মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি কাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে করে চরাঞ্চলের সাত গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
রাগাছ পৌর প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চর চতুরা, টাংরির বাজার, মায়ার চর, চর চারমাথা, চর পল্লীমারী, চর একতা ও চর নাজিরদহের বাসিন্দাদের জন্য বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস গ্রামের মোস্তারপাড় এলাকায় ৭৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।মেসার্স মামুন কনস্ট্রাকশন ২০১৯ সালে প্রথম দরপত্রে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির একাংশ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে আর শেষ করেনি। চুক্তিমূল্যের কার্যাদেশে কাজ শেষের মেয়াদ ছিল ওই বছরের জুনে।এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় দরপত্রে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর স্ল্যাব, বিম ও রেলিং নির্মাণের কাজ পায় নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুনে। কিন্তু কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মরা তিস্তা নদীতে সেতুর খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।
মোস্তারপাড় এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মরা তিস্তার ওপর সেতু নির্মাণ। সেতুটি নির্মাণের মাঝখানেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। পৌরসভার লোকজন আসেন আর দেখে যান কিন্তু কাজ আর শুরু হয় না। এ নিয়ে হতাশায় আছে চরাঞ্চলের মানুষ।
পল্লীমারী গ্রামের সোলায়মান আলী বলেন, আগে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি থাকত না। কয়েক বছর আগে খনন করায় এখন সারা বছর পানি থই থই করে। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা যাচ্ছে না। চরাঞ্চলের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য কম দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেন। চরচতুরা গ্রামের সোলায়মান আলী বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, চলাফেরা, হাটে পণ্য আনা-নেওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। অসুস্থ রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হারাগাছ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মর্তুজা এলাহী বলেন, পৌর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না। তাই উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুই অর্থবছরে পৃথক দরপত্রের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক অসুস্থ থাকায় তারা ২০ ভাগ কাজ বন্ধ রেখেছে। আর দ্বিতীয় দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুর বাকি কাজ শুরু করার জন্য বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তারা খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
হারাগাছ পৌর মেয়র এরশাদুল হক এরশাদ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা না হলে, দ্বিতীয় দরপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। এরপর নতুন দরপত্র আহ্বান করে কাজ শেষ করা হবে।
কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি কাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে করে চরাঞ্চলের সাত গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
রাগাছ পৌর প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চর চতুরা, টাংরির বাজার, মায়ার চর, চর চারমাথা, চর পল্লীমারী, চর একতা ও চর নাজিরদহের বাসিন্দাদের জন্য বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস গ্রামের মোস্তারপাড় এলাকায় ৭৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।মেসার্স মামুন কনস্ট্রাকশন ২০১৯ সালে প্রথম দরপত্রে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির একাংশ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে আর শেষ করেনি। চুক্তিমূল্যের কার্যাদেশে কাজ শেষের মেয়াদ ছিল ওই বছরের জুনে।এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় দরপত্রে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর স্ল্যাব, বিম ও রেলিং নির্মাণের কাজ পায় নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুনে। কিন্তু কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মরা তিস্তা নদীতে সেতুর খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।
মোস্তারপাড় এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মরা তিস্তার ওপর সেতু নির্মাণ। সেতুটি নির্মাণের মাঝখানেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। পৌরসভার লোকজন আসেন আর দেখে যান কিন্তু কাজ আর শুরু হয় না। এ নিয়ে হতাশায় আছে চরাঞ্চলের মানুষ।
পল্লীমারী গ্রামের সোলায়মান আলী বলেন, আগে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি থাকত না। কয়েক বছর আগে খনন করায় এখন সারা বছর পানি থই থই করে। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা যাচ্ছে না। চরাঞ্চলের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য কম দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেন। চরচতুরা গ্রামের সোলায়মান আলী বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, চলাফেরা, হাটে পণ্য আনা-নেওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। অসুস্থ রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হারাগাছ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মর্তুজা এলাহী বলেন, পৌর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না। তাই উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুই অর্থবছরে পৃথক দরপত্রের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক অসুস্থ থাকায় তারা ২০ ভাগ কাজ বন্ধ রেখেছে। আর দ্বিতীয় দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতুর বাকি কাজ শুরু করার জন্য বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তারা খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
হারাগাছ পৌর মেয়র এরশাদুল হক এরশাদ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা না হলে, দ্বিতীয় দরপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। এরপর নতুন দরপত্র আহ্বান করে কাজ শেষ করা হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে