ষাৎ করছি।’

ভাটকান্দি ইউপির একজন সম্ভাব্য প্রার্থী বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে মানুষের কাছে গিয়েছি। আপদে-বিপদে পাশে রয়েছি। দল থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছি। তাই নৌকা প্রতীক আমিই পাব।’

জানা গেছে, উপজেলার প্রায় সব ইউপিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। তারা ভোটারের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আবার রাতে বা সুযোগ বুঝে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, সব ইউপিতেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। যারা আগে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হিসেবে কাজ করেছেন, সৎ ও যোগ্য এবং দলের জন্য মঙ্গলজনক, এমন নেতা-কর্মীদের তাঁরা মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে জেলা কমিটিতে পাঠাবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তৃণমূলে কার অবস্থান কেমন, সে ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যারা ইউনিয়নে জনপ্রিয়, স্বচ্ছ, সৎ ও যোগ্য তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে।

একই ইউপিতে একাধিক প্রার্থীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রতিটি ইউপিতে যাতে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে, সেই চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা আশুরা আখতার খাতুন বলেন, উপজেলার ১০টি ইউপির ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। সব ইউপিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত